হোন্ডা এক্স ব্লেড ব্যাবহারিক অভিজ্ঞতা এম. মোর্শেদ

আমার বাড়ি থেকে অফিস দূরে হউয়ার কারনে অনেক দিন থেকেই একটা মোটসাইকেলের প্রয়োজন মনে করছিলাম কিন্তু অফিসিয়াল কাজের জন্যে যেমন মোটরসাইকেল সবাই ব্যবহার করে সেগুলা আমার প্ল্যানে কখনই আসেনি। আমি সবসময়ই চেয়েছি ব্যতিক্রম কিছু তাতে যদি আমাকে কিছু বেশি খরচ করা লাগে তাতেও সমস্যা নাই। বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী একটি ব্রান্ড হলো হোন্ডা আর এই ব্রান্ড বর্তমানে তাদের মডেল ডিজাইনে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে বলেই আমি মনে করি। একটা ভালমানের মোটরসাইকেল কেনার কথা মাথায় নিয়েই আমি তাদের শোরুমে যায় এবং তাদের ১৬০সিসি সর্বশেষ সেগমেন্টের সর্বশেষ মডেল এক্স-ব্লেড বাইকটা আমার ভাল লাগে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমি এই মডেলটা দেখে ভেবেছিলাম যে আমাকে হয়তো অনেক বেশিই দাম দেয়া লাগবে কারন এটি তাদের সর্বশেষ মডেল কিন্তু আমি যখন দাম জিজ্ঞেস করলাম, শুনে একরকম অবাক হউয়ার মতই অবস্থা কারন এই সেগমেন্টের অন্যান্য ব্রান্ডের বাইকের দাম অনেক বেশি। মুলত আমার বাজেটের সাথে মিলে যাওয়ার কারনে আমি অন্য কোন ব্রান্ডের বাইক আমি আর দেখতে যায়নি কারন হোন্ডার মত একটা ব্রান্ডে ভরসা নিয়ে প্রশ্ন কোন জায়গা নাই বলে আমি মনে করি। আজ প্রায় ১৫ দিন হলো আমি এই বাইকটা ব্যবহার করছি যা এখন পর্যন্ত ৭৫০ কিলোমিটারের মত চালিয়েছি। একথা বলে রাখা ভাল যে এই দুরুত্ব বা সময় কোনটাই একটি বাইককে বোঝার জন্যে যথেষ্ট না তবে আমার দেখা আমার বাইকটার সবচেয়ে ভাল কয়েকটা দিক হলঃ

-এই বাইকের ব্যালেন্সটা অসাধারন যা আমাকে যেকোন পথে সবচেয়ে ভাল কন্ট্রোল দেয়।
-অনেক পাওয়ারফুল একটা বাইক। আমি আশা করি সামনে দিনে অর্থাৎ ব্রেক ইন পেরিয়ড শেষ হউয়ার পরে আমি অনেক ভাল পারফরমেন্স পাবো
-এই সেগমেন্টের মানে ১৬০সিসি সেগমেন্টের বাইক হিসেবে অনেক ভাল মাইলেজ পাচ্ছি এখন আর আমি মনে করি সময়ের সাথে সাথে মাইলেজ বৃদ্ধি পাবে।বর্তমানে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার যা এই সেগমেন্টের একটা বাইক থেকে যথেষ্ট বলেই মনে হয়।
-বাইকটার কম্ফোর্ট অনেক ভাল কারন আমি এখনও সামান্য পরিমানে ক্লান্তি অনুভব করিনি অনেক খারাপ রাস্তাতে চালিয়েও।

একইসাথে এই বাইকের বেশ কিছু আরও ভাল হতে পারতো বলে আমার মনে হয়েছে এবং আমি এগুলা ক্রমান্বয়ে উল্লেখ করছি এবং আশা করছি কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারগুলা আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবেঃ

-হেডলাইটের আলো আমার কাছে কম বলে মনে হয়েছে
-সিটিং পজিশনটা ঠিক কেন জানি আরামদায়ক বলে আমার মনে হচ্ছে না, হয়তো ব্যবহার করতে করতে ঠিক হয়ে যাবে
-একটু বেশি গতিতে ব্রেক করলে পেছনের চাকা স্কিড করে এর কারন সম্ভবত পেছনের চাকার গ্রিপিং এর সমস্যা
-বাইরের কিট বেশিরভাগই প্লাস্টিকের আবার সেগুলা খুব একটা শক্তপোক্ত বলেও মনে হয় না
-এতবড় একটা বাইক কিন্তু এর ফুয়েল ক্যাপাসিটি এর সাইজ অনুযায়ী কম বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে

যেহেতু নিজের মত করে ব্যবহার করার সময় এখনও আসে নি তাই আমি আমার বাইকটা অনেক সাবধানেই চালাচ্ছি।
এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এবং একটানা চালিয়েছি প্রায় ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।

All HONDA bike price in bd

Honda X Blade