স্কুটার কেনা আমার অনেক আগে থেকেই শখ ছিলো।এদিকে আমার ব্যাক্তিগত ৩টা বাইক ছিলো কিন্তু একটা দুর্ঘটনার পর থেকে বাইকের প্রতি মন উঠে যায়। আমি বেশির ভাগ সময় বাসার বাইরে থাকি আমার ব্যবসায়ের কাজের জন্য তাই বাইক নিয়ে ঘুরাফেরা করা হয় না। আমার ছেলে বড় হওয়ার সাথে সাথে তার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ছেলের পছন্দের বাইক হচ্ছে সুজুকি জিক্সার, হোন্ডা হরনেট, পালসার অর্থাৎ নেকেড স্পোর্টস বাইকগুলো তার বেশি পছন্দ কিন্তু আমি সে সকল বাইকে সম্মতি দিইনি কারণ সে সব বাইক ব্যবহার করলে এক্সিডেন্ড করার ঝুকি বেশি থাকে এমনিতেই বয়স কম তার মধ্যে কিছু হয়ে গেলে আমি বাবা হিসেবে সেটা মেনে নিতে পারবো না। তাই আমি আমার ছেলেকে বললাম স্কুটারের কথা । আমারও চালানো হবে সেও শহরের মধ্যে ঝুকিমুক্তভাবে চালাতে পারবে। সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত হল স্কুটার কেনার এবং আমি আগেই বলেছি যে আমার স্কুটারের প্রতি একটা শখ ছিলো। যাই হোক আমি আজ থেকে প্রায় ৪ মাস আগে আমার বন্ধুর শো রুম থেকে মাহিন্দ্রা গাস্তো স্কুটারটি ক্রয় করি। অন্য কোন ব্র্যান্ডের স্কুটার তেমন পছন্দ হয়নি আর শুনেছি যে মাহিন্দ্রা স্কুটারের অভিযোগ কম। এই ৪ মাসের মধ্যে স্কুটার নিয়ে রাইড করেছি মাত্র ২১০০ কিমি। রাইড করে আমি অন্যান্য বাইকের থেকে অনেক শান্তি পেয়েছি এবং রাইড করতে ঝামেলা কম। শহরের মধ্যে খুব ভালো ভাবেই রাইড করতে পারি যা অন্যান্য বাইকের তুলনায় অনেক সহজ। সত্যি কথা বলতে আমি এই পর্যন্ত স্কুটারের খারাপ কোন দিক খুঁজে পাইনি । ভালো কিছু দিক নির্বাচন করেছি তা নিচে তুলে ধরলাম-
-স্কুটারের ডিজাইনটা অনেক সুন্দর এবং মাস্কুলার
-সিটিং পজিশন অনেক ভালো এবং দুই পা আরামের সাথে সামনে রেখে রাইড করা যায় যা আরামদায়ক রাইডিং অনুভুতি দেয়।
-ইঞ্জিনের শব্দ অনেক স্মুথ এবং ভাইব্রেশন খুবই কম
-গিয়ার শিফটিং ঝামেলা নাই । তাই স্বাধীনভাবে শহরের মধ্যে রাইড করা যায় ।
স্কুটারটা আমার ছেলে বেশি ব্যবহার করে তাই মাইলেজটা সঠিকভাবে অনুমান করতে পারছি না তবে অনুভব করছি যে মাইলেজ ৪৫ থেকে ৫০ কিমি প্রতি লিটারে পাচ্ছি।
এই বাইকটা আমি তাদেরকে সাজেস্ট করবো যাদের বয়স ৫০ এর বেশি অথবা এই বাইকটা তরুণরা কলেজে যাতায়াত কিংবা শহরের মধ্যে রাইড করার জন্য ব্যবহার করতে পারে । এই বাইকটা যদি তরুণরা ব্যবহার করে তাহলে আমার মনে হয় ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা রাস্তা থেকে কমে যাবে। এই ছিল আমার মাহিন্দ্রা গাস্তো নিয়ে স্বল্প কিছু মতামত।