ভাইব্রেশনটি পীড়াদায়ক – টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৬০ ব্যবহারকারী নিয়াজ উদ্দীন

খুব ছোট বেলা থেকেই বাইকের ওপর কেমন যেন একটা টান কাজ করত।রাস্তায় বাইক দেখলে তাকায়ে থাকতাম এবং ভাবতাম কবে নিজের একটি বাইক হবে।আমার বাইকের হাতে খড়ি হয় আমার বন্ধুর বাইক হিরো গ্লামারে তারপর থেকেই বাইক কেনার নেশা আরও বাড়তে থাকে।আমার খুব পছন্দের বাইক টিভিএস আপাচি আরটিআর।আমি ভেবে রেখেছিলাম কোন দিন যদি বাইক কিনি আপাচি বাকটি কিনবো বলা যায় বাইকটি আমার স্বপ্নের বাইক। বাইকটি যদিও আমার বেশি দিন চালানো হয়নি তারপরও আমার কিছু ভালো ও মন্দ অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি মোঃ নিয়াজ উদ্দিন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। আজকে মটরসাইকেলভ্যালী আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে আপনাদের সামনে আমার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরার জন্য।আশা করছি শেষ পর্যন্ত আমার সাথে থাকবেন এবং ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।



ইঞ্জিনঃ
ইঞ্জিন পারফরমেন্স ভালো পাচ্ছি ।কিছু দিন আগে ঈশরদী গিয়েছিলাম ঘুরতে সেই ক্ষেত্রে আমি খেয়াল করেছি ইঞ্জিন অনেক বেশি গরম হচ্ছে তবে কোনো রকম খারাপ শব্দ করেনি।বাইকটি থামার পর কট কট শব্দ করছে কিন্তু আমি যত দূর জানি নতুন বাইক গুলোতে এমন শব্দ হয়। আশা করছি আগামিতে এমন শব্দ হবে না। ইঞ্জিন নিয়ে আমি খুশি এবং আশা করছি আগামিতে ভালো কিছু পাবো।

ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটিঃ
ডিজাইনে আমি আমি মুগ্ধ।বাইকটির ডিজাইন আমার খুব ভালো লেগেছে বিশেষ করে কালো রং আমার অনেক পছন্দ তাই আমি এক দেখাতেই বাইকটি কিনে ফেলি।আউতলুক অনেক জোস এবং হেডল্যাম্পের চোখ দুটি আমাকে পাগল করে দেয়।বাইকটির বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভালো মনে হয়েছে আমার কাছে কারন কিছু দিন আগে আমার কাছে থেকে বাইকটি পড়ে যায় আমি মনে করেছিলাম হয়ত সাইড লাইট এবং পার্টস ভেঙ্গে যাবে। আমার ধারনা ভুল ছিল আমি বাইকটি উঠানোর পর দেকলাম একটি আঁচড়ও নেই। বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।আমি ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে সন্তুষ্ট এবং খুশি।



কন্ট্রোল ও কম্ফোরটঃ
বাইকটির কন্ট্রোল অনেক ভালো তবে আমার কাছে একটি বিষয় অনেক খারাপ লেগেছে। বিষয়টি হলো বাইকটি অনেক ভাইব্রেশন করে। ভাইব্রেশনের করনে আমার বাইক চালাতে অনেক সমস্যা হয়।আমি ৫০ কিলোমিটার স্পীডে বাইক চালিয়েছি সেই ক্ষেত্রে বাইকটি কন্ট্রোল অনেক ভালো ছিল।বাইকটির ব্রেক অনেক ভালো আমি অনেক কয়েকবার জরুরী ব্রেক করেছি বাইকটি একদম থেমে গেছে।আমি যখন ব্রেক করি দুটি ব্রেক এক সাথে করি সেই জন্য সহজে চাকা স্লিপ করেনা। আমার কাছে বাকটির কন্ট্রোল অনেক ভালো লাগে আগামিতেও আমি এমন কন্ট্রোল আশা করছি।আমার কাছে বাইকটি আরামদায়ক মনে হয়েছে। সিটের কোয়ালিটি অনেক ভালো এবং বসে অনেক আরাম পাই তবে পেছনের সীট আমার কাছে উঁচু মনে হয়েছে। আমি প্রাই আমার মাকে নিয়ে কাজে যাই সেই ক্ষেত্রে তার জন্য সীটের উচ্চতা বেশি মনে হয়েছে তাই আমি মনে করি সিটের উচ্চতা একটু কমালে ভালো হত।বাইকটির হ্যান্ডেল অনেক ভারি তাই অনেক ক্ষণ চালানোর পর হাতে পেইন ফিল করি।তবে আমি পিঠে কোন রকম পেইন এখন পর্যন্ত করিনি। বাইকটি অনেক ভাইব্রেশন করে তাই একটু বাইক চালালে শরীর ঝিঝি করে।বাইকটির সুইচের কোয়ালিটি মোটামুটি মনে হয়েছে আমার কাছে কারন আমি মনে করি ১৬০ সিসি বাইক হিসেবে বাইকটির সুইচগুলো অনেক সাধারন।এখনতো বয়স রাতের বেলাই বাইকটি নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কিন্তু আমি রাতের বেলায় যখন বাইক নিয়ে বের হয় প্রাই দিন লক্ষ করেছি হেডল্যাম্পের আলো অনেক কম এবং দুরের জিনিস গুলো সহজে চোখে পরেনা আমি হেডল্যাম্প নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি।বাইকটির সাস্পেন্সন অনেক ভালো অনেকবার আমি খারাপ রাস্তার ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে গেছি কিন্তু কোন ঝাঁকুনি বুঝতে পারিনি বিশেষ করে সামনের সাস্পেন্সন আমাকে দারুন সার্পোট করছে আমি যখন সামনের ব্রেক করি খুব সুন্দর ভাবে সাস্পেন্সন গুলো খেলে।



মাইলেজ ও সার্ভিসঃ
বাইকটি কেনার সময় শো-রুম থেকে ৬০ কিলোমিটার মাইলেজ পাবো বলেছিল আশা করছি এমনটি পাবো।ঠিক একই ভাবে আমি এখনও বাইকটি সার্ভিস করাতে নিয়ে যাইনি তবে কেনার সময় তাদের ব্যাবহার অনেক সুমধুর ছিল।

দাম ও সব মিলিয়েঃ
আমার স্বপ্নের বাইক আপাচি আর টি আর। তবে আর টি আর ১৬০ সিসি বাইক হিসেবে দাম তুলনামূলক অনেক কম। দাম নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্তুষ্ট। পরিশেষে আমি মনে করি সব কিছু মিলিয়ে বাইকটি আমাকে ভালো সার্পোট দিবে। সব কিছু নিয়ে আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট।আমার মনে হয় কোম্পানি যদি সকল সমস্যা গুলোর দিকে নজর দেয় তবে বাইকটি আরও ভালো হতে পারে।

খারাপ দিকঃ
-ভাইব্রেশন
-হেডল্যাম্প
-পিলিয়নের সিটীং পজিশন

ভালো দিকঃ
-আউটলুক
-ইঞ্জিন
-মাইলেজ

All TVS bike price in bd

TVS Apache RTR 160 SD