খুব ছোট বেলা থেকে একটি ব্র্যান্ডের প্রতি আমার ভালোবাসা ও আস্থা জন্ম নিয়েছে এবং সেটি হল হোন্ডা ব্র্যান্ড। জাপানিজ এই ব্র্যান্ডটি আমাদের দেশে এতটাই খ্যাতি অর্জন করেছে যে মানুষেরা মোটরসাইকেলকে হোন্ডা বা হুন্ডা বলে। এর কারন হচ্ছে হোন্ডা ব্র্যান্ড । তারা বাংলাদেশের মানুষের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। আমার যখন একটি বাইক কেনার ইচ্ছা জাগে তখন আমি হোন্ডা ব্র্যান্ডের বাইকগুলোর দিকে ফোকাস দিই কারন তাদের বাইকের কোয়ালিটি এবং তার সাথে সামঞ্জস্য করে দামটা একদম সহনীয়। আমি যেহেতু নতুন বাইকার তাই আমার কাছে কম সিসির বাইক দরকার। বাজেট এবং তার সাথে সমতা বিধান করে ডিজাইন এই দুই দিক থেকে আমার কাছে হোন্ডা ড্রিম ১১০ বাইকটি খুবই পছন্দ হয়েছে।
এই বাইকটা আমি আমার নিত্য দিনের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে থাকি তাই শহরের মধ্যেই এই বাইকটা বেশি রাইড করা হয়। বাইকটি নিয়ে এখন পর্যন্ত লং রাইড করা হয় নি তবে শহরের মধ্যে আমি ১ মাসে ৫০০ কিমি রাইড করেছি। আমার এই ৫০০ কিমি রাইড আপনাদের সাথে আজ আলোচনা করবো।
আমি এই বাইকটি রাইড করে মন্দ কোন দিক খুঁজে পাইনি তবে বেশ কিছু ভালো দিক পেয়েছি। সেগুলো হল –
-বাইকের ডিজাইন আমার কাছে অনেক সুন্দর এবং মার্জিত মনে হয়েছে কারণ এই বাইকটি সবাই ব্যবহার করতে পারবেন এবং সব রাইডারের সাথে ডিজাইনটা একদম মানানসই।
-হোন্ডা ব্র্যান্ড হিসেবে আমার জানা মনে অনেক ভাল এবং তারা কোয়ালিটি সম্পন্ন বাইক তৈরি করে থাকে তাই আমি ব্র্যান্ডের কথা মাথায় না নিয়ে নিঃসন্দেহে বাইকটি ক্রয় করেছি।
-১১০ সিসির ইঞ্জিন থেকে আমি শুরু থেকেই অনেক ভাল মাইলেজ পাচ্ছি এবং আশা করি ভবিষ্যতেও এই বাইক থেকে অনেক ভালো মাইলেজ পাবো।
-বাজেট অনুযায়ী এই বাইকের পারফরমেন্স, কোয়ালিটি এবং ফিচারস আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে।
শহরের মধ্যে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৬০ কিমি প্রতি লিটারে এবং সেটা নিঃসন্দেহে হাইও্যেতে ৬৫ কিমি এর বেশি পাবো। একদিনে আমি রাইড করেছি ৬০ কিমি । একটানা ৬০ কিমি রাইড করে আমি কোন সমস্যা অনুভব করিনি।
সব কিছু মিলিয়ে আমার কাছে এই বাইকটা অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা যারা এই বাইকটি পছন্দ করেছেন বা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা নিঃসন্দেহে এই বাইকটা নিতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।