রানার ডিলাক্স ৭৫০০কিমি ব্যাবহারিক অভিজ্ঞতা

আমি বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ চালাতাম। আমার বয়স বাড়ছে, এ কারণেই আমি ভারী বাইক নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সমস্যা মনে করছিলাম। এই কারনেআমি আরামদায়ক এবং ছোটখাট একটা বাইকখুজছিলাম, যা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অনেক খোজাখুজির পরে আমি রানার ডিলাক্স ডিলাক্স AD80S বাইকটি পাই। ৯ মাস কেটে গেছে এবং আমি ৭৫০০ কিলোমিটার হল বাইকটি ব্যবহার করছি। আমি এই বাইকটি সম্পর্কে বেশকিছু অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছি এবং টীম মোটরসাইকেলভ্যালিকে আমার সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে তাই আজ আপনাদের সামনে আসা।

প্রথমে আপনাদের বাইকটির ভাল দিকগুলি সম্পর্কে বলি:

- এই বাইকের মাইলেজ খুবই আকর্ষনীয়। প্রায় ৬০ কিলোমিটার / লিটার মাইলেজ পাচ্ছি। আমি মনে করি এটি শহর চলাচলের জন্য উপযুক্ত। কখনও কখনও আমি হাইওয়েতে ৭০কিমি / লিটার মাইলেজ পেয়েছি।
- ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স খুব স্মুথ বলে মনে হচ্ছে। আমি কখনই কোনও ভাইব্রেশন বা অন্য কোন খারাপ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার মত কিছুই অনুভব করিনি। আমি বাইকের স্পীডেও সন্তুষ্ট এবং মাইলেজ সবথেকে বেশি পছন্দ করি। ৮০ সিসির বাইক হিসাবে আমি সর্বদা ৬০ এর বেশি স্পিডে এই বাইক চালাই।
- ব্রেক ভাল, যার ফলে বাইকের কন্ট্রোলিং নিখুঁত বলে মনে হয়। শহরের ভিতরে আমি যখনই চাই সহজেই আমার বাইকটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। পাশাপাশি, বাইকটি কমফোর্টেবলও বটে। আমি সহজেই পিলিয়ন নিয়েচলাচল করতে পারি, কিন্তু আমার কাছে মনে হয় একা চালানোর জন্যই বেশি ভাল কারন, পিছনের সাসপেনশন খুব একটা উন্নত না।
- ইলেকট্রিকাল ফিচার খুবই ভাল। রাতে অনেক আরামেই বাইকটি চালাই,তবে আমি যখন রাতের হাই বীম দিয়ে চালাই তখন আলো অনেকটা ফেটে যায়, লো লাইট ভাল।
- আমি লং জার্নির ক্ষেত্রে আমার এনএস চালাতাম, তবে আমি সেই বাইকটি বিক্রি করার পরে এই বাইকটি নিয়েই ছোটখাট ভ্রমণে যাই। আমি এই বাইকটি নিয়ে একদিনে প্রায় ১২০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছি এবং আমি কখনই ক্লান্তি বা অন্য কোন ঝামেলা অনুভব করি নি।

মোট কথা, আমি বলতে চাই যে এই বাইকটি সিটি রাইডিংয়ের জন্য উপযুক্ত। আমি এই বাইকটি দীর্ঘ রাইডের জন্য কিনতে বলব না, কারণ এই বাইকটি আকারে ছোট এবং ইঞ্জিন শক্তি সীমিত। তবে, যারা শহরের জন্য এই বাইকটি কিনতে আগ্রহী, তারা অবশ্যই বাইকটি কিনতে পারবেন। আশা করি তারা হতাশ হবেন না।
এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, ধন্যবাদ মোটরসাইকেলভ্যালি কে।

All RUNNER bike price in bd

Runner Deluxe