কিওয়ে আরকেএস ১২৫ বাইকটি কেনার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম বাবার কাছ থেকে। আমার বাবা তার জীবনে অনেক বাইক ব্যবহার করেছেন এবং বাইকের ব্যাপারে তার অভিজ্ঞতা বলতে গেলে বেশ ভালো। আমাকে বাইকটা সাজেস্ট করার পর আমি প্রথমেই এর ডিজাইন দেখে মুগ্ধ হই। ১২৫ সিসির একটা বাইকে ১৫০ সিসির মত ডিজাইন করা হয়েছে। বাইক নিয়ে আমি খুব বেশি যাতায়াত করি না , বাসা থেকে কর্মস্থল এবং ছুটির দিনে একটু ঘুরাফেরা করা হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ মাসে ২০০০ কিমি রাইড করেছি । এই দুই মাসে বাইকটি ভালো মন্দ বিষয়গুলো নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আজকে আমি মোটরসাইকেল ভ্যালীর মাধ্যমে শেয়ার করবো।
প্রথমেই বলি এই বাইকের ভালো দিক
-ডিজাইন খুবই সুন্দর
-মাইলেজও বেশ ভালো
-খারাপ রাস্তায় ঝাঁকুনি কম লাগে কারণ এর সাসপেনশন অনেক স্মুথ কাজ করে
-টপ গিয়ার ও স্পীডে বাইক একদম স্মুথ থাকে
-সিটিং পজিশন অনেক আরামদায়ক
বাইকের খারাপ দিকের মধ্যে শুধুমাত্র রয়েছে এর টায়ার। টায়ারের স্টাইলটা অনেক সুন্দর কিন্তু এর গ্রিপগুলো ভালো না। টায়ার মাঝে মাঝে স্কীড করে।
এই বাইকটা পছন্দ করার সবচেয়ে বেশি কারণ হচ্ছে এর ডিজাইন। ডিজাইনটা সত্যিই অসাধারণ।
আমি শহরের মধ্যে মাইলেজ পাচ্ছি ৫০ কিমি প্রতি লিটারে এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পাচ্ছি ৫৫ কিমি প্রতি লিটারে।
১২৫ সিসি হিসেবে ইঞ্জিন ক্ষমতা আমার কাছে ঠিক মনে হয়েছে । ইঞ্জিনের কোন প্রকার সমস্যা আমি এখনও অনুভব করছি না। ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো লাগছে তবে টায়ারটা একটু সমস্যা তৈরি করছে। বাইকের আপরাইট হ্যান্ডেলবার ও সুন্দর সিটিং পজিশন হওয়ার ফলে খুব ভালোভাবে কন্ট্রোল করা যায়। আমার কাছে বাইকটি টেকসই বলে মনে হয়েছে এবং আমি বলবো যে “ দেখে বিচার না করে চালিয়ে বিচার করা ভালো “ । এই ছিলো স্বল্প আকারে আমার বাইক নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা। সবাইকে ধন্যবাদ।