হোন্ডা লিভো ডিজিটাল মোটরসাইকেল রিভিউ - সাকিব হোসেন

বাইকটা মুলত কেনা হয়েছিলো শখের বসে । এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য বাইকের প্রয়োজন অনুভব করি। আরেকটা বিষয় সেটা হল আমি বাইক নিয়ে ঘুরতে খুব ভালোবাসি যার ফলে বাইক আমাকে খুবই আকৃষ্ট করে। আমার চাহিদা ছিলো যে কম বাজেটের মধ্যে সুন্দর লুকিং একটি মোটরসাইকেল আবার ব্রান্ড ভ্যালুটাও আমার কাছে একটা ব্যাপার ছিলো। এই সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমি বাইক খুঁজতে শুরু করলাম এবং হোন্ডা লিভো আমাকে সব দিক থেকে আকৃষ্ট করল। বাজেটের দিক থেকে বিবেচনা করলে আমি বলবো যে এই বাইকের এই বাজেটের মধ্যে সেরা ডিজাইন ও ব্র্যান্ড ভ্যালূ রয়েছে। অন্যদিকে হোন্ডার ইঞ্জিন নিয়ে আমার মনে কোন শংকা ছিলো না। এছাড়াও আরাম কন্ট্রোল ইত্যাদি সব দিক থেকে বাইকটি অসাধারন কিন্তু একটা বিষয় আমার কাছে একটু খারাপ লেগেছে সেটা হল এর পেছনের টায়ারটা একটু চিকণ যার জন্য ব্যালেন্স করতে একটু সমস্যা হয়। টায়ার চিকণের বিষয়টা বাদ দিয়ে এখন পর্যন্ত আমার কাছে অন্যান্য দিক ঠিক বলে মনে হয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত এই বাইকটি নিয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাইড করেছি। বাইকটি সদ্য কিনেছি এবং রাইড করার সুযোগ খুব কম পাই তাই তেমন চালানো হয় না।

আমার বাইকের ভালো দিকগুলো হচ্ছে
-গ্রাফিক্স ডিজাইনগুলো অনেক সুন্দর
-মাস্কুলার লুক
-মাইলেজ খুবই ভালো
-ইঞ্জিন পারফরমেন্স অসাধারণ

বাইকের খারাপ দিকগুল হচ্ছে
-এক্সজস্ট শব্দটা ভালো লাগেনি
-পেছনের টায়ার চিকণ

আমার পছন্দের কারণ-
আমার কাছে এই বাইকটি পছন্দ করার কারণ হচ্ছে সাধ্যের মধ্যে দাম এবং মাস্কুলার লুক যা কিনা আমার মত ইয়ং রাইডারদের জন্য আকর্ষনীয়। এই সকল বিষয় বাইকটি কেনার জন্য আমাকে খুবই প্রভাবিত করেছে।

আমি শহরের মধ্যে মাইলেজ পাচ্ছি ৪৭ কিলোমিটার এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৫২ কিলোমিটার প্রতি লিটারে।

আমি শুরুতেই উল্লেখ করেছি যে বাইকের সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো এর ডিজাইন এবং এর পাশাপাশি এর দাম। এছাড়াও বাইকের ইঞ্জিন পারফরমেন্স এখন পর্যন্ত খুব ভালো পাচ্ছি। সিটিং পজিশনে বসে বাইকটি চালিয়ে খুব আরামদায়ক মনে হয়। পেছনের টায়ারটা যদি আরেকটু মোটা হত তাহলে কন্ট্রোল আরও সুন্দর হত। ব্রেকিং সিস্টেম আপাতত ঠিক মনে হয়েছে। মোট কথায় সামান্য কিছু সমস্যা ছাড়া আমি বলবো যে এই বাইকটি এই বাজেটের মধ্যে সেরা একটি বাইক।

All HONDA bike price in bd

Honda Livo Digital Disc