KEEWAY RKS150 Sport Motorcycle Review By Badhon
কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল প্রসংগে চলে যাই। প্রথমেই বলতে হয় এর লুক এর কথা। এর মন মাতানো ফ্রন্ট লুক আর রেডি এক্সিলারেশন রাস্তা মাতানোর জন্য যথেষ্ট।
সিটিং পজিশান এর কথা বলতে গেলে বলতে হয় বাইকটিতে বসে কখনও ব্যাক পেইন করে নাই। রাইডারের জন্য সিট খুবই কমফোর্টেবল। পিলিয়ন সহ খুব ভাল আরাম করে রাইড করা যায়। ব্রেকিং ও বেশ ভালো। সাধারনতই স্কিড করে না কেননা এর পিছনের চাকা ১২০x৮০-১৭।
বাইকের তেল খরচের কথা যদি বলি ব্রেক ইন পিরিয়ড এ মাইলেজ ৩৫+ পেলাম ঢাকা সিটিতে, এরপরে একটু কার্বুরেটর টিউনিং করিয়ে নিলে আশা করি ব্রেক ইন পিরিয়ড এর পর আরও বেশি পাবো।
বাইকের স্মুথনেসের কথা যদি বলি তাহলে এক কথায় বলবো এই সেগমেনটে বেস্ট।সাসপেনশ যথেষ্ঠ ভালো, ঝাকুনি বোঝা যায় না। হর্ন যথেষ্ট লাউড। হাইওয়েতে অনেক দূর পর্যন্তই শোনা যায়। ব্রেকিং চমতকার, স্কীড করে না, কিন্তু পেছনের চাকাতেও ডিস্ক ব্রেক আশা করেছিলাম। টায়ার যথেষ্ট চওড়া, ফলে রাস্তায় ভালো গ্রীপ পায়, ব্রেকিং এ সুবিধা, শুধু টিউবলেস হলে আরো ভালো হতো।
ইনজিনের পারফরমেন্স এমনিতেই চমতকার। শুধু বাইকটা কম স্পিডে ( ২৮-৩৫) এর মধ্য চালাতে থাকলে একটু বেশি গরম হয় তবে ৩৫+ স্পিডে চালালে ইঞ্জিন তেমন গরম হয় না।
হেডলাইটের আলো সিটি এলাকায় যথেষ্ট, কিন্ত হাইওয়েতে লোয়ার বিম একটু দুর্বল। নাইট রাইডের জন্য কিছুটা কষ্টরই বটে।
ব্রেকিং পিরিয়ড থাকায় দূরের পথ পাড়ি দেই নাই। ১০০০কিমি শেষ করেই KRz ট্যুরে গেলাম। একটু ভয় ছিল এত বড় ট্যুর দিতে সমস্যা হবে কি না নতুন গাড়ি নিয়ে, কেননা আমি ট্যুর এর আগ পর্যন্ত ম্যাক্সিমাম ৪৫ কি.মি রাইড করছি টানা। সো বাইকটি আমাকে পুরা ট্যুরে সার্পোট দিবে কিনা এই নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। কিন্তু আল্লাহ্ এর রহমতে RKS150 আমাকে হতাশ করে নি, আশা যাওয়া নিয়ে প্রায় ৩৫০+ কি.মি রাইড দিলাম কালকে আমার ব্লু বিউটি নিয়ে কোন সমস্যা ছাড়াই। এই হাইওয়েতে আমাকে দেখালো এর দুর্দান্ত এক্সিলারেশন এর চমক ও ব্রেকিং। মাইলেজ পেলাম ৪০+, টপ স্পিড উঠালাম ১২৪, আরোও উঠানো যেত কিন্ত ভয় লাগছিল ফাস্ট টাইম।
সব মিলিয়ে অনেক ভালো আছি আমার নীলপরী KEEWAY RKS150 Sport নিয়ে।