লিফান কেপিআর ১৬৫ কারবুরেটর ৩,৫০০কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা - মাহী সরকার

বাংলাদেশের মধ্যে জনপ্রিয় একটি স্পোর্টস বাইক হচ্ছে লিফান কেপিআর । এই বাইকটি প্রথম ১৫০ সিসি হিসেবে বাংলাদেশের বাজারে আসে এবং এই বাইকটি বাইকারদের মাঝে পরিচিত করে রাসেল ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড। ১৫০ সিসির পর ১৬৫ সিসি যখন বাজারে নিয়ে আসে তখন ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় এবং এই বাইকের ইঞ্জিনের শক্তি, গ্রাফিক্যাল লুক ইত্যাদি পরিবর্তন করা হয়। ১৫০ সিসির লিফান কেপিআর বাইকের ইঞ্জিন, বিল্ড কোয়ালিটি, পারফরমেন্স অনেক ভালো ছিলো এবং ১৬৫ বাইকের পারফরমেন্স ১৫০ এর থেকে আরও অনেক বেশি । এই বাজেটের মধ্যে এত সুন্দর ডিজাইনের বাইক আমি অন্যান্য ব্র্যান্ডের কোন বাইকে লক্ষ্য করিনি এবং এই বাইকের বিল্ড কোয়ালিটি, ইঞ্জিন পারফরমেন্স অন্যান্য বাইকের থেকে অনেক ভালো। লিফান কেপিআর ১৬৫ বাইকটি আমি খুব সম্প্রতি কিনেছি এবং এখন পর্যন্ত এই বাইকটা নিয়ে রাইড করেছি প্রায় ৩৫০০ কিমি । আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বাইকের ভালো দিক বেশি চোখে পড়েছে আবার এই বাইকের কিছু মন্দ দিকও আছে যা একজন বাইকার হিসেবে অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করা উচিত। আজ আমি মোটরসাইকেল ভ্যালীর মাধ্যেম আমার লিফান কেপিআর ১৬৫ বাইকের ব্যবহার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনারা আমার এই অভিজ্ঞতা শুনে উপকৃত হবেন।

ভালো দিক
-যেহেতু আমি ট্যুর পছন্দ করি তাই আমার কাছে ইঞ্জিনের সাপোর্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই বাইকের ইঞ্জিন পারফরমেন্স নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। আমি হাইওয়েতে অনেক ভালো সাপোর্ট পাই বিশেষ করে লিকুয়িড কুল্ড ইঞ্জিনের কারনে। বেশিক্ষন রাইড করলেও ইঞ্জিনের পাওয়ার লস করে না। মোট কথায় লিফান কেপিআর ১৬৫ কারবুরেটর এর ইঞ্জিন পারফরমেন্স নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
-কন্ট্রোলিং অনেক ভালো হয়। তবে বেশি লম্বা রাইডারদের জন্য এই বাইকটা রাইড করা একটু কষ্টদায়ক তবে কষ্ট মনে করলে কষ্ট । আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি কন্ট্রোল করে।
-বাজেটের মধ্যে এই বাইকের বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভালো লেগেছে। খারাপ রাস্তা কিংবা অন্যান্য রাস্তায় অনেকক্ষন রাইড করেও এর বডি পার্টসগুলো মজবুত মনে হয়।
-দামের দিক থেকে ইঞ্জিন পারফরমেন্স, কন্ট্রোল, আরাম, বিল্ড কোয়ালিটি এক কথায় অনেক ভালো।

মন্দ দিক
-ব্রেকিং সিস্টেম একটু উন্নত করা উচিত। যেহেতু উভয় দিকে ডাবল ডিস্ক রয়েছে এবং পেছনের ডিস্ক ব্রেকটা আমার মনে হয় আরেকটু উন্নত করলে ভালো হয়।
-টারনিং রেডিয়াস অনেক বেশি যার ফলে শহরের মধ্যে রাইড করতে একটু সমস্যা হয় তবে হাইওয়েতে পারফেক্ট মনে হয়েছে রাইড করে।

মাইলেজ নিয়ে আমি কোন চিন্তা করি না কারণ ১৬৫ সিসির ইঞ্জিন থেকে মাইলেজ কম হবে এটাই স্বাভাবিক। আমি শহরের মধ্যে মাইলেজ পাচ্ছি ৩০ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৩৫ কিমি প্রতি লিটার। আমার মতে ইঞ্জিন পারফরমেন্স অনুযায়ী মাইলেজ ঠিক আছে।

মোট কথায় আমার কাছে এই বাইকের ডিজাইন, ইঞ্জিন, কন্ট্রোল ইত্যাদি অনেক ভালো লেগেছে এবং রাসেল ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড এর সার্ভিস আমি খুব ভালো পেয়েছি। তাই যে সকল বাইকার ভাই চিন্তা করছেন যে লিফান কেপিআর ১৬৫ কারব ভার্সন বাইকটি কিনবেন তাদের অবশ্যই পরামর্শ দিবো যে আপনারা নিশ্চিন্তে বাইকটি কিনতে পারেন আমার কাছে খুবই ভালো লাগার একটি বাইক হচ্ছে লিফান কেপিআর ১৬৫ কারব।

All LIFAN bike price in bd

Lifan KPR 165R Carburetor