বর্তমান সময়ের কথা বিবেচনা করে মটরসাইকেল কোম্পানি গুলো কিছু ভালো মডেলের মটরসাইকেল বাজারে নিয়ে আসছে এবং তরুণদের মাঝে নতুন মডেল গুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।বাংলাদেশের অনেক নামি ব্র্যান্ড হচ্ছে হোন্ডা। এই হোন্ডা কোম্পানি তরুণদের জন্য ইতিমধ্যে কিছু আসধারন মডেলের বাইক নিয়ে এসেছে তার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় মডেল হোন্ডা সিবিআর রেপসল।আমি এর আগে টিভিএস কোম্পানির অ্যাপাচি এবং ইয়ামাহা কোম্পানির ফেযার বাইকটি ব্যাবহার করেছি বাইক গুলো বেশ ভালো ছিল কিন্তু আমি হোন্ডা রেপসল বাইকটি দেখার পর থেকে কেনার ইচ্ছা জাগতে থাকে অবশেষে গত ২০ দিন আগে আমি এই বাইকটি কিনে ফেলি এবং ব্যাবহার করছি।আজকে কিছু কথা তুলে ধরব আমার অভিজ্ঞতা থেকে।
বাইকটি আমি দেখেছিলাম ঢাকাই তার পর থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয় কেনার তার পর আমার বাবাকে রাজি করানোর জন্য সময় লেগে যায় প্রায় ৩ মাস কারণ আমার সেই সময় ফেযার বাইকটি ছিল যায় হোক বাবাকে অনেক কষ্টে রাজি করানোর পর আমার স্বপ্নটি পূরণ হলো এখন আমি বাইক সম্পর্কে কিছু বলতে চাই আশা রাকছি সাথে থাকবেন।
আমি এখন পর্যন্ত ৩০-৪০ কিলোমিটার এর বেশি স্পীড উঠাইনি এবং এই ক্ষেত্রে আমি লক্ষ্য করেছি ইঞ্জিন তেমন গরম হচ্ছেনা এবং অনেক স্মুথ প্রথম অবস্থা অনুযায়ী আমি বেশ ভালো পারফরমেন্স পাচ্ছি আশা করছি ব্রেকিং পিরিয়ড পার হলে আরও ভালো পারফরমেন্স পাবো।এর সাথে আমি বাইকটির ডিজাইন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে বিশেষ করে যদি বলতে হয় আমার পূর্বের বাইকের তুলনায় এই বাইকের বডি কিট গুলো বেশ মজবুত। আমার কাছে বাইকটির মডেল সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে কারণ এটিতে ব্যাবহার করা হয়েছে মটোজিপি ভার্সন। বলা যায় এই উদ্দ্যশে আমি বাইকটি কিনেছি। আমার কাছে ট্যাঙ্কির ডিজাইনটি তেমন ভালো লাগেনি এবং সিটিং পজিশন থেকে বাইকটি কন্ট্রোল করতে একটু কষ্ট হয় বিশেষ করে করনারিং করার সময় আমার একটু কষ্ট হয়।বাইকটির সীট বেশ আরামদায়ক এবং আমি এখন পর্যন্ত মাটিতে পা রাখতে সমস্যার সম্মুখীন হয়নি।
আসাধারন কন্ট্রোলিং পাচ্ছি আমি যদিও তেমন কোন সমসার মধ্যে পড়তে হয়নি তবুও আমি মনে করি অন্যান্য বাইকের তুলনায় অনেক ভালো কন্ট্রোল।সামনের এবং পেছনের চাকা বেশ মোটা হওয়ার কারনে বেশ ভালো কন্ট্রোল পাচ্ছি।বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম অনেক উন্নত মনে হয়েছে আমার কাছে।এখন পর্যন্ত আমি কন্ট্রোলিং নিয়ে অনেক খুশী এবং আশা করছি আগামীতে এমন ভালো কন্ট্রোলিং পাবো।
বাইকটির হেডল্যাম্প বেশ ভালো এবং জোরালো আলো দিতে সক্ষম এটির কারণ হল দুইটি হেডল্যাম্প রয়েছে বাইক্তিতে।সুইচ গুলো বেশ পরিপাটি ভাবে সাজানো আছে এবং ব্যাবহার করে বেশ মজা পাচ্ছি।
আমি বাইকটি রাজশাহীর মিঠুন হোন্ডার শো-রুম থেকে বাইকটি কিনি তাদের ব্যাবহার বেশ বন্ধুসুলভ ছিল এবং বেশ কম সময় নিয়ে তারা আমাকে বাইকটি আমার হাতে ছেড়ে দিয়েছে।সব মিলিয়ে তারা আমার সাথে বেশ ভালো ব্যাবহার করেছে এবং আমি সন্তুষ্ট।বাইকটির দাম আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে।
সব মিলিয়ে আমার আকছে হোন্ডা রেপসল বাইকটি একটা স্পীড মেশিন মনে হয়েছে।
ভালো দিক
-ডিজাইন
-ইঞ্জিন
-কন্ট্রোলিং
-কিট
খারাপ দিক
-সিটিং পজিশন