বাইক চালানোর ইচ্ছা যা নেশা যেটাই বলি না কেন এটা আমার খুব ছোটবেলা থেকেই ছিলো। যখন বড় হলাম তখন বাইকের প্রতি আকর্ষণটা আরও বেশি বাড়তে থাকলো। বাইকের প্রতি মায়া থেকে আমি প্রথমে কিনলাম লিফান কেপিআর ১৫০ এবং আমার দেখা সেরা ১৫০ সিসির বাইক বাজেটের মধ্যে। লিফান কেপিআর ১৫০ এর ইঞ্জিন থেকে শুরু করে প্রতিটা বিষয় একদম নিখুঁত ছিলো এবং আমার সেই বাইকটি খুব পছন্দ ছিলো। সেই লিফান ১৫০ বাইক নিয়ে আমি অনেক জায়গায় ছুটে চলেছি আর বাইকের পারফরমেন্স এতটাই ভালো ছিলো যে আমাকে যে কোন স্থানে খুব ভালোভাবে নিয়ে যেত । এই ছুটে চলা থেকে একটু ঝোঁক উঠল এডভেঞ্চার বাইকের উপর। এডভেঞ্চার বাইক খুঁজতে গিয়ে লিফান কেপিটি চোখের সামনে চলে আসলো এবং আমি সব দিক থেকেই বিচার বিশ্লেষণ করে বাইকটি এডভেঞ্জার সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছি। লিফান কেপিটি ১৫০ নতুন ভার্সনটি আমি ৫ দিন আগে ক্রয় করেছি এবং প্রায় ১০০ কিমি এর মত রাইড করেছি। টিম মোটরসাইকেল্ভ্যালীর আমন্ত্রণে আজ আমি আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা লিফান কেপিটি ১৫০ নিয়ে তুলে ধরবো।
পারফরমেন্স- পারফরমেন্সের কথা চিন্তা করলে প্রথমে বলতে হয় লিফান কেপিআর ১৫০ বাইকের কথা। আমি লিফান ১৫০ বাইক থেকে যে পারফরমেন্স পেয়েছি সে পারফরমেন্স পেয়ে বাইকের প্রতি আমার আস্থা জন্মেছে। সেই আস্থা থেকেই কেপিটি বাইকটা নেওয়া। আর ১০০ কিমি রাইড করে বুঝতে পেরেছি যে বাইকের পারফরমেন্স ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো হবে।
ইঞ্জিন- পূর্বের কেপিটি ১৫০ বাইকে ইঞ্জিন ক্লাচে একটু সমস্যা ছিলো কিন্তু বর্তমানে এনবিএফ ২ ইঞ্জিন ব্যবহার করার ফলে ক্লাচ অনেক স্মুথ হয়েছে এবং ইঞ্জিনের পারফরমেন্স আগের থেকে অনেক বেটার মনে হচ্ছে।
আরামদায়ক- বাইকটি চালিয়ে আমার কোন ব্যাক পেইন হয়নি। আমার বিশ্বাস এই বাইক নিয়ে যদি আমি লং রাইড করি তাহলে আমার কোন ব্যাক পেইন হবে না এবং শরীরে কোন সমস্যা হবে না।
অফরোডিং – বাইকটি নিয়ে অফরোডিং করা একটা চমৎকার অভিজ্ঞতা। অফরোডিং করার জন্য আমার মনে হয় এই বাইকটা বাজেট ও সেগমেন্টে সেরা।
ডিজাইন- বাইকটাকে খুব সুন্দরভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা অন্যান্য ১৫০ সিসির বাইকের থেকে দেখতে ব্যাতিক্রম এবং ইউনিক ডিজাইনের ছোঁয়া রয়েছে।
এডভেঞ্চার – এই বাইকটা অনেকেই আখ্যায়িত করে এডভেঞ্চার বাইক বলে। কারণ এমন কোন রাস্তা নাই যেখানে আপনি এই বাইক নিয়ে যেতে পারবেন না এবং এই বাইক নিয়ে এডভেঞ্চার করা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
মন্দ দিক- আমি বাইকটা ১০০ কিমি রাইড করে লক্ষ্যনীয় কোন মন্দ দিক পাইনি তবে আমার মনে হয় পেছনের টেল ল্যাম্পের ভিজিবিলিটি আরও বাড়ালো খুব ভালো হত।
মাইলেজ- আমি অনুমান করছি যে মাইলেজ শহরের মধ্যে আমি পাচ্ছি ৩০ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৩৫ কিমি প্রতি লিটার। এটা সঠিকভাবে মাইলেজ বলতে পারছি না তবে ধারণা করছি এবং ব্রেক ইন পিরিয়ডের পর মাইলেজ আরও বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।
যেহেতু বাইকটা স্বল্প রাইড করেছি তাই এর ভালো মন্দ দিকগুলো গভীরভাবে বলা যাচ্ছে না তবে আশা করছি বাইকটা থেকে অনেক ভালো ফিডব্যাক পাবো এবং দাম অনুযায়ী আমার কাছে বাইকের পারফরমেন্স ঠিক মনে হয়েছে। সবাই সাবধানে বাইক রাইড করবেন ধন্যবাদ সবাইকে।