চলাচলের জন্য আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এর প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের তাগিদেই হয়তো মানুষের গাড়ি কেনা বা নিজস্ব যানবাহন কেনা।
ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলের জন্য আমি মোটরসাইকেল কে বেছে নিয়েছি কারণ এই শহরের মধ্যে চলাচল করতে গেলে মোটরসাইকেলের বিকল্প কোন কিছু নেই। মোটরসাইকেল এর মাধ্যমে খুব সহজেই একই স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করা যায় এবং ঢাকা শহরে এটি আমাকে খুব সহায়তা করে। যার কারণে এই লকডাউন পরিস্থিতি ও সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিই।
বাইক কেনার কথা মাথায় আসলে আমার কাছে ব্র্যান্ডটা সবার আগে আসে। আমি বিভিন্ন রিভিউ বা অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে হোন্ডা লিভো ১১০ সিসি কেই বেছে নিয়েছি। কারণ এই বাইকের ইউনিক ডিজাইন ১১০ সিসির মধ্যে আমি অন্য কোন ভাইকে খুঁজে পাইনি । বাইকটি দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এবং এ বাইকের মাসকিউলার লুকিং আমাকে খুবই আকৃষ্ট করেছে আর বাজেটের দিক দিয়ে তো সেরা বললামই। এই বাইকটা বেশিদিন হয়নি কেনা, আমি আজ আপনাদের সাথে একটি স্বল্প রাইডের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশা করি সাথে থাকবেন।
ভালো দিক
-বাইকটি চালিয়ে আমার কাছে খুবই আরামদায়ক মনে হয়েছে। সিটিং পজিশন যথেষ্ট বড় এবং এখানে দুইজন বসে খুব আরামে রাইড করা যায়। আমি সিটিং পজিশনে বসে রাইড করে খুবই আরাম অনুভব করি এবং আমার পিলিয়নও খুব আরাম অনুভব করে।
-ইঞ্জিন যথেষ্ট ভালো ১১০ সিসি হিসেবে। এই ইঞ্জিন পারফরম্যান্স আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। আমি এই বাইকের ইঞ্জিন অল্প রাইড করে বুঝেছি যে হোন্ডা আসলেই ভালো ইঞ্জিন সরবরাহ করেছে বাইকের সাথে।
-কন্ট্রোলটাও আমার কাছে খবই ভালো লেগেছে । বাইকটার ওজন ডিস্ট্রিবিউশন ভালো যার ফলে কন্ট্রোল খুব ভালো পাওয়া যায়। কন্ট্রোলের দিক দিয়ে কিছু কিছু বিষয় আরেকটু উন্নত করা যায় সেটা আমি খারাপ দিকের মধ্যে তুলে ধরবো।
-দামটা আমার মনে হয় যে ১১০ হিসেবে যথেষ্ট ভালো। এই বাজেটের মধ্যে আমি অনেক রিসার্চ করেছি এবং আমার কাছে হোন্ডা লিভো টাই সেরা মনে হয়েছে কারণ বাজেট অনুযায়ী এ বাইকের মধ্যে সকল ফিচার রয়েছে।
-আমি সামনের এবং পেছনের ব্রেকিং থেকে ফিডব্যাক ভালো পাচ্ছি। বিশেষ করে সামনের দিকের ব্রেকিং খুবই ভালো। আশা করা যায় যে আমাকে এই ব্রেকিং অনেক ভালো সাপোর্ট দেবে রাস্তায় চলাচলের জন্য । এখনো অনেক পথ চলা বাকি আছে।
-ডিজাইন পরে বলব কারণ এর ডিজাইন হয়তো আপনারা সবাই জানেন যে খুবই সুন্দর, মোটকথা ১১০ সিসির মধ্যে আমার কাছে অনেক বেস্ট ডিজাইন মনে হয়েছে। ডিজাইন এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমি মূলত বাইক টা কিনেছি তাই আমি ডিজাইন সহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও সন্তুষ্ট।
মন্দ দিক
-আমার কাছে প্রথমে যে বিষয়টি মন্দ লেগেছে তা হল এই বাইকের টায়ার সাইজ। পেছনের টায়ার খুবই চিকন হয়তো এর ফলে মাইলেজ বেশি হবে কিন্তু ব্যালেন্সটা খুব ভালো পাওয়া যাবে না। ভালো দিকের মধ্যে বললাম যে ব্যালেন্স টা ভালো কিন্তু এই বাইকের টায়ার যদি আরো মোটা দেওয়া হতো তাহলে ব্যালেন্স টা খুবই খুবই ভালো পাওয়া যেত।
-বাইকটির সাথে যদি ডিজিটাল মিটার কনসোল দেওয়া যেত তাহলে খুব ভালো হতো। আমার কাছে এই বাইকের মিটার কনসোল দেখে অনেকটা পুরনো পুরনো বাইক মনে হয়। মিটার ডিজিটাল করার সুযোগ আছে আমি মনে করি।
সবমিলিয়ে আমার কাছে হোন্ডা লিভো খুব ভালো লেগেছে ১১০ সিসি হিসেবে যথেষ্ট ভালো একটি বাইক। আমি এ বাইকটা খুব বেশিদিন রাইড করিনি তাই আমাদের সম্পূর্ণ বলতে পারছি না তবে স্বল্প রাইডে যে অভিজ্ঞতা পেয়েছি সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এখন আমার বাইক ব্রেক ইন পিরিয়ড এ আছে আশাকরি ব্রেক ইন পিরিয়ড শেষে আপনাদের সামনে আরও সম্পূর্ণ রিভিউ তুলে ধরবো। সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।