Is this review helpful?
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে, আমারা যখনই কমিউটার বাইকের কথা বলি তখনই সম্ভবত শত শত জাপানি, ভারতীয় এবং চাইনিজ বাইক চলে আসে, কিন্তু কথা বলার মতো খুব কম বাংলাদেশি বাইক আছে। তবে কিছু বাইক রয়েছে কথা বলার মত। বাংলাদেশী মোটরসাইকেল তৈরীকারক কোম্পানি যেমন রানার আমাদের দেশের বাজারের জন্য মানসম্পন্ন বাইক অফার করে এবং রানার বুলেট ১০০ তার মধ্যে একটি। এই বাইকটি বাংলাদেশে তাদের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বাইকগুলির মধ্যেও পড়ে। প্রথম ভার্শনের সাফল্যের পর, রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড নিয়ে এস্ছে Runner Bullet-100 V2, যা বডি এবং ফিচারের দিকে থেকে আরও আপগ্রেড হয়েছে।
Runner Bullet-100 V2 ডিজাইন এবং লুকঃ
Runner Bullet-100 V2 কে স্টাইলিশ স্পোর্টি কমিউটার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এটি আগের বুলেট ১০০-এর সর্বশেষ সংস্করণ। আপগ্রেড ডিজাইন এবং একেবারে নতুন বডি স্টাইল এই বাইকটিকে দেখতে অসাধারণ আউটলুক দেয়। বাইকটিতে শুধুমাত্র স্পোর্টস ডিজাইনই রাখা হয়নি, সেই সাথে বডি প্যানেলেও একটি চটকদার আপগ্রেড করা হয়েছে। তারপর থাকছে , আপডেট বডি কালার এবং গ্রাফিক্স । এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ডিজাইনের সাথে নতুন দুটি শ্রাউড এড করা হয়েছে দুই পাশে, যার ফলে বাইকের সামগ্রিক চেহারায় কিছুটা নতুনত্ব এসেছে। বোল্ড হেডল্যাম্প, টেইল ল্যাম্পের পাশাপাশি একটি বড় সিটিং ওভারঅল বডি প্যানেলগুলিকে পেশীবহুল দেখাতে সক্ষম। সামনে থেকে পিছন পর্যন্ত বাইকটিকে নতুন গ্রাফিক ডিজাইনে সাজানো হয়েছে। যার ফলে বাইকটি আরও শার্প এবং স্পোর্টিয়ার দেখায়। সামগ্রিকভাবে, এই বাইকটি বেশ আকর্ষণীয় এবং আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছে।
Runner Bullet-100 V2 বডি ডাইমেনশন:
Runner Bullet 100 V2 একটি ছোট আকারের কমিউটার হিসাবে বিবেচিত হতে এর বডি ডাইমেনশনের উপর ভিত্তি করে। বাইকটির সিটের উচ্চতাও রাখা হয়েছে কম। বুলেট 100 V2 এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে ২০৬০ মিমি, ৭৮৫ মিমি এবং ১২৬৮ মিমি। বাইকটির ওজন বেশ হালকা যা হচ্ছে ১২০ কেজি এবং ফুয়েল ট্যাঙ্কে ১৪ লিটার তেল রাখা যায়। বাইকটিতে ১২৯০ মিমি ছোট হুইলবেসও রাখা হয়েছে, যা বাইকে চালানোর জন্য উপযুক্ত এবং বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স বেশ ভালো। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স প্রায় ১৮২ মিমি, যা বাংলাদেশের জন্য বেশ আদর্শ। সামগ্রিকভাবে, বাইকটি বেশ কমপ্যাক্ট এবং রাইড করা সহজ।
Runner Bullet-100 V2 ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশন:
Runner Bullet-100 V2 বাইকে থাকছে একটি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ৪-স্ট্রোক এবং ১০০ সিসি ইঞ্জিন ইঞ্জিনটি 6.44BHP পাওয়ার @ 7500rpm এবং 7Nm টর্ক @ 5500rpm সর্বরাহ করতে পারে। বাইকটির মাইলেজ দাঁড়াবে ৫০-৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা আশা করা হচ্ছে। ইঞ্জিনটি একটি বেসিক ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ এবং 4-স্পীড গিয়ারবক্স সহ পাওয়া যাবে। ইঞ্জিনকে স্টার্ট করার জন্য বাইকটিতে ইলেকট্রিক-স্টার্ট এবং কিক-স্টার্ট উভয় ব্যাবস্থা রয়েছে।
Runner Bullet-100 V2 ব্রেক এবং সাসপেনশন:
Runner Bullet 100 V2- বাইকে ডিস্ক-ড্রাম ব্রেক সেটআপ রয়েছে। বাইকের সামনের ব্রেকটিতে ডিস্ক এবং পেছনেরটি রেগুলাত ড্রাম ব্রেক দেয়া হয়েছে। সামনের ডিস্ক ব্রেক বাইকটিকে অন্যান্য ১০০ সিসি বাইকের তুলনায় অনেক বেশি সুরক্ষিত করে তোলে।
অন্য দিকে, Runner Bullet 100 V2 সামনের দিকে একটি টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে স্প্রিং-লোডেড টুইন শক সাসপেনশন দেয়া হয়েছে। সামনের টেলিস্কোপিক ফর্কগুলি রাস্তায় ভাল সাড়া দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সামনের অংশের সাসপেনশন ভালো হলেও, বর্তমান ব্যবহারকারীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পেছনের অংশটি আরও ভালো হতে পারত।
Runner Bullet-100 V2 টায়ার এবং হুইল:
Runner Bullet 100 V2 বাইকে রয়েছে অ্যালয় হুইল। এটিতে একটি 2.75/17 এবং একটি 3.25/17 টায়ার সেটআপ রয়েছে। সামনের টায়ারটি একটি ১০০ সিসি বাইক হিসাবে গ্রহণযোগ্য, তবে পেছনের অংশে বেশিরভাগ বাইকের মতোই পাতলা টায়ার দেয়া হয়েছে, এই বিষয়ে রানার ভিন্ন কিছু ভাবতে পারত।
Runner Bullet-100 V2 মিটার ক্লাস্টার:
Runner Bullet-100 V2 বাইকে সম্পূর্ণ এনালগ ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে। ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে একটি স্পিডোমিটার, একটি ওডোমিটার, একটি ফুয়েল গেজ এবং একটি RPM মিটার রয়েছে। এগুলি ছাড়াও, বাইকটিতে একটি ট্রিপ মিটার এবং একটি গিয়ার ইন্ডিকেটর দেয়া হয়েছে। বাইকের গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর হল একটি ডিজিটাল ইউনিট, যা নতুনদের জন্য খুবই সহায়ক হতে পারে।
Runner Bullet-100 V2 লাইটিং পাওয়ার:
Runner Bullet-100 V2 বাইকে দেয়া হয়েছে হ্যালোজেন হেডলাইটে। তবে হেডলাইট হ্যালোজেন হলেও এতে পর্যাপ্ত আলো দেবার সক্ষমতা রয়েছে। টেললাইটিও হ্যালোজেন, কিন্তু সাইড ইন্ডিকেটরগুলো LED যাবতীয় ইলেক্ট্রিক বিষয়গুলো পরিচালনা করার জন্য বাইকে থাকছে 12V 7Ah ব্যাটারি।
শেষ কথা:
Runner Bullet 100 V2 প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য একটি স্টাইলিশ এবং কমপ্যাক্ট বৈশিষ্ট্য সহ তৈরি বাইক। বাইকটি চারটি ভিন্ন কালারে পাওয়া যাবে, এগুলি হল কালো, নীল, লাল এবং সাদা, সবকয়টি কালারই ম্যাট এবং স্পোর্টি ডিকালের সাথে থাকবে। আগের মডেলটি যেমন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে চমৎকার সাড়া পেয়েছিল, আশা করা যাচ্ছে এই নতুন সংস্করণটিও একই রকম ভাবে সাড়া পাবে।
Is this review helpful?
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে, আমারা যখনই কমিউটার বাইকের কথা বলি তখনই সম্ভবত শত শত জাপানি, ভারতীয় এবং চাইনিজ বাইক চল...
Bangla English