ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য বাইকের বিকল্প কোন বাহন নেই। এটি নিয়ে ইচ্ছা স্বাধীনভাবে যে কোন স্থানে যাতায়াত করা যায়। আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। পেশায় আমি একজন চাকুরীজীবী। বর্তমানে আমার অফিসে যাতায়াত এবং দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে বাইক ব্যবহার করি। আমার বাইকের নাম রানার চিতা। এ বাইকটি আমি ব্যবহার করে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। ১০ মাস আগে বাইকটি কিনে প্রায় ৫০০০ কিমি রাইড করেছি। আমার এই স্বল্প অভিজ্ঞতার আলোকে বাইক নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই বাইকটির তেল খরচ খুব কম। এর সিটিং পজিশন বড়। আমি পরিবার নিয়ে খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারি। এর সাসপেনশন গুলো মোটামুটি ভাল। বাইকটির গ্রাফিক্স ডিজাইন গুলো আমার বেশ পছন্দের। এর হেড লাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো হয়। হাই স্পীডে ৬০ এর বেশি গতিতে তুললে বাইকটির মাথা ভাইব্রেশন করে। বাইকটির ওজন আর একটু বেশি হলে ভাল হত।
ভালো দিকঃ
১/ ইঞ্জিন পারফর্মেন্স ভাল।
২/ তেল খরচ কম।
৩/ সিটিং পজিশন বড়।
৪/ গ্রাফিক্স ডিজাইন গুলো সুন্দর।
৫/ দাম কম।
৬/ কন্ট্রোল মোটামুটি ভাল।
মন্দ দিকঃ -
১/ বেশি গতিতে ভাইব্রেশন করে।
২/ ওজন কম।
বাইকটি পছন্দের কারণ?
এই বাইকটি পছন্দের মূল কারণ হল এর তেল খরচ খুব কম। এই বাইকটি কেনার আগে আমি বেশ কয়েক জনের সাথে পরামর্শ করে কিনেছি। এটি দেখতে ছোট হলেও এর গ্রাফিক্স ডিজাইন গুলো চমৎকার।
মাইলেজ সিটিঃ ৫৫ কিমি।
মাইলেজ হাইওয়েঃ ৬০ কিমি।
আমার মনে হয় এই বাইকটা অনেক টেকসই হবে। এর ইঞ্জিন পারফর্মেন্স চমৎকার। বেশি যাতায়াত করলেও এর ইঞ্জিন ওভার হিট হয় না এবং এর ইঞ্জিনের শব্দটা আমার ভাল লাগে। বাইকটির সামনের এবং পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক রয়েছে। এগুলোর মাধ্যেমে আমি মোটামুটি কন্ট্রোল করতে পারি। আমার সাধ্যের মধ্যে এমন ভাল একটি বাইক কিনতে পারায় দামের দিক থেকে আমি সন্তুষ্ট আছি। তাই পরিশেষে বলবো, সাধ্যের মধ্যে রানার চিতা বাইকটি আপনারাও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ।