আমি নাফিস আহমেদ খান ।আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাইক নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা এবং মতামত শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন।
বাইক কেনার শখ অনেক আগে থেকেই।আমি সবসময়ই দেখতে সুন্দর স্টাইলিশ বাইক পছন্দ করতাম কিন্তু বাইক কেনাটা একটা বাজেটের বিষয় আর আমার বাজেট অত বেশী ছিলনা তাই দেখলাম Keeway কম দামের মধ্যে অনেক ভাল বাইক সরবরাহ করছে। তাই আমি Keeway কিনতে আগ্রহী হই। আর যাই হোক আমি কম দামের মধ্যে Keeway এর একটি স্টাইলিশ বাইক পাচ্ছি। এই কারণে আমি keeway RKS 150 sport বাইকটি কিনতে ইচ্ছুক হই। আমি সব সমই ডিফারেন্ট কিছু চালাতে পছন্দ করি। তাই কোন কিছু চিন্তা না করে কিনে নিলাম keeway RKS 150 sport এবং আমি মনে করি এই বাইকটা কিনে আমি ঠকি নাই কারণ বাইকটিতে আমার যথেষ্ট পরিমান কন্ট্রোল আছে। স্পীডের কথা বলতে গেলে অন্যান্য ১৫০ সিসি বাইকের তুলনায় কম না।
আমি আমার বাইক নিয়ে ইতমধ্যেই রাইড করেছি ঢাকা আরিচা মহাসড়কে। প্রথমে মনে হয়েছিল যে ওয়েটটা একটু কম তাই হাইওয়ে তে সমস্যা হতে পারে কিন্তু আমি নিজেই একটু অবাক হয়েছি যখন আমি আমার বাইক ১১৪ কিমি প্রতি ঘণ্টায় চালিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে
হয়নি। হাইওয়ে তে পেছনে একজন নিয়ে চালাতে বেশ মজা পাই কারণ আমি অনেক ভাল কন্ট্রোলিং পাই। আমার বাইক নিয়ে আমি একদিনে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট রাইড করেছি সেটা ছিল ঢাকা টু মানিকগঞ্জ। মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফেরার পথে রাস্তায় বাজাজ পালসার আমার বাইকের সাথে টানা শুরু করল সেটা দেখে আমার বন্ধু শিমুল বলল যে দোস্ত চল একটা রেস হয়ে যাক আমিও ভাবলাম একটু টেনেই দেখি। এরপর আমি একটানে ১১৪ কিমি তুললাম এরপর দেখি পালাসার আমার আগে যেতে পারলো না। মানিজগঞ্জ থেকে নবীনগর পর্যন্ত এইভাবেই চালালাম শেষ পর্যন্ত পালসার আমাকে ধরতে না পেরে পেছনেই থেকে গেল। এই ছিল আমার Keeway RKS 150 Sport নিয়ে হাইওয়ের অভিজ্ঞতা।
বলে রাখা ভাল আমার বাইকটির আউটলুক অনেক সুন্দর এবং মাইলেজ অনেক ভাল। একটানা অনেকক্ষণ রাইড করার পরেও আমি কোন ব্যাক পেইন অনুভব করিনি এবং খুব আরাদায়কের সাথে চালিয়েছি। সবার উচিত যার যার বাইক ঠিক সময় মত সার্ভিসিং করা। আমি মাসে ৩ বার বাইক ওয়াশ করি এবং অন্য সময় নর্মাল ও্য়াশ করি । কারণ বাইকে পানি গেলে ইলেক্ট্রনিক্সের সমস্যা হতে পারে। আমি প্রায় ৭ দিন পর পর বাইকের চেইন টাইট দেই এবং অন্যান্য যেমন প্লাগ এয়ার ফিল্টার ইত্যাদি পরিস্কার করি। মবিল ৮০০ কিমি পর পর চেঞ্জ করি এতে বাইকের সাউন্ড অনেক স্মুথ থাকে। বাইকটি কিনে আমি বেশ সন্তুষ্ট।
আমার বাইকের কিছু ভাল দিক
দেখতে ভাল, কন্ট্রোলিং ভাল, অন্য ১৫০ সিসির বাইকের থেকে কোন অংশে কম না, মানুষ যখন বলে বাইকটা অনেক সুন্দর তখন খারাপ দিক থাকলেও চোখে পড়ে না। অবশ্যই আমি মনে করি Keeway অনেক স্ট্রং একটি বাইক।যত্ন নিলে অনেক বেশী টেকসই এবং অনেক লাস্টিং করবে।
আমার বাইকের কিছু খারাপ দিক
চেইনটা খুব তারাতারি ক্ষয় হয়ে যায়, বাইকের ওজনটা আরেকটু বেশী হলে ভাল হত,ঘাড় লকটা সাইডে না হয়ে একসাথে থাকলে ভাল হত, আরেকটা জিনিস আমার কাছে খুব খারাপ লাগে যে ফুয়েল মিটারটা এবং ফুয়েল পরিমাণ যথাযথ ভাবে দেখা যায় না যেটা বিরাট সমস্যা।
এর বেশী আর বলার কিছু নেই। আমি আমার বাইক নিয়ে খুব ভাল আছি এবং আমার পরামর্শ যে কম দামে বাইক নিলে Keeway বাইকগুলো প্রেফার করব।
হ্যাপি রাইডিং, সেফ রাইডিং।