হোন্ডা এক্স ব্লেড ব্যাবহারিক অভিজ্ঞতা আখতারুল ইসলাম

আমি প্রায় ১.৫ বছরের মধ্যে প্রায় ৫৫০০০ কিলোমিটার মত অ্যাপাচি আরটিআর ব্যবহার করেছি। কিছুদিন এই বাইকটি ব্যবহার করার পরে আমি কয়েকটি সমস্যা অনুভব করেছি এবং যার কারণে আমি একটি নতুন বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নেই। কিছু দিন পরে শুনলাম হোন্ডা এক্স-ব্লেড নামে একটি নতুন বাইক বাজারে আসছে। বাইকটি আসার পরে আমি বাইকটি দেখেছি এবং একই সেগমেন্টে অন্যান্য বাইকের সাথে তুলনা করে আমি ভেবেছিলাম দাম এবং ফিচার খুব ভাল। চার মাস আগে আমি এই বাইকটি কিনেছিলাম এবং এখন প্রায়৩৪০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি চলেছে বাইকটি।কয়েকটি জিনিস বাদে আমি এই বাইকের প্রতি সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট এবং আজ আমি আমার সন্তুষ্টির কারণগুলি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।যদি কোন ভুল দেখা যায় তবে আমি শুরু করার আগে ক্ষমা প্রার্থনা করি।

- এই বাইকটি আসলেও একটি আরামদায়ক এবং নিয়ন্ত্রিত বাইক। এর সীটিংপজিশনলং রাইডএবং শহরে চলাচল সবদিক থেকেই খুব আরামদায়ক। আমি কোনও ক্লান্তি ছাড়াই পিলিয়ন নিয়ে যতদূর ইচ্ছা যেতে পারি। একটি জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি, ৬০ এর কাছাকাছি স্পীড অতিক্রম করার পরে টায়ার মাটি আঁকড়ে ধরে আরও স্মুথ চলতে থাকে। আমি মনে করি বাইকের ওয়েটরেশিও অনুযায়ী খুব চমৎকার একটি দিক এই বাইকের।
- হোন্ডা সবসময় স্মুথ ইঞ্জিন পারফরম্যান্স নিয়ে সচেতন। এই বাইকের ক্ষেত্রেও তাই, ফাস্ট এক্সেলেরেশন, ভাল শক্তি এবং সব মিলিয়ে দুর্দান্ত গতি এই বাইকের ইঞ্জিনের একটা ভাল দিক। একবার আমি এই বাইকটি ১১৩ কিলোমিটার / ধন্টা গতিতে পিলিয়ন সহ রাইড করেছি, যা আরো স্পীডে উঠতো, তবে আমি নিরাপদ যাত্রায় বিশ্বাস করি তাই আর চেষ্টা করিনি।
- কর্নারিংএবং কন্ট্রোলিং অনেকটা উন্নত বলে মনে হচ্ছে। ব্রেকগুলি খুব কার্যকর এবং উভয় সাসপেনশনের পারফর্মেন্সে আমি মুগ্ধ।
- সবচেয়ে বেশি আমি এই বাইকের মাইলেজটি পছন্দ করি। আমি হাইওয়ে এবং শহর উভয়তেই গড়ে ৫০+ মাইলেজ পাচ্ছি।
- লং জার্নি আমার নিয়মিত প্রয়োজন এবং আমি আমার পরিবারের সাথে বেশিরভাগ সময় রাইড করি, তারা এই বাইকটি সম্পর্কে কোন বিষয়ে কখনও অভিযোগ করে না, আমিও করি না। একদিনে আমি এই বাইকটি নিয়ে প্রায় ২০০+কিলোমিটার ভ্রমণ করেছি এবং এতে আমি সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট ছিলাম।

যেমনটি আমি আগেই উল্লেখ করেছি, আমার এক্স ব্লেড নিয়ে আমার কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যদিও সেগুলি আমার নিজস্ব সমস্যা তবে আমি বলতে চাই।

- ভাল ফিচার এবং নতুন ডিজাইন করা রোবো-ফেস হেডল্যাম্পটি দেখতে খুব সুন্দর দেখায়, তবে আলোটি তেমন শক্তিশালী নয়। আমি মনে করি এই ধরণের বাইকের জন্য রাতেআরও ভাল হেডল্যাম্প থাকা উচিৎ।
- কখনও কখনও আমার বাইকের গিয়ার ইন্ডিকেটর নিজে নিজেই ০ হয়ে যায়। এমনকি আমি তৃতীয় বা চতুর্থ গিয়ারে আছি এমন সময়েও। কয়েকবার গিয়ার পরিবর্তন করার পরে জিনিসটি ঠিক হয়ে যায়।
- আমি মনে করি কিক স্টার্টের অবস্থানটি আরও উপযুক্ত হতে হবে। আমি যখন কিক স্টার্টটি ব্যবহার করব তখন আমার পাদানী উপরে তুলে তারপর কিক করতে হয়। এটি খুব বিরক্তিকর এবং সময়সাপেক্ষ।

সমস্ত ফিচার এবং পারফরম্যান্সের সংমিশ্রণে আমি বাইকের খারাপ লাগাগুলো উপেক্ষা করতে পারি। কারণ আমি দুর্দান্ত কমফোর্ট এবং নিখুঁত মাইলেজ পাচ্ছি। সুতরাং, আমি সন্তুষ্ট, যারা এই বাইকটি কিনতে আগ্রহী তারাও ব্যবহার শুরু করার পরে সন্তুষ্ট হবে।
ধন্যবাদ।

All HONDA bike price in bd

Honda X Blade