রোড মাস্টার প্রাইম ১০০ সিসি মোটরসাইকেলটি আমার জীবনের প্রথম বাহন। এটি আমি ৬ মাস যাবত ব্যবহার করে প্রায় ২৫০০ কিমি চালিয়েছি। এই মোটরসাইকেলটির ডিজাইন গুলো সুন্দর। এটি কেনার সময় লাল রংটা সিলেকশন করে কিনেছি। এর বডির প্লাস্টিক গুলো বেশ মজবুত কোয়ালিটির। তবে মোটরসাইকেলটির ওজন কম বলে মনে হয়েছে। এই মোটরসাইকেলটি হাই স্পীডে চালানোর সময় এর মাথা ভাইব্রেশন করে। দীর্ঘ যাতায়াতে আমার হাতে, পিঠে, কোমরে ব্যথা করে। এর সাসপেনশন গুলো মোটামুটি ভাল কাজ করে। মোটরসাইকেলটির সিটিং পজিশন বড় এবং এটি আমার খুব পছন্দের। কেননা, এর সিটে বসে আমার পরিবার নিয়ে খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারি। আমার চাহিদা ছিল কম বাজেটের মধ্যে ভাল গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ফিচারস যুক্ত একটি বাইক কেনার। তাই এই মোটরসাইকেলটি কিনে দাম নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। মোটরসাইকেলটি ইঞ্জিন থেকে আমি বেশ ভাল মাইলেজ পাচ্ছি। এটি রাতে চালিয়ে দেখেছি এর হেড লাইটে পর্যাপ্ত আলো হয়। এর সুইচ গুলো মোটামুটি ভাল, এগুলো ব্যবহার করতে আমার কোন সমস্যা হয় না। এর ব্যাটারি কোয়ালিটি ভাল হবার কারণে এর সেল্ফ ভাল কাজ করে। তাই বলবো কম দামে রোড মাস্টার প্রাইম মোটরসাইকেলটি সকলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
ভাল দিকঃ--
- গ্রাফিক্যাল ডিজাইন গুলো সুন্দর,
- মাইলেজ ভাল পাচ্ছি,
- ইঞ্জিন পারফরমেন্স অনেক ভাল,
- সিটি বেশ নরম ও বড়,
- সেল্ফ ভাল কাজ করে,
- দাম কম।
মন্দ দিকঃ--
- দীর্ঘ যাতায়াতে সমস্যা হয়,
- ওজন কম,
- হাই স্পীডে ভাইব্রেট করে।
মোটরসাইকেলটি পছন্দের কারণ?
এই মোটরসাইকেলটি পছন্দের মূল কারণ হচ্ছে এর দাম কম। কম দামে আমি নতুন ফিচারস যুক্ত মোটরসাইকেল পেয়েছি। লাল রংটা আমি পছন্দ করে কিনেছি, কারণ লাল রঙ এ ধুলাবালি লাগলে একটু কম বোঝা যায়।
মাইলেজ সিটিঃ- ৫০ কিমি।
মাইলেজ হাইওয়েঃ- ৫৫ কিমি।
এই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন পারফরমেন্স ভাল। এটি ওভার হিট হয় না। মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিনে এক্সট্রা কোন খারাপ শব্দ করে না। এর সামনের এবং পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক রয়েছে। এই ব্রেক মোটামুটি ভাল কাজ করে। তবে ডিস্ক ভার্শনের ব্রেকিং সিস্টেম হলে কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে একটু বেশিই ভাল হত। আমি এখন পর্যন্ত এই মোটরসাইকেলে মেজর সমস্যা পাইনি। তবে মোটরসাইকেল শুধু চালালেই হবে না, এর নিয়মিত যত্ন ও সার্ভিসিং করাতে হবে। তাহলে সর্বদা ভাল পারফরমেন্স পাওয়া যাবে। সবাইকে ধন্যবাদ।