Is this review helpful?
Rate count: 5Ratings:
বাংলাদেশে প্রিমিয়াম স্পোর্টস ক্যাটাগরির মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে, Yamaha R15 V3 বেশিরভাগ সময় তালিকার শীর্ষে থাকে। সকল প্রযুক্তি, ফিচারস এবং সেই ফিচারগুলোর পারফরম্যান্স সব মিলিয়ে এই বাইকটিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মোটরসাইকেল করে তুলেছে। ইয়ামাহার এই প্রিমিয়াম ক্লাস মোটরসাইকেলটিতে খুবই আকর্ষণীয় স্পোর্টস লুক রয়েছে, যা বিশেষভাবে তরুণদের আকর্ষন করেছে। এখন এটিও ঠিক যে ইউজারদের এক্সপেরিয়েন্স থেকে কিছু কিছু ত্রুটিও রয়েছে এই বাইকে। আজ এই আর্টিকেলে আমরা টিম মোটরসাইকেল ভ্যালি এই রেসিং মেশিনের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
Yamaha R15 V3 এর সুবিধা:
আকর্ষনীয় স্পোর্টস ডিজাইন এবিং লুকঃ
Yamaha R15 V3 একেবারে রেসিং ট্র্যাকে চলা ইয়ামাহা R1 এবং R6 এর DNA নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই বাইকগুলো থেকে অনুপ্রাণিত ডিজাইন এবিং লুক থাকার কারনে বাইকটি যেকোন বাইকের থেকে বেশ আকর্ষনীয় এবং স্পোর্টি।
ভ্যারিয়েবল ভালভ অ্যাকচুয়েশন (VVA)
একটি 150cc মোটরসাইকেল হিসেবে ইয়ামাহা প্রথম ব্র্যান্ড যারা তাদের নতুন 155.1cc, লিকুইল্ড-কুল্ড, ফুয়েল-ইনজেক্টেড ইঞ্জিনে এ VVA চালু করেছে। এই প্রযুক্তি থাকার ফলে, R15 V3 যেকোন রেভেই লিনিয়ার পাওয়ার দিতে পারে। এই VVA কম এবং বেশি যেকোন rpm রেঞ্জই আকর্ষনীয় ইঞ্জিন পারফর্মেন্স এবং রাইডিং এক্সপেরিএন্স দিতে সহায়তা করে।
স্লিপার ক্লাচ:
Yamaha R15 V3 বাইকে স্লিপার ক্লাচ থাকায় গিয়ার শিফ্ট স্ট্রেস অনেক কম এবং রাইডারকে সাধারণ বাইকের তুলনায় হালকা ক্লাচ উপভোগ করতে সাহায্য করে।
ব্যতিক্রমী মাইলেজ এবং স্পীড কম্বিনেশনঃ
R15 V 3.0 থেকে কমপক্ষে 140 KM/H সর্বোচ্চ গতি পাওয়া যায় এর কারন বাইকের পারফেক্ট থ্রটল রেসপন্স। 0-100kmph স্পীডে বাইকটি পৌছাতে সময় লাগে মাত্র 10.5 সেকেন্ড। অন্যদিকে, সুই দিকেই মোটাচাকার সেটআপ থাকা সত্তেও, R15 V3 কমপক্ষে 40 Km/L মাইলেজ দেয়।
ফিচার প্যাকড ডিজিটাল কনসোল:
R15 V 3.0 এর জন্য একটি সাদা ব্যাক-লাইট অল-ডিজিটাল কনসোল ব্যবহার করছে ইয়ামাহা। ইউনিটটি দুর্দান্ত দেখতে এবং পুরোপুরি রেস-স্পেক সহ। প্রশস্ত ডিসপ্লেতে থাকে গিয়ার ইন্ডিকেটর, টেকোমিটার, লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর, VVA ইন্ডিকেটরসহ আরো অনেককিছুই রএয়ছে।
প্রশস্ত টায়ারঃ
140/70-17 সেকশনের পিছনের টায়ারগুলি Yamaha R15 V3 কে এখন পর্যন্ত R15 ভেরিয়েন্টের জন্য সবচেয়ে বড় টায়ার সেটআপ করে তোলে। টায়ারের কারণে, ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র চমৎকার রাইডিং স্ট্যাবিলিটি এবং কর্নারিং অভিজ্ঞতাই পায় না, এর সাথে এর পেছনের লুকটাও হয়ে ওঠে চমৎকার।
ডুয়াল-চ্যানেল ABS:
ABS ব্রেকিং এখন ব্যবহারকারীদের চাহিদা হয়ে উঠেছে এবং Yamaha R15 V3 বাইকে ডুয়াল চ্যানেল ABS পাওয়া যায়। সিস্টেমটি রাইডারকে ভেজা রাস্তায় নিরাপদ থাকতে সাহায্য করে এবং প্রতিটি রাস্তাতেই নিখুঁত ব্রেকিং অভিজ্ঞতা দিয়ে থাকে।
Yamaha R15 V3 এর অসুবিধা:
লো পাওয়ার LED হেডলাইটঃ
Yamaha R15 V3 বাইকে রয়েছে টুইন LED হেডলাইট যা আগের থেকে বেশি আকর্ষনীয় এবং স্মার্ট। কিন্তু নেতিবাচক দিক থেকে, এই সেগমেন্টের অন্যান্য বাইকের তুলনায় LED হেডলাইটের আলো অনেক কম।
পিলিয়নের জন্য নয়ঃ
R15 V3 এর ডিজাইনটি অনেক বেশি এগ্রেসিভ স্পোর্টস, যা বসার পজিশনকেও অনেক স্পোর্টি এবং এগ্রেসিভ করে তোলে। এটি ট্র্যাকের জন্য ভাল তবে শহর ভ্রমণ বা যাতায়াতের সময় আপনি আপনার পিঠে এবং কব্জিতে ব্যথার সম্মুখীন হবেন। অন্যদিকে, এই বাইকটি পিলিয়ন বহনের জন্যও নয়।
সব মিলিয়ে বাইকে ভাল দিকের পরিমান এবং অনন্য কিছু ফিচারসই বেশি। এই কারনে তরুনদের ড্রিম বাইক হিসেবেও ধরে নেয়া হচ্ছে এই বাইককে। বিস্তারিত নিউজ, রিভিউ, ফিচারস এবং যাবতী তথ্য জানতে ক্লিক করুন এই লিংকে।
Is this review helpful?
Rate count: 5বাংলাদেশে প্রিমিয়াম স্পোর্টস ক্যাটাগরির মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে, Yamaha R15 V3 বেশিরভাগ সময় তালিকার শীর্ষে থাকে। সকল প...
Bangla Englishপ্রতিটা বাইকারের একটি স্বপ্নের বাইক থাকে যেমনটি আমারও আছে। স্বপ্নের বাইক নিয়ে রাইড করতে সবারই ভালো লাগে। আমার স...
Bangla Englishআসসালামু আলাইকুম।আমি শাহরিয়ার তন্ময়।আমার বাসা রাজশাহী জেলার বাগমারা থানায় তবে পড়াশোনার জন্য ২০১১ সাল থেকে রাজ...
Bangla Englishছোটবেলা থেকেই আমি বাইক প্রেমী এবং বাইক আমার কাছে খুব পছন্দের একটি বাহন। আমি বাইক নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করত...
Bangla English