আমার বাড়ি গ্রামে কিন্তু পড়াশোনা আর পারিবারিক ব্যবসার প্রয়োজনে আমাকে শহরে থাকা লাগে একইসাথে কর্মব্যস্ত থাকলে প্রায় প্রতিদিনই গ্রামের বাড়ীতে যাওয়া আসা করা লাগে। গনপরিবহনে যাওয়া আসা করাটা সমস্যা ছিল না কিন্তু বর্তমান করোনা কালে সেটা আর নিরাপদ মনে না হউয়া এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্বার্থে আমি ৪ মাস আগে হোন্ডা কোম্পানীর নতুন পরিবেশন লিভোর মডেলের আপদেৎ লিভো ডিস্ক বাইকটা কিনে ফেলি। এখন পর্যন্ত আমি আমার লিভো ডিস্ক বাইকটা চালিয়েছি প্রায় ১৫৫০ কিলোমিটারের মত।
বলা বাহুল্য যে এই সময়ের মধ্যে আমি মোটরসাইকেলটাতে সরাসরি সমস্যা বলার মত কোনদিক খুজে পায় নি। তবে আমি দুইটা বিষয় উল্লেখ করতে চায় যেগুলো আমি মনে করি কোম্পানী চাইলে আরও ভাল করতে পারতোঃ
লিভো ডিস্ক বাইকটা পেছনের চাকা খুবই চিকন মনে হয়েছে আমার কাছে যার জন্যে অনেক সময় আমি বাইকটা ব্রেক/ব্যালেন্স করতে গিয়ে সমস্যা ফিল করি। আমি মনে করি পেছনের চাকাটা যদি সামান্য চওড়া হতো তাহলে এই বাইকের ব্রেকিং ব্যালেন্সিং কন্ট্রোল অনেক ভাল হতো।
মাইলেজ নিয়ে আমি একটু দ্বিধার মধ্যে আছি। প্রথমেই বলতে চায় যে আমি বর্তমানে মাইলেজ পাচ্ছি সর্বোচ্চ ৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার যা ১১০সিসির বাইক হিসেবে অনেকটাই কম বলে মনে হয়েছে আমার কাছে কারন হিসেবে বলতে পারি, একই বাইকে অনেকে মাইলেজ পাচ্ছে ৭০ কিলোমিটার প্রতি লিটার। এখন আপনারা বলতে পারেন যে আমার লিভো ডিস্ক বাইকটার ব্রেক ইন পিরিয়ড এখনও শেষ হয় নি। হ্যা আমিও এটা নিয়ে আশাবাদী যে ব্রেক ইন পিরিয়ড শেষ হলে আমিও ৬০-৬৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পাবো।
এখন যদি প্রশ্ন করা হয় যে বাজারে এই সেগমেন্টের আরও অনেক বাইক থাকার পরেও কেন আমি হোন্ডার লিভো ডিস্ক মডেলটা পছন্দ করলাম? এই ক্ষেত্রে আমার সরাসরি উত্তর হলো হোন্ডা কোম্পানি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই। আমাদের দেশে এমন মানুষ খুব কমই আছে যিনি হোন্ডা কোম্পানির নাম শুনেন নি আর এই সুনাম তো আর একদিনে অর্জন করা সম্ভব না তাই আমি নিজের বাইক কেনার সময় এই ব্রান্ডের দিকে দুর্বল ছিলাম আর লিভো ডিস্ক মডেল পছন্দ করার পেছনে কারন ছিল এই মডেলটার মার্জিতভাবে স্টাইলিশ ডিজাইন এবং ব্রান্ড অনুযায়ী অনেক কম দাম। তাছাড়া এই বাইকের রিসেল বেশভাল বলেই আমি জানি।
অন্যদিকে এই ৪ মাসে আমি আমার লিভো ডিস্ক ১১০সিসি বাইকটা একদিনে একটানা চালিয়েছি ১০০ কিলোমিটার আর সর্বোচ্চ গটি উঠয়েছিলাম ৮০-৮৫ কিলমিটার প্রতি ঘণ্টা। গতির ক্ষেত্রে উল্লেখ করা ভাল যে ৮০ বা ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি উঠানোর পরে নিঃসন্দেহে আরও গতি উঠানো সম্ভব ছিল কিন্তু ব্রেক ইন পিরিয়ড বা বাধ্যবাধকতার কারনে আমি আর চেষ্টা করিনি। আর একটানা ১০০ কিলোমিটার চালানোর পরেও আমি তেমন কোন সমস্যা টের পায় নি।