সুজুকি এক্স১০০, পালসার ১৫০ এবং বাজাজ ডিস্কোভার ১৩৫ বাইকগুলো ব্যবহার করার পর কিছুদিন আগে একটি বাইক কিনেছি যার নাম কিওয়ে কে লাইট ১৫০। কিওয়ে কোম্পানী নতুনভাবে তাদের এই বাইকটি বাজারে নিয়ে আসে। সুপারলাইট স্টক আউট হওয়ার পরে নতুন এই বাইকের আবির্ভাব। আমি এই বাইকটা কিনেছি এর আকর্ষণীয় লুকস এবং ডিজাইন দেখে কারণ এই সেগমেন্টে অন্যান্য বাইকের থেকে একটু ভিন্নধর্মী লুক । আমি এই বাইকটি কয়েকদিন যাবত ব্যবহার করছি এবং গত কয়েকদিন যাবত ব্যবহারের ফলে এই বাইক নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে যা মোটরসাইকেল ভ্যালীর মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ইঞ্জিনের পারফরমেন্স আমার কাছে মোটামুটি মনে হয়েছে। খুব বেশি থ্রটল রেসপন্স নাই আবার খুব খারাপ ও নাই। ইঞ্জিন থেকে যে পরিমাণে শক্তি উৎপাদন হয় তা আমার কাছে এই বাইকের গঠনের সাথে যথেষ্ট বলে মনে হয়নি। ইঞ্জিনের দিকটা আরও উন্নত করা উচিত।
হ্যান্ডেলবার সোজাসুজি হওয়ার ফলে সিটিং পজিশনে বসে হ্যান্ডেলবার ধরে অনেক মজা পাই এবং ব্যাক পেইন হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। পিলিয়নের সিটিং পজিশন গ্রাবরেল না থাকলে খুবই বিরক্তিকর । এদিকে হ্যান্ডেলবারের সুইচগুলো খুবই খারাপ এবং অভ্যাস্ না থাকলে এই সুইচগুলো ব্যবহার করে অস্বস্তিবোধ হবে।
বাইকের কন্ট্রোল অনেক ভালো মুলত এই বডি শেপের জন্য ভালো কন্ট্রোল করা যায়। ব্রেকিং সিস্টেম বেশ ভালোই মনে হয়েছে এদিকে সাসপেনশন এর পারফরমেন্স আরেকটু উন্নত হওয়া দরকার ছিলো। আমি টপ স্পীড তুলেছি ৯৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা এবং ভাইব্রেশন খুবই কম ছিলো।
বাইকের খারাপ দিকের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এই বাইকের মাইলেজ। আমি খুবই কম মাইলেজ পাচ্ছি যা মেনে নেওয়ার মতন না।
সার্ভিস সেন্টারের মান আরও উন্নত করা উচিত বলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি। তাদের আরও উন্নত সার্ভিস দেওয়া উচিত। দাম হিসেবে আমি বলবো যে এই সেগমেন্টে দামের দিক থেকে সেরা একটি বাইক আর এর লুক দেখে দামের বিষয়টা মাথায় আসবে না।
যারা এই বাইকটি কিনতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- জ্বালানি খরচের কথা যদি কারও কোনো ভাবনা না থাকে তবে তার জন্য অনেক ভালো মানের একটি বাইক হবে এটা।