বাড়িতে সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হউয়ার পরে আমাকে আমার নিজের প্রয়োজনে গনপরিবহনে যাওয়া আসা করতে হচ্ছিল আবার শহর থেকে আমার বাসা একটু দূরে হউয়ার কারনে যাতায়াত বাবদ খরচও অনেকটাই হয়ে যাচ্ছিল তাই আমার ব্যক্তিগত যাতায়াতের জন্য একটা সাধারন বাইকের প্রয়োজন বোধ করছিলাম। বলা বাহুল্য যে আমার পরিবারের সবাই হোন্ডা কোম্পানীর মোটরসাইকেল ব্যবহার করে তাই আমি নিজের জন্য যখন কেনার কথা চিন্তা করছিলাম আমিও অন্য কোন মোটরসাইকেলের কথা ভাবিনি। হোন্ডার শোরুমে গিয়ে দেখি আমার প্রয়োজন অনুযায়ী খুব সুন্দর স্কুটার ডিজাইনের একটা বাইক তাদের তালিকায় আছে। কোম্পানী যেহেতু হোন্ডা তাই এর ওপর সহজেই ভরসা করা যায় সে কারনে আমি তেমন প্রশ্ন বা খোজ না করে আমি বাইকটা কনে ফেলি।
মোটামুটি ২.৫ মাস হয়ে গেল হোন্ডা ডিও বাইকটা কেনা আর এই সময়ের মধ্যে আমি বাইকটা চালিয়েছি প্রায় ৪০০ কিলোমিটারের মত তবে নতুন অবস্থায় এর মন্দ দিকগুলা সেভাবে আমার নজরে না আসলেও কয়েকটা বিষয় আমার নজরে এসেছে যেগুলা আমার কাছে মনে হয়েছে কোম্পানি চাইলেই এই দিকগুলাকে আরও ভাল করতে পারবে।
-মোটরসাইকেলটা স্টার্ট দিলেই এর তর্জন গর্জন শুরু হয়ে যায়। আমার কাছে মনে হয় এর শব্দটা কিছুটা সেই ৯০ এর দশকের সিজি১২৫ এর সাথে মিল আছে। সবসময় গুমগুম একটা শব্দ আশে ইঞ্জিন থেকে।
-হেডলাইটটা সবসময় জ্বলে থাকে, এটা আমার কাছে যতটা না বিরক্তিকর তার চেয়ে অনেক গুনে বেশি বিরক্তি পথঘাঠের মানুষের আর আমি “ভাই লাইট জ্বলে” শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছি। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে এর একটা সুইচ থাকলে খুব ভাল হতো।
-আমি শোরুমে গিয়ে একটাই কালার পেয়েছিলাম তাই আমার কাছে মনে হয়েছে এই ধরনের মোটরসাইকেলে আরও রঙ সংযোজন করলে সবার জন্যেই নিজেরটা পছন্দ করতে সুবিধা হবে বলে মনে করি।
-কিছুদিন আগে ইঞ্জিন স্টার্ট নিতে একটু সমস্যা করছিলো। সম্ভবত অতিরিক্ত শীতের কারনে এই সমস্যাটা হচ্ছিল বলেই মনে হচ্ছিল যা এখন আর তেমন খেয়াল হয় না।
এই বিষয়গুলা ছাড়া আমি আমার হোন্ডা ডিও মোটরসাইকেলটার সবকিছুই ঠিকঠাক পেয়েছি। এর আরাম, ইঞ্জিন পারফরমেন্স, ব্রেকিং/ব্যালেন্সিং সবই এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক আছে এবং আমার বিশ্বাস ব্রান্ড অনুযায়ী আমি সামনের অনাগত দিনেও সব আমার আশানুরুপই পাবো।
মাইলেজ নিয়ে বলতে গেলে আমি এখনও মাইলেজটা সেভাবে খেয়াল করিনি তবে আমি যতদুর বুঝতে পারছি আমি এখন ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেহ পাচ্ছি। মাইলেজটা ঠিক আছে তবে এই ধরনের মোটরসাইকেলে মাইলেজ আরেকটু বেশি হলে খুব ভাল হয়।
মোটরসাইকেল চালানোর সময় আমি কখনই তাড়াহুড়া করি না, অতীতেও কখনই করিনি আর আমার এই মোটরসাইকেলটা এখনও নতুন তাই এখন পর্যন্ত আমার হোন্ডা ডিও তে সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা আর আমার ঘোরাঘুরির পরিসর খুব ছোট তাই একটানা চালিয়েছি সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটারের মত।