Yamaha Banner
Search

লিফান কেপিটি নিয়ে একটানা ২৫০০ কিলোমিটার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা -অশ্রু বিশ্বাস

English Version
2021-06-28
Owned for 0-3months   []   Ridden for 1000-5000km


This user provides ratings about this bike


  8 out of 10
Design
Comfort & Control
Fuel Efficient
Service Experience
Value for money

This bike is purchased from Rasel Industries Ltd, Dhaka

লিফান কেপিটি নিয়ে একটানা ২৫০০ কিলোমিটার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা -অশ্রু বিশ্বাস


lifan-kpt-150-abs-2500km-riding-experiences-by-asru-biswash.jpg
আমার পরিচয়:-

আমি অশ্রু বিশ্বাস। জন্মস্থান বরিশাল জেলার ঝালকাঠি হলেও বর্তমানে ঢাকাতে জীবিকা নির্বাহের তাগিতে বসবাস করছি। আমি একজন বাইক প্রেমী এবং ভ্রমণ পিপাসু। কর্মজীবনে বিগত ৩ বছর যাবৎ বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের একজন কর্মী হিসেবে কর্মরত থাকলেও বর্তমানে আমি পেশা হিসেবে মোটরসাইকেল মেনটেনেন্স এবং মোটরসাইকেল নিয়ে ভ্রমণের উপরে দুইটা ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বর্তমানে টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ২ভি রেস এডিশন বাইকটি ব্যবহার করছি। এই বাইকটা কেনার কারণ এই বাইকটা ব্যবহারের কিছু রিভিউ পরবর্তীতে আপনাদেরকে সুযোগ হলে আবারও লিখিত আকারে জানাবো।

কিন্তু আজ আমি আমার ব্যক্তিগত বাইক নিয়ে রিভিউ দিচ্ছিনা। আমি আজকে আপনাদের মাঝে প্রকাশ করব
লিফান কেপিটি ১৬৫সিসি এবিএস এই বাইকটি নিয়ে একটানা ২৫০০ কিলোমিটার ভ্রমনের কিছু অভিজ্ঞতা। আশা করি আমার কিছু ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এবং এই বাইকটা সম্পর্কে কিছু ভালো মন্দ ব্যাপার আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারবো। চলুন লিফান কেপিটি এফআই ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এই বাইকটা নিয়ে ২৫০০ কিলোমিটারের রোমাঞ্চকর কিছু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং লিফান কেপিটি ১৬৫ সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।


লিফান কেপিটি ১৬৫ সংগ্রহ করার তথ্য :-

হয়তোবা অনেকেই এখন জানার আগ্রহ প্রকাশ করবেন যে আমি আরটিআর ২ভি ব্যবহার করলেও কেপিটি কোথায় পেলাম? আসলে এই বাইকটা সংগ্রহ করেছিলাম লিফানের একমাত্র অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে। যেহেতু আমি একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ আর বাইক নিয়ে সব সময় ভ্রমণ করে থাকি। বাংলাদেশের ৪৮টি জেলা আমার বাইক নিয়ে ভ্রমন হয়েছে। তবে সেটা বিভিন্ন বাইক আর আমরা যে কমন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল গুলো ব্যবহার করি তাদের ভিতর অ্যাডভেঞ্চার টুরিং বাইক কেউ নিয়ে আসে নাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে।

যখন বাংলাদেশের লিফান কেপিটি ১৬৫সিসি আসে তখন থেকে তার প্রতি আমার আলাদা একটা নজর ছিল। আমি বাইকটা না চালানোর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কিনে ফেলবো। কিন্তু বাজেটের সমস্যা থাকায় আর কেনা হয়নি। পরবর্তীতে এক বড়ভাই (আদরভাইয়ের) মাধ্যমে জানতে পারি যে রাসেল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এর আওতাধীন লিফান কেপিটি এর একটা রিভিউ ইউনিট রয়েছে। যেটা আমি চাইলে কয়েক দিন ব্যবহার করে আমার নিজস্ব ইউটিউবচ্যানেলে ভালো-মন্দ ব্যাপারগুলো শেয়ার করতে পারবো। এই ব্যাপারটা শোনার পরে আর এক মুহূর্ত দেরি না করে বাইকটি রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে সংগ্রহ করলাম, যেহেতু ওটা রিভিউ ইউনিট আমার আগেও বেশ কয়েকজন ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটর চালিয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আওতায় টেস্ট রাইডের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাই বাইকটি টোটাল ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত চলেছিল। ঠিক ৫ হাজার কিলোমিটার চলা লিফান কেপিটি ১৬৫সিসি টা আমি কয়েক দিন চালিয়ে একটা রিভিউ করার জন্য নিয়ে আসি এটাই ছিল আমার বাইক সংগ্রহ করার ব্যাপার।


1624863542_Lifan-KPT-2500-long-ride-review-Asru-Biswash-1.jpg
লিফান কেপিটি ১৬৫ চালিয়ে প্রথম অভিজ্ঞতা:

লিফান কেপিটি ১৬৫ আমার কাছে নিয়ে আসার পর আমি সিদ্ধান্ত নিই কয়েকদিন মফস্বল শহরে চালিয়ে একটা অভিজ্ঞতা আমার ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করব। কিন্তু বাইকটা আমার চালাতে এতটাই ভাল লাগছিল যে আমি মফস্বল শহর গ্রাম মিলিয়ে ১০০০ কিলোমিটার চালিয়ে ফেলি। ১০০০ কিলোমিটার চালানোর পরে সিদ্ধান্ত নিলাম না এটা যেহেতু আমার কাছে আছে এবং আমি চাইলে আরো কিছুদিন রাখতে পারব তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই লিফান কেপিটি নিয়ে বেশ কয়েকটা লম্বা ভ্রমন করবো যেহেতু অ্যাডভেঞ্চার টুরিং বাইক তাই এটা নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার ফিলটা নিতে চাই। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে আমি বাইকটি পাহাড়, সমতল সমস্ত এলাকা গুলোতে চালাই। আমার বেশ কয়েকটি জেলা ভ্রমণ করা হয়েছে বাইকটি নিয়ে। তার ভেতরে অন্যতম ছিল- মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ,গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ,কাপ্তাই ,খাগড়াছড়ি।


লিফান কেপিটি ১৬৫সিসি নিয়ে ভ্রমণের শুরু এবং শেষ:-

আমি লিফান কেপিটি ১৬৫সিসি নিয়ে প্রথমে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা করি। বরিশাল ঝালকাঠিতে যেহেতু আমার গ্রামের বাড়ি আমি প্রথমে আমার গ্রামের বাড়িতে যাই। সেখানে আমাদের গ্রাম্য রাস্তায় বেশ কিছুদিন রাইড করে তার পরবর্তীতে আমি বাইকটা নিয়ে পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর হয়ে আবারো ফিরে আসি ঢাকাতে। তারপর ঢাকা থেকে আবার ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ধরে বাইকটা নিয়ে বারইহাট হয়ে খাগড়াছড়িতে চলে যাই। খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটিতে চলে যাই। রাঙ্গামাটি থেকে কাপ্তাই। কাপ্তাই থেকে লিচুবাগান ফেরিঘাট পার হয়ে সেখান থেকে রাজস্থলী উপজেলায় চলে যায় এবং এটা ছিল আমার জীবনের সব থেকে সেরা অ্যাডভেঞ্চার। একটা অ্যাডভেঞ্জার বাইক নিয়ে এরকম একটা রাস্তায় চালানো সত্যিই একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ছিল। রাস্তাটা ছিল রাজস্থলী উপজেলা থেকে ফারুয়া ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে। সেনাবাহিনীর হাতে তৈরি হচ্ছে এমন একটি রাস্তা যেখানে ১৮ কিলোমিটার রাস্তার ভিতর পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার মাত্র সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রাস্তাটা সম্পূর্ণ মাটির এবং বালি পাথরের ছিল। ফারুয়া ইউনিয়নে ভ্রমন শেষ করে সেখান থেকে আবার সেই ভাঙ্গাচুড়া রাস্তা ধরে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম হয়ে আবার ঢাকায় ফিরে আসি। বাইক নেওয়ার পরে প্রথমে যে ১০০০ কিলোমিটার চালিয়েছিলাম সেটা ছিল সাধারণভাবে দৈনন্দিন চালানো। শুধু এই ১০০০ কিলোমিটার বাদ দিয়ে আমি টোটাল ট্যুর কমপ্লিট করেছি ২৫০০ কিলোমিটারের। যদি সব মিলিয়ে হিসাব করি তাহলে টোটাল বাইকটা আমার চালানো হয়েছে ৩৫০০ কিলোমিটারের উপরে।


লিফান কেপিটি ১৬৫সিসি টেস্ট রাইড হিসেবে যত জন নিয়েছে কেউ এত কিলোমিটার একটানা চালায়নি। একমাত্র আমি সব থেকে বেশি একটানা চালিয়েছি এর একমাত্র কারণ ছিল ভ্রমণের প্রতি নেশা তার উপরে এটা এডভেঞ্জার বাইক। সবমিলিয়ে একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ছিল বাইকটা নিয়ে। তাছাড়া লিফান কেপিটি যেহেতু সব ধরণের পরিবেশে চলার জন্য উপযোগী, তাই কখনো কোন ধরনের সমস্যা আমার মনে হয়নি। সেটা বাইকের ক্ষেত্রেও নয় শারীরিকদিক থেকেও নয়। আর্থিকভাবে আমি আরও একটু স্বচ্ছল হলে এই বাইকটা নিয়ে আমি ৬৪টি জেলা ভ্রমণ করতাম। কারন আমার অনেক ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা ঘুরে দেখা এবং মানুষের কৃষ্টি-কালচার বিভিন্ন গ্রামের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা। বাংলাতে খুব সুন্দর একটা কথা রয়েছে যে “হাজারবার শোনার থেকে একবার দেখা ভালো”। আর সত্যিই তাই বাংলাদেশ ঘুরে একবার দেখলে আপনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন সেটা কখনো হাজারবার শুনে সেই অভিজ্ঞতা আপনি পাবেন না।

তবে আমার বিশ্বাস লিফান কেপিটির মত একটা বাইক যদি আমার থাকে তাহলে অবশ্যই আমি বাংলাদেশ খুব সুন্দরভাবে ভ্রমণ করতে পারব। তারমানে এই নয় যে অন্য বাইক নিয়ে ভ্রমণ করা যাবে না। অবশ্যই যাবে কিন্তু একটা কথা – “যে যখন যেখানে যাকে প্রয়োজন তখন সেখানে তাকে ব্যবহার করা উচিত”। ঠিক সে রকম আমি চাইলে একটা স্পোর্টস বাইক নিয়ে ভ্রমন করতে পারবো আবার একটা কমিউটার বাইক নিয়ে ভ্রমণ করতে পারব। কিন্তু একটা অ্যাভেঞ্জার বাইক নিয়ে এডভেঞ্জার করার যে মজা সেটা কখনো একটা কমিউটার বাইক বা স্পোর্টস বাইক দিয়ে পাব না। যদিও এই বাইকটা নিয়ে অনেক গুলো জেলা ভ্রমণ করেছি পাহাড়ি এলাকা, সমতল এলাকা, তাও মনের স্বাদ কেন যেন মিটছেনা।


1624863825_Lifan-KPT-165-2500-Kilo-long-Ride-Asru-Biswash--3.jpg
লিফান কেপিটি ১৬৫ সম্পর্কে কিছু কথা:-

সত্য কথা বলতে আমাদের দেশের মানুষ প্রয়োজনের থেকে শৌখিনতায় বেশি বিশ্বাসী। বর্তমানে কোন উদ্দেশ্যে কোন বাইকটা ব্যবহার করবে মানুষ এটা কখনোই বিবেচনা করে না। সকলে বিবেচনা করে কোনটা দেখতে সব থেকে ভালো। আমাদের দেশের রাস্তাঘাট এবং যে পরিবেশ তাতে সব থেকে উপযোগী বাইক হচ্ছে এডভেঞ্জার টুরিং বাইক অথবা অফরোড। কিন্তু আমাদের দেশের ৯০% মানুষ পছন্দ করে স্পোর্টসবাইক। আমি কখনোই এরকম ছিলাম না। স্পোর্টসবাইক আমার পছন্দ তালিকা থাকলেও আমি প্রয়োজনটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। যেহেতু আমি একজন ট্রাভেলার, আমি চিন্তা করি- যে বাইকটা নিয়ে আমি সব থেকে বেশি ভ্রমণ করতে পারবো সেটাই আমার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু দুঃখের বিষয় যেটা আগেই শেয়ার করেছি বাংলাদেশ কমন কোম্পানি গুলো কোন অ্যাডভেঞ্চার টুরিং বাইক এখনো বাংলাদেশ নিয়ে আসেনি। এর জন্য বাংলাদেশের মানুষজন এই বাইক সম্পর্কে জানে না এবং জানার চাহিদাও তেমন নেই এবং জানার আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। তাই বাংলাদেশের বাজেটের ভিতর একমাত্র অ্যাডভেঞ্চার ছিল লিফান কেপিটি। প্রথমে একটু ধারনা ছিল যে একটা চাইনিজ বাইক আসলে মনে হয় খুব ভালো একটা পারফরম্যান্স দিতে পারবে না কিন্তু লিফান কেপিটিটা আমার ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করেছে এবং সত্যিকার অর্থে একটা অ্যাডভেঞ্চার বাইকে যে ফিচারগুলো থাকা প্রয়োজন এবং সেগুলো পাওয়া প্রয়োজন তার প্রতিটি এই বাইকটা থেকে পেয়েছি। এককথায় এই লম্বা জার্নিগুলো করে বাইকটার সাথে আমার একটা সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।


লিফান কেপিটি সম্পর্কে আপনাদের ভালোমন্দ কিছু বিষয় আমি জানাবো। তার আগে বলে নিচ্ছি এটা ১৬৫সিসি এফআই ইঞ্জিন ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এর একটা বাইক। যার বর্তমান দাম হচ্ছে দুইলক্ষ পচাত্তর হাজার টাকা। বাইকটা চালানোর পরে আমার মনে হচ্ছিল দুই-একদিনের ভিতরে এই বাইক আমি কিনে ফেলি যদি টাকা থাকতো তাহলে সত্যিই কিনে ফেলতাম।


লম্বা ভ্রমণে আমার অভিজ্ঞতা থেকে লিফান কেপিটি ১৬৫ এর ভালো দিক:-

বাইকটির ভালো দিক বলতে গেলে অনেক কিছুই বলতে হবে। কারণ বাইকটা একটা অ্যাডভেঞ্চার টুরিং বাইক, আর যেহেতু বাংলাদেশে এর প্রতিযোগী আর কোন বাইক নেই। তাই এর পজিটিভ দিকগুলো অনায়াসে সব থেকে বেশি উঠে আসবে, এটাই স্বাভাবিক। লিফান কেপিটির সব থেকে ভালো ব্যাপার ছিল ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, ব্রেকিংটাকে এতটাই উচ্চ লেভেলে নিয়ে গিয়েছিল যে আপনার বাইকটা নিয়ে রাইড করার সাহসটাকে অনেকটা বাড়িয়ে দিবে। একটা বাইকের ক্ষেত্রে ভালো ব্রেকিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে চলতে গেলে হাড়েহাড়ে টের পাই। এককথায় এই বাইকটা ব্রেকিং ছিল দুর্দান্ত এবং এবিএস কখনো প্রবলেম করেনি। অনেকের ধারণা আছে যে ভাঙ্গাচুরায় এবিএস খুব ভালো একটা কাজ করে না। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু সেরকম না। লিফান কেপিটি নিয়ে লম্বাভ্রমণ করে আমি সেটা স্পষ্ট রুপে পেয়েছি। তবে বাইকটা কয়েক ঘণ্টা একটানা চালিয়েছি কিন্তু কখনো কোমর হাত ব্যথা হয়নি। একটা মিনিটের জন্য বিরক্ত হয়নি। যেটা কমিউটার বাইকে সচরাচর হয়। লিকুইড কুলিং হওয়ায় লম্বা ভ্রমণে কখনোই বাইকটার ইঞ্জিন পাওয়ার লস করেনি। বাইকটা ১৫৩ কেজি ওয়েট এর একটা বাইক অনেক ভারী বলতে গেলে, কিন্তু এফআই হওয়ার কারণে বাইকটাতে বেশভালো মাইলেজ পেয়েছি যেখানে ৪০ কিলোমিটার পার লিটারে এসেছে।

1624863601_Lifan-KPT-2500-long-ride-review-Asru-Biswash-2.jpg
কিছু খারাপ দিক:

তুলনামূলক পিছনের সাসপেনশনটা আরেকটু সফট হওয়া দরকার ছিল। সাসপেনশন একটু হার্ড মনে হয়েছে আমার কাছে। বাইকটা একটু বেশি ভারী, ইঞ্জিন স্টার্ট ব্যতীত খুব একটা নাড়াচাড়া করা যায় না। বাইকের পিলিয়ন সিট খুব একটা আরামদায়ক নয়।

এইতো এই ছিল লিফান কেপিটি ১৬৫সিসি এফআই ডুয়েল চ্যানেল এবিএস নিয়ে আমার লম্বাভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং বাইকটা সম্পর্কে আমার কিছু ভালোমন্দ অভিজ্ঞতা। সম্পূর্ণ নিজের ব্যক্তিগত মতামত আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। ভবিষ্যতে সময়সুযোগ হলে বাইকটা যদি কিনে থাকি তাহলে আরো অনেক রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার সুযোগ হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Rate This Review

Is this review helpful?

Rate count: 4
Ratings:
Rate 1
Rate 2
Rate 3
Rate 4
Rate 5

More reviews on Lifan KPT 150 ABS

লিফান কেপিটি ১৫০ এবিএস ফিচার রিভিউ
2022-03-10

বাংলাদেশি মোটরসাইকেল মার্কেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আমরা দেখতে পাই,যার মাঝে চাইনিজ, জাপানিজ ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশ...

Bangla English
লিফান কেপিটি নিয়ে একটানা ২৫০০ কিলোমিটার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা -অশ্রু বিশ্বাস
2021-06-28

আমার পরিচয়:- আমি অশ্রু বিশ্বাস। জন্মস্থান বরিশাল জেলার ঝালকাঠি হলেও বর্তমানে ঢাকাতে জীবিকা নির্বাহের তাগিতে ...

Bangla English
Filter