লিফান কেপিআর ১৬৫ (কারবুরেটর) মোটরসাইকেল রিভিউ - সবুজ

হঠাৎ করেই গত ২২ শে জুন ২০১৯ ইং লিফান কেপিয়ার কারব এডিশন বাইকটি কিনি। ১৪ দিনে ২০০০ কিমি রাইড করি ব্রেকিন মেন্টেইন করে।এর মধ্যে ২৫০ ও ১১০০ কিমির দুইটা টুরও দেই। বাকিটা সিটিতে চালানো।এই ২০০০ কিমিতে আমি ৪ বার পিটিটি ২০ও৪০ গ্রেডের মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল ড্রেন দেই আর ওয়েল ফিল্টার ক্লিন করি।গতকাল থেকে লিকুইমলি ১০ও৪০ গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল ইউজ শুরু করেছি।



নিচে এই ২০০০ কিমি রাইডিং এর ফিডব্যাক আলোচনা করা হলো:-
- মাইলেজ ৩০/৩১ পেয়েছি এভারেজ।যা বুঝতে পারছি এই বাইকে ৩২/৩৪ এর বেশী মাইলেজ পাওয়া সম্ভব না এবং তা আশা করাও ঠিক না। পাওয়ারের এই বাইকে এই মাইলেজ ঠিক আছে।
- এর হেডলাইটের অনেক সুনাম শুনেছিলাম কিন্ত চরম প্যারা খাচ্ছি এর হেডলাইটের আলোর কারনে।লোবিমে আলো নাই আর হাইবিমে আলো বামদিকে বাকা হয়ে পড়ে। অনেক এডজাস্ট করার পরও কোন সমাধান হচ্ছেনা।টুরে এ৭ ইউজ করে রাইড করতে হচ্ছে।
- এই বাইকে নাকি উন্নত প্রযুক্তির নন ওরিং চেইন ইউজ করা হয়েছে কিন্ত বাস্তবতা হলো এই ২০০০ কিমিতে ৪ বার চেইন টাইট দিতে হয়েছে। চেইনের প্যারা এফজি ফেযার ভি২ এর প্রথমদিকের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।চেইন এর অবস্থা খুবই বাজে।
- এর মনোশক মনে হচ্ছে তক্তা আর সামনের সাসপেনশনও আহামরি মানের না। ৫/৭ হাজার কিমি পর নাকি মনোশক মোটামুটি ইজি হয়ে যায়। তাই সেই আশায় আছি আর কি কারন আমি স্টকে বিলিভ করি।
- স্টার্ট বন্ধ অবস্থায় বাইক ঘুরালে ঘাড় ও বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাচক্যাচ আওয়াজ করে। মনে হয়না এসম্বেল করার সময় ওরা বাইকের বিভিন্ন অংশে ভালো করে গ্রীজিং করেছে।
- এর সিটিং পজিশন ও হ্যান্ডেলবার অসম্ভব আরামদায়ক। উপুত হয়ে ১১০০ কিমির টুর দিলাম কিন্ত হাত পীঠ কোমড় কোথাও ব্যাথা অনুভূত হয়নি।শুধুমাত্র ফুটপেগ সামনে হওয়ার কারনে ডানপায়ে একটু অস্বস্থী অনুভূত হচ্ছে তবে এটাও ইউজটু হয়ে যাবো।
- ৩ দিন বৃস্টিতে ভিজে রাইড করেছি কিন্ত একবারের জন্যও স্টার্ট বন্ধ হওয়া বা স্টার্ট না নেওয়া এমন কোন সমস্যা দেখা দেয়নি।
- এর থ্রটল গ্রীপ খুবি আরামদায়ক যা আপনাকে থ্রটল ইনক্রিজ করতে ব্যাপক সুবিধা দিবে।অন্য সব বাইকের মত থ্রটল রকার ইউজ করার দরকার পড়বেনা।
- এর পাওয়ারে আপনি জাস্ট ফিদা হয়ে যাবেন হাইওয়েতে।যেকোন গিয়ারে যেকোন ভেহিক্যালকে নিমিষেই ওটি মারা এর কাছে ডাল-ভাত। আপনি এর পাওয়ারে মুগ্ধ অভিভুত হয়ে যাবেন।
- স্টক ডিস্ক প্লেট ও ডিস্ক প্যাড খুবি ভালো সাপোর্ট দিবে আপনাকে। আমি এর ব্রেকিং এ সন্তুস্ট। ১০০ কিমি গতি থেকে জাস্ট ২ হাতের ভিতর এই বাইককে আপনি জমিয়ে ফেলতে পারবেন যদি আপনি ব্রেকিং করতে জানেন। অযথা হাইপে পড়ে স্টক ডিস্ক বা প্লেট চেঞ্জ করে টাকার অপচয় কেউ করবেন না। আমি পটিয়ার লবন মিশ্রিত পিচ্ছিল রোডে স্টক ব্রেকে জাস্ট জমিয়ে ফেলেছি উইদাউট স্কিডিং এ।
- স্টক সিএসটি টায়ার নিয়ে অনেকেই নাক সিটকাতেন কিন্ত এর রেয়ার ১৩০ সাইজের রেডিয়াল টায়ার ও সামনের ৯০ সাইজের টায়ার ব্রেকিং ও গ্রীপিং এ আপনাকে অতিরিক্ত কম্ফোরট ও কনফিডেন্স দিবে।
বৃস্টিতে পিচ্ছিল রাস্তায় ১১০০ কিমির টুর দিয়েছি কিন্ত একবারের জন্যও স্টক টায়ার আমাকে হতাশ করেনি।
- স্মুথলি আরপিএম ইনক্রিজ হয় কিন্ত ১৫০০ কিমির পর যখন একটু রেভ করি তখন আরপিএম কিন্ত ৮৫০০ এর উপড় উঠেনি। দেখি এয়ারফিল্টার ও প্লাগ ক্লিন করে আরপিএম ইনক্রিজ হয় নাকি।
- আমি এই বাইকে সন্তুস্ট, ৩০ প্লাস মাইলেজ পেলেই আমি এটাতে স্টে করবো। এর পাওয়ার ও হাইওয়ে পারফরফেন্সে আমি অভিভূত।

চালাতে থাকি নেক্সট ৫০০০ কিমি পর রিয়েল ফিডব্যাক দিতে পারবো।



উক্ত ফিডব্যাক একান্তই আমার ব্যাক্তিগত যা আমি নিজে চালিয়ে অনুভব করছি। কয়েকজন কেপিয়ার চালক বাইকার ভাইদের পরামর্শে আমি এর মেন্টেইন করছি। এই ফিডব্যাক কোন কোম্পানী, বাইকিং গ্রুপ বা কোন ব্যাক্তির সাথে সম্পৃক্ত না।

All LIFAN bike price in bd

Lifan KPR 165R Carburetor