অনেক দিন ধরে যে সকল বাইকার বা বাইকপ্রিয় ভাইয়েরা এর রিভিউ এর জন্যে অপেক্ষারত আছেন তাদের কাছে Loncin gp 150 এর ভাল এবং খারাপ দিক গুলো তুলে ধরছি....
প্রায় ১৫০০ কিমি. চালানোর পর আমার ব্যাক্তিগত মতামতঃ-
Brand : Loncin
Model : GP 150
Country of Origin : China
Importer : H Power Bangladesh
Loncin gp 150 এর ভাল দিক সমূহ
১। যারা স্পোর্টস বাইক লাভার তাদের জন্যে নিঃসন্দেহে এটি একটি হাই রেডি পিক আপ বাইক, যা চোখের পলকেই ০-৬০ উঠে যায় ।
২। এর সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে এর অসাম কন্ট্রলিং। এটি কে হাই স্পিড থেকে খুব ইজিলি কন্ট্রল করে থামানো যায়।
৩। এর সামনে ও পিছনে ডুয়েল হাইড্রলিক ডিস্ক থাকায় স্মুথলি ব্রেকিং করা যায়।
৪। এর হ্যান্ডেলবার আপনাকে দিবে অভাবনীয় আরামদায়ক ফিলিংস।
৫। এর হেডলাইট এর লোবিম যথেষ্ট পাওয়ারফুল।তাই আলাদা লাইট লাগানোর প্রয়োজন নেই।
৬। বাইকের সামনের সাইড লাইট বাইকটিকে দেয় অভাবনীয় এক সৌন্দর্য
৭। এর সাস্পেনশন গুলি এত ইজি এবং স্মুথ যে আপনি যত ভাঙ্গা রাস্তাই হোক খুব আরাম পাবেন রাইড করে।
৮। এর সামনে এবং পিছনের চাকা যথেষ্ট মোটা তাই স্কিড খুব একটা করেনা বললেই চলে।
৯। এর হর্ন যথেষ্ট পাওয়ারফুল
১০। সাউন্ড এক কথায় হাই লেভেলের স্পোর্টস বাইকের চেয়ে কোন অংশে কম না। বরং সে গুলির মতই। তাই হলার লাগানোর কোন প্রয়োজন নাই।
১১। সিট যথেষ্ট আরামদায়ক
১২। সিট পজিশনের সাথে হ্যান্ডেল বার সামঞ্জস্যপূর্ণ ।তাই বেক পেইন বা হাত ব্যাথা করেনা।
১৩। এর ওজন অনেক বেশি হওয়ায় হাই স্পিডেও ভাইব্রেট করেনা।
১৪। গিয়ার সিফটিং খুব ইজিলি হয়।
১৫। স্পেয়ার পার্টস খুব সহজেই শোরুম এ পাওয়া যায় তাই পার্টস নিয়ে কোন চিন্তায় পরতে হবে না, দাম ও খুব বেশি না।
১৬। সবচেয়ে অসাধারন হচ্ছে এর লুক। আপনি এটি নিয়ে রাস্তায় বের হলে সবার নজর থাকবে এর উপর। তাই সাবধান কেউ কেউ আবার তাকাতে তাকাতে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে যায়।
Loncin gp 150 এর খারাপদিক সমূহ
প্রতিটি বাইকের ই ভালদিকের পাশাপাশি কিছু খারাপ দিক ও থাকে।
১। এর মাইলেজ অন্যান্য বাইকের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু যেহেতু এটি একটি হাই সিসি এর স্পোর্টস বাইক তাই ৩০+ খুব একটা কম বলে মনে হয় না।
২। এর হেডলাইট এর হাই বিম অনেক কম
৩। হেডলাইট জ্বলান অবস্থায় এর হর্নের সাউন্ড অনেক কমে যায়।
৪। লো আরপিএম এ বাইক চালালে অনেকক্ষণ পর ইঞ্জিনে কিট কিট আওয়াজ করে বাট হাই আরপিএম এ করে না।
৫। বাইকটি অন্যান্য বাইকের তুলনায় অনেক উঁচু। তাই যারা একটু খাটো তাদের কন্ট্রলিং এ সমস্যা হতে পারে।
৬।বাইকটির ওজন অনেক বেশি (প্রায় ১৫৫ কেজি ) তাই বিজি রোড এ নন প্রফেশনালদের সমস্যা হতে পারে।
৭। অতিরিক্ত কাদায় বাইকটি স্কিড করে।
যেহেতু ব্রেকিং পিরিয়ড মাত্র শেষ করলাম তাই টপ স্পিড বা এক্সাক্ট রেডি পিক আপ সম্বন্ধে খুব শীঘ্রই জানাব ।।
পরিশেষে বলা যায় এই বাইকের খারাপ দিক খুব একটা মেজর কিছু না। ১৬০০০০/১৮০০০০ টাকা দাম অনুযায়ী এই রেঞ্জের সকল বাইকের চেয়ে এটাই বেস্ট।
কন্ট্রলিং,কম্ফরট,রেডি পিক আপ,টপস্পিড, লুক সব মিলিয়ে বাইকটিকে করেছে এক অসাধারণ স্পোর্টস বাইক।।
একটা কথা মনে রাখতে হবে যে," যত্ন করলে রত্ন মেলে " তাই এটিকে ঠিক মত টেক কেয়ার করলে অন্যান্য ফেমাস ব্রেন্ডেড বাইকের মত এর ডিউরাবিলিটি ও অনেক বেশি হবে ।।
আমার বাইক সম্বন্ধে প্রথম রিভিউ এটা, তাই কোথাও ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত আপনাদের কাছে তুলে ধরেছি।। কোন ভুল তথ্য বা কাউকে বিভ্রান্ত করার জন্যে নয়।
ধন্যবাদ।
#ride_safe_wear_helmet