কাওয়াসাকি মানেই স্পীড, স্টাইল এবং গুণগতমানের সংমিশ্রন, যা শুধুমাত্র হাতেগোনা কয়েকটি মোটরসাইকেল কোম্পানি দিতে পারে। সারা বিশ্বে কাওয়াসাকি জনপ্রিয়, শক্তিশালী, স্টাইলিশ এবং টেকসই বাইকের কারণে প্রচলিত এবং সেগুলো ব্যাবহার করা আসলেও আনন্দদায়ক। এমনকি তারা দ্রুততম মোটরসাইকেল তৈরির রেকর্ডও ধরে রাখে। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে, কাওয়াসাকি বহু বছর ধরে পাওয়া যায়, কিন্তু এশিয়ান মোটরবাইকস লিমিটেডের হাত ধরে এই ব্র্যান্ডটি অথোরাইসডভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। Kawasaki Ninja 125 বাংলাদেশের বাইকারদের জন্য নিয়ে আসা তাদের সবচেয়ে বিশিষ্ট মডেলগুলির মধ্যে একটি। নিনজা ১২৫ লো থেকে মিড-রেঞ্জের ইন্ট্রি লেভেল এবং কমপ্যাক্ট ফিচারযুক্ত একটি বাইক যা টিউন করা হয়েছে, কাওয়াসাকির হাই সিসি বাইকের কিছুটা ফিল নিয়ে রোমাঞ্চ উপভোগ করার জন্য। তাহলে চলুন এই বাইকের ফিচারগুলি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
Kawasaki Ninja 125 এর স্পেশাল ফিচারসঃ
- স্মুথ পাওয়ার ডেলিভারি ক্ষমতাসহ এফআই ইঞ্জিন
- ভালো পারফরম্যান্সের জন্য লিকুইড কুলড সিস্টেম
- কেটিআরসি (কাওয়াসাকি ট্র্যাকশন কন্ট্রোল)
- কেএলসিএম (কাওয়াসাকি লঞ্চ কন্ট্রোল মোড),
- কেআইবিএস (কাওয়াসাকি ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম)
ডিজাইন এবং লুকঃ অন্যান্য নিনজা মডেলের মতো, এই বেবি নিনজা ১২৫-বাইকটিও আকর্ষনীয়, এবং ফুল-ফেয়ারিং বডিওয়ার্ক রয়েছে। এর স্লিম প্যাকেজকে পরিপূর্ন করে, এর ফ্লের্ড এবং অপেক্ষাকৃত বড় কিটগুলির কম্বিনেশন, এরোডাইনামিক্স বেশ এডভান্সড হওয়াতে বাইকটি বেশ গতিশীল। এগ্রেসিভ সিঙ্গেল প্যাটার্ন বাল্ব হেডল্যাম্প লাইটওয়েট ইমেজে দেই এবং শার্প উইন্ডস্ক্রিন এবং স্পোর্টি চাকার সাথে এই নতুন নিনজাকে একটি সুপার স্পোর্ট বাইক মনে হয়। বাইকটিতে রয়েছে স্পোর্টি ডিক্যালস এবং এজি ডিজাইন। সবকিছুর সমন্বয়ে Kawasaki Ninja 125- বাইকটি অনন্য ডিজাইনের অধিকারি, যা খুব সহজেই সনাক্ত করা যায়। বাইকটি দেখলে একনজরে বেশ পেশীবহুল দেখায়।
ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশন:Kawasaki Ninja 125- বাইকে 4-স্ট্রোক, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ডিওএইচসি 125cc ইঞ্জিন রয়েছে। ইঞ্জিনটি অয়েল কুল্ড এবং এফআই টেকনোলজি সম্পন্ন, যা স্মুথ পাওয়ার ডেলেভারি দিতে পারে। ইঞ্জিনটি 15BHP @ 10000rpm শক্তি এবং 11.7Nm@ 7700rpm টর্ক তৈরী করতে পারে। মাঝারি টর্ক রেঞ্জের সাথে এই ধরণের শক্তির সংমিশ্রণে বেবি নিনজা 120 KM/H সর্বোচ্চ গতিতে যেতে পারে। FI-এর সাথে সংবেদনশীল ECU ইউনিটের কারণে মাইলেজ গড়ে 45 KM/L হবে। এই বাইকে একটি 6-স্পীড গিয়ারবক্স রয়েছে, যা এতে স্লিপার ক্লাচের অনুপস্থিতি কিছুটা পূরন করে দিতে পারে। ইঞ্জিন চালু করতে ইলেক্ট্রিক স্টার্টিং অপশন থাকছে এই বাইকে।
বডি ডাইমেনশনঃ Kawasaki Ninja 125 এন্ট্রি-লেভেল স্পোর্টস ক্যাটাগরিতে ডিজাইন করা হয়েছে; তাই বাইকের সিটের উচ্চতা 785mm যা বেশ কম। স্পোর্টস ডিজাইন আরও ফুটিয়ে তুলতে ক্লিপ-অনও হ্যান্ডেল রয়েছে, যা এই সেগমেন্টে অন্যদের তুলনায় এটিকে আরও বেশি এগ্রেসিভ বাইক করে তোলে।
আমরা যদি কাওয়াসাকি নিনজা ১২৫-এর অন্যান্য ডিয়ামেনশনের কথা বলি তাহলে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা এবং ওজন যথাক্রমে 1935 মিমি, 685 মিমি, 1075 মিমি এবং 148 কেজি। বেবি নিনজার একটি ভারসাম্যপূর্ণ হুইলবেস থাকছে যা 1330 মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স পর্যাপ্ত এবং সেটি হল 170 মিমি।
ব্রেক এবং টায়ার:ডুয়াল-চ্যানেল ABS-এর কারণে Kawasaki Ninja 125-এ অবশ্যই সেরা ব্রেকিং সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি রয়েছে। সামনে ABS সহ 290mm ডিস্ক রয়েছে যা জরুরি ব্রেকিংকে বেশ ভাল পারফর্ম করবে। পিছনে ABS সহ 220mm ডিস্ক রয়েছে, যা ধীর গতির রাইডকে সহজ এবং আরও আরামদায়ক করে তোলে।
Kawasaki Ninja 125 এ রয়েছে অ্যালয় হুইল। এগুলোর উপর সামনে 100/80 এবং পিছনে 130/70 টায়ার স্থাপন করা হয়েছে। সামনের টায়ারটি বাইকের জন্য পারফেক্ট, তবে বডি ডাইমেনশন অনুযায়ী পেছনের টায়ার 140/70 হলে পারফেক্ট হতো।
সাসপেনশন সেটআপঃ Kawasaki Ninja 125 সামনে বেসিক টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে একটি মনো-শক সহ বাজারে এসেছে। সামনের দিকের হুইল ট্রাভেল প্রায় ১১০ মিমি যা এটিকে বেশিরভাগ বাংলাদেশি রাস্তার জন্য উপযুক্ত করে তোলে। পেছনের দিকে ১২০মিমি এর হুইল ট্রাভেল আছে, যা খুবই ভালো এবং এই ধরনের হুইল ট্রাভেলের সাথে কর্নারিং হবে বেশ ভাল।
শেষকথাঃ এই বেবি নিনজা দুটি কালার ভেরিয়েন্টে পাওয়া, প্রথমত WSBA ভেরিয়েন্ট এবং ম্যাট ব্লাক এডিশন। সবমিলিয়ে, Kawasaki ninja 125 বাংলাদেশের রাস্তায় চলমান সবচেয়ে শীর্ষস্থানীয় এবং উচ্চ বৈশিষ্ট্যের মোটরসাইকেলগুলির মধ্যে একটি। Ninja 125 সেসকল বাইকারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে যারা একটি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড লেভেল সহ একটি এন্ট্রি-লেভেল স্পোর্ট বাইক ব্যাবহার করতে চান এবং বাজেট নিয়ে চিন্তা নেই। বাইকটির গুণগতমান এবং কাওয়াসাকির ব্রান্ড ভ্যালু এই বাইকে যে বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করেছে তা সত্যিই অসাধারণ।