বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এবং কাজের গতিকে আরো গতিময় করে তোলার জন্য KEEWAY RKS SPORT 150cc বাইকটির তুলনা হয় না। বাইকটি যেমন দেখতে ঠিক তেমনি এর পারফরমেন্স, যা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে অতি উপযোগী বাইক বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। তাই এই বাইকটি আমি এতো বেশি পছন্দ করি এবং ভালবাসি।
আমি মোঃ আজিজুল হক, পেশা হিসেবে আমি ব্যবসাটিকে বেছে নিয়েছি। তাই এই ব্যবসার উন্নতি কল্পে এবং আমার ব্যবসাটিকে আরো দ্রুত গতিশীল করার কাজে বাইক অতি প্রয়োজনীয় একটি বাহন। যা আমাকে অতি অল্প সময়ে সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে পৌঁছে দিয়ে অধিক কাজে সাহায্য করে। তাই আমার কাছে বাইক আমার ব্যবসার একটি বড় কর্মী বলেন আর আমার সঙ্গী বলেন দুটোই ঠিক। যাকে ছাড়া আমি একটি দিনও অতিবাহিত করতে পারি না। ছোট বেলা থেকেই আমার বাইকের প্রতি প্রচন্ড টান ছিল। তাই একটু বড় হতেই আমি বাইক চালানো শিখি এবং অনেক বাইক ব্যবহার করি। তবে নিজ বাইক বলতে আমি ব্যবসা শুরু করার পর কিনি এবং এটি আমার জীবনের ২য় বাইক। KEEWAY RKS SPORT 150cc বাইকটি আমি ৬ মাস যাবৎ ব্যবহার করছি এবং এই বাইক সম্পর্কে আমি বেশ কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি যা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে চাই। আশা করি এতে আপনাদের বাইক ব্যবহার এবং নতুন বাইক কেনার মধ্যে মতো মানসিকতা তৈরি হবে।
এই বাইকটি দেখতে বেশ সুন্দর এবং এর ইঞ্জিনটিও বেশ ভাল। তবে বাইকটির মডেল কিছু কিছু দিক বাদ দিয়ে আমার কাছে পারফেক্ট বলে মনে হয়েছে। এর ডিজাইনটা বেশ সুন্দর লাগে আমার কাছে। আমার কাছে মনে হয়, যে কোন ব্যক্তি এই বাইকটি পছন্দ করবে। কারণ বাজারের অন্য ১৫০সিসি বাইকের তুলনাই এই বাইকটি দেখতে অতি সুন্দর এবং মর্ডাণ। তবে বাইকটির বীল্ড কোয়ালিটি আমার কাছে তেমন মনে হয়নি। এর প্লাস্টিক বডিটাই বেশি চোখে পড়ে। এর ট্যংকারের গঠনও দেখতে বেশ সুন্দর তবে ট্যংকারের সাথে ইন্ডিকেটর লাইট সেট করলে আরো বেশি ভালো লাগতো বলে আমার মনে হয়। এমনকি বাইকটির হেডলাইটের বডিটা আমার কাছে ছোট বলে মনে হয়েছে তবে আলোর কোন কমতি নেই, রাতে বেশ ভালো আলো দেয়। এছাড়া বাইকটির সিটিং পজিশন বেশ আরাম দায়ক। আমি যদি অনেক দূরের পথ রাইড করি তবুও আমি কোন ব্যাক পেইন অনুভব করি না।
KEEWAY RKS SPORT 150cc বাইকটির হ্যান্ডেলটা আমার কাছে একেবারেই অপছন্দের। তাই আমি এর হ্যান্ডেল পরিবর্তন করে Gixxer এর হ্যান্ডেল লাগিয়েছি। এর সুইচ গুলো বেশ ভাল কাজ করে। তবে এর পিকআপ টান দেয়ার পর ছেড়ে দিলে একটি বাজে শব্দ হয় যা আমার কাছে একদমই ভালো লাগে না, আর এই সমস্যা সম্পর্কে আমি তাদের শো-রুমে বার বার বলেছি। এছাড়া তেমন কোন সমস্যা আমি পাইনি। বাইকটির শকাপ বেশ ভাল খেলে। যার ফলে আমি গ্রামের রাস্তা বা উঁচু নিচু রাস্তাতে অথবা গতি বেশিতে থাকলেও তেমন ঝাঁকুনি অনুভব করি না। তবে এটি ঠিক যে, এই বাইকটির মাইলেজ তেমন ভাল না। আমার বাইকটি বর্তমানে ৪৫-৫০ কিমি যাচ্ছে প্রতি লিটারে, যা আমার কাছে সন্তুষ্ট জনক নয়।
বাইকটির সবচেয়ে ভাল দিক হলো এটি দূর থেকে দেখতে অনেক অনেক সুন্দর লাগে আমার কাছে এবং চালিয়েও বেশ মজা পাই। আমি রাজশাহী সার্ভিসিং সেন্টারে গিয়েছি, তাদের ব্যবহার বেশ ভাল লেগেছে। আর তার সাথে তাদের সার্ভিসিং এর মানটিও আমার কাছে বেশ ভাল বলে মনে হয়েছে। তাই এই বিষয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই।
ভাল দিক
- দেখতে বেশ সুন্দর, রাইড করেও বেশ মজা
- ইঞ্জিনটি বেশ ভাল
- দূরের যাত্রা আরাম দায়ক
- শকাপ বেশ ভাল খেলে
- সার্ভিসিং সেন্টারের মান ভাল
মন্দ দিক
- বীল্ড কোয়ালিটি তেমন মজবুত না
- মাইলেজ মোটামুটি
- হ্যান্ডেল এবং এর ইন্ডিগেটর লাইট আমার কাছে একদম অপছন্দ
- হেডলাইটের বডি ছোট
- পিকআপ টানার পর ছেড়ে দিলে বাজে শব্দ হয়
পরিশেষে বলতে পারি যে, এই বাইকটির কিছু কিছু দিক বাদ দিলে বাইকটি বেশ পারফেক্ট। বর্তমান যুগের বাইকগুলোর মধ্যে এটি অতি আধুনিক একটি বাইক বলে আমার কাছে মনে হয়। তাছাড়াও এই বাইকটি অন্য সব বাইকের তুলনায় বেশ মজাদার। সকল দিক বিবেচনা করলে এর দামটা আমার কাছে ঠিক বলে মনে হয়। তাই সবকিছুর পরও আমি বলব এটা একটা অতি ভালো মানের বাইক। আমি আসা করি আপনারা ব্যবহার করে বেশ মজা পাবেন। ধন্যবাদ