আমাদের দেখা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রুজার সেগমেন্টের মধ্যে সেরা মনে হয়েছে লিফানকে ১৯কে ।কারণ এই ক্রুজার বাইকের মধ্যে প্রিমিয়াম এক অনুভুতি আছে যেটা আমার কাছে বাংলাদেশের বাজারে নতুন মনে হয়েছে এবং হ্যা আমি এই বাইকটা প্রথম রাইড করেই বুঝেছি এর প্রিমিয়ামনেস অনেক ভাল।রাসেল ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড যখন প্রথম বাংলাদেশের বাজারে লিফান কে১৯ নিয়ে আসে তখন থেকেই আমার টার্গেট ছিলো এই বাইকের প্রতি কারণ আমি একজন ক্রুজার প্রেমী এবং ক্রুজার টাইপের বাইক আমার কাছে খুব ভালো লাগে।স্পোর্টস বাইক তো অনেক চালানো হয় কিন্তু ক্রুজার রাইডের মধ্যে একটা আলাদা ভাব রয়েছে এবং সেই ভাব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে লিফান কে১৯।
এই বাইকের ডিজাইন, আউটলুক, ইঞ্জিন সিসি ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লেগেছে যার ফলে আমি বেশি দেরি না করে বাইকটা নিয়ে ফেলি।কেনার আজ মাত্র কয়েক দিন হয়েছে এবং আমি বেশি রাইড করিনি এই বাইক নিয়ে।সবে মাত্র১০০কিমি হয়েছে।তাই আমি এই বাইক নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করি আমার অভিজ্ঞতা পড়ে আপনারা উপকৃত হবেনে এবং লিফান কে১৯নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
এই বাইকটি প্রথম রাইড করে আমি যে সকল ভাল দিক পেয়েছি
-বাইকের ডিজাইন নিঃসন্দেহে অনেক সুন্দর।বাংলাদেশের ক্রুজার সেগমেন্টে ডিজাইনের দিক দিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে লিফান কে১৯।আমার কাছে এই বাইকটা সবদিক থেকে দেখতে অনেক ভালো লাগে এবং কালার কম্বিনেশন খুব নিখুঁত ভাবে করা।
-লুকিং গ্লাস যেটা বাইকের নিরাপদ ও আবশ্যক একটি ফিচারস সেটা আমি এই বাইকে লক্ষ্য করেছি যে পেছনের ভিউ অনেক ভালো ভাবে দেখা যায় যেটা শহরের রাস্তা কিংবা যে কোন রাস্তার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
-ব্যালেন্স এবং কন্ট্রোল আমার কাছে ক্রুজার বাইক হিসেবে অনেক ভালো লেগেছে।আমি যত টুকু রাইড করেছি সেই রাইড থেকে আমি এর ব্যালেন্স ও কন্ট্রোল নিয়ে সন্তুষ্ট।
-ব্রেকিং সিস্টেম সিংগেল ডিস্ক হওয়া সত্ত্বেও আমি ব্রেকিং ফিডব্যাক অনেক ভালো পেয়েছি।পেছনের ড্রাম ব্রেক এর পারফরমেন্স আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে পাশাপাশি সামনেরটাও অনেক ভালো।আমি আশাবাদী যে এই ব্রেকিং সামনে আমাকে আরও অনেক সাপোর্ট দিবে।
সামনে ও পেছনের দুই চাকার যে এলয় রয়েছে সেটা দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে এবং এটা ক্রুজার বাইকের একটা বিশেষ ভাব যোগ করেছে।
এইবার এই বাইক রাইড করে আমি মন্দ কি পেয়েছি সেটা বলছি
-আমার কাছে প্রথম রাইডে বাইকের ক্লাচ শক্ত মনে হয়েছে।লিফান কেপি আর বাইক যে রকম শক্ত সেরকমনা তার থেকে একটু কম শক্ত লেগেছে আমার কাছে।
-বাইকের সুইচ গুলোর কোয়ালিটি উন্নত করা উচিত।
-আমার জানা মতে এই বাইকের ১৪লিটার ফুয়েল ট্যংকার কিন্তু আমি ১২লিটার এর বেশি ফুয়েল নিতে গেলে সেটা ওভার ফ্লো হয়ে যায়।
আমার স্বল্প রাইডের অভিজ্ঞতা এতটুকুই ছিলো।আশা করি সামনে আরও রাইড করে খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরবো এবং প্রথম রাইডে কোন বাইকের মাইলেজ মাপা উচিত না কারণ বাইক নতুন অবস্থায় একটু বেশি তেল খায়।সব মিলিয়ে বলতে গেলে ১৬৫সিসির সেগমেন্টে সুন্দর ও খুব প্রিমিয়াম একটা ক্রুজার বাইক হচ্ছে এই লিফান কে১৯।
সবাইকে ধন্যাবাদ।