বাংলাদেশের উদীয়মান কিছু মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি যে কিওয়ে অন্যতম।তাদের প্রোডাক্টগুলো পারফরমেন্স,কোয়ালিটি ইত্যাদি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমি আব্দুল্লাহ আল মামুন (হাসিব)পেশায় আমি একজন ব্র্যাক এইচ আর ডি এর আইটি প্রফেশনাল।আমার বাসস্থান লুতফর রহমান সড়কব বরিশাল। আমার অনেক দিনের শখ ছিলো যে নিজের একটা মোটরসাইকেল থাকবে এবং অফিসের প্রয়োজনেও আমি মোটরসাইকেলের প্রয়োজন অনুভব করি। বর্তমানে আমি ব্যবহার করছি কিওয়ে আর কে এস ভার্সন২ ১০০ সিসির এই বাইকটি। এই বাইকটি আমার ব্যবহৃত প্রথম বাইক এর আগে আমি কোন বাইক ব্যবহার করিনি। দীর্ঘ ১.৫ বছর যাবত আমি এই বাইকটি ব্যবহার করে আসছি। এই দীর্ঘ ১.৫ বছরে এই বাইকটি ব্যবহার করে কিছু ভালো মন্দ দিক আমার চোখে পড়েছে যেটা আমি আজ আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করতে যাচ্ছি।
প্রথমত আমি বলবো যে বাইকটি চালিয়ে আমি অনেক আরাম অনুভব করি। আমি অন্যান্য ১০০ বাইক চালিয়েছি এবং আমার কাছে এতটা আরাম কোন বাইকে লাগেনি। যাই হোক বাইকটির সিটিং পজিশনটা অনেক সুন্দর এবং বর্তমান সময় তুলনায় অনেক স্টাইলিশ। সিটিং পজিশনে বসে হ্যান্ডেলবারটা ধরে আমার বেশ আরাম লাগে। মনে হয় যেন আমি ১০০ সিসির বাইক চালাচ্ছি না। হ্যান্ডেলবারের সুইচগুলো আমার কাছে অনেক ভালো মানের মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে আমার কাছে বেশ ভালো মনে হয়েছে।আরেকটি দিক যেটা হল ১০০ সিসির বাইক হিসেবে আমি এর হেডল্যাম্পের আলোর কোন ঘাটতি পায়নি। অপরদিকে বাইকটি চালিয়ে আমি যথেষ্ট ভালো কন্ট্রোলিং পেয়েছি। বাইকটি ওজন, ব্রেকিং ইত্যাদি আমাকে ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। ব্রেকিং এর কথা বলতে গেলে সামনে পেছনে উভয়দিকেই যথেষ্ট ভালো ব্রেকিং রয়েছে। তবে আমি একটু বেশী জোরে ব্রেক করলে পেছনের চাকাটা হালটা স্কীড করে। ব্রেকিং এর পাশাপাশি আমি মনে করি এর সাসপেনশনটাও বেশ ভালো ও আরামদয়ক। বাইকটির টায়ারটা আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে। আমি মনে করি যে টায়ারটা আরেকটু চওড়া দিকে ভালো ব্যালেন্সিং ও কন্ট্রোলিং পাওয়া যেত। তবে চিকন টায়ার থাকার ফলেও যথেষ্ট ভালো ব্যালেন্সিং আমি পেয়েছি। সব কিছু মিলিয়ে ১০০ সিসি বাইক হিসেবে আমি কম্ফোরট এবং কন্ট্রোলিং এর কোন ঘাটতি পাইনি। আমি ১০০ সিসির এই বাইকটি নিয়ে প্রায় ৮৮ কিমি টপ স্পীড তুলতে সক্ষম হয়েছি এবং আমি কোন প্রকার ভাইব্রেশন অনুভব করিনি।
বাইকটি যে দিকটা
খুবই আকর্ষণীয় সেটা হল এর ডিজাইন। ১০০ সিসির বাইক হিসেবে এত অতুলনীয় ডিজাইন ভাবায় যায় না। আমি প্রথম যখন রাস্তায় বাইকটি দেখি তখন মনে করেছিলাম এটা ১২৫ সিসি বা ১৫০ সিসির বাইক।তারপর সব কিছু জানতে পেরে আমি প্রায় অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যাই হোক ডিজাইনে আমি কোন কমতি পায়নি।ডিজাইন এর পাশপাশি আমাকে এর বিল্ড কোয়ালিটি টাও অনেক ভালো লেগেছে। আমাকে এর বিল্ড কোয়ালিটিটা অনেক ভালো ও মজবুত মনে হয়েছে।
বাইকটির তেল খরচটা আমার কাছে মোটামুটি মনে হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি যে বাইকটির তেল খরচ আরও কমানো গেলে ভালো হতো। ১০০ সিসির বাইক হিসেবে মাইলেজটা তুলনামূলক কম যায়।
আমি মনে করি যে কিওয়ে কোম্পানী তাদের সার্ভিসিং নিয়ে অনেক পিছিয়ে। আমি তাদের সার্ভিসিং সেন্টারে বেশ কয়েকবার গিয়েছি এবং তাদের ঠিক করার মান অভিজ্ঞতা আমার কাছে মোটামুটি মনে হয়েছে। আমার মনে হয় তাদের সার্ভিসিং সেন্টারের মান টা আরও উন্নত করা দরকার।
বাইকটির যে দিকটি আমার ভালো লেগেছে সেটা হল এর ডিজাইন আর বাইকটির কোন দিকই আমার কাছে খারাপ মনে হয় নি।সব কিছু বেশ ভালো।
বাইকটির দাম অনুযায়ী আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি দাম টা একটু বেশী। আমার মতে এর দামটা একটু কম হলে ভালো হতো। তবে সমস্ত কিছু বিবেচনা করে বলা যেতে পারে যে বাইকটি অনেক ভালো এবং কেউ যদি নিতে চান তবে চোখ বন্ধ করে নিতে পারেন।