আমি একজন চাকুরিজীবি এবং আমার পেশার জন্য আমাকে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে। অনেক দিন ধরে আমি নিজের জন্য একটি বাইক কেনার কথা ভাবছিলাম, তবে অনেক কারণে আমি কিনতে সক্ষম হয়নি। কিছু দিন আগে আমি দেখেছি রানার তাদের বাইক কেনার জন্য লোন সুবিধা দিয়ে থাকে। আমি তাদের বাইকগুলি দেখি এবং আমার প্রয়োজন অনুসারে আমি দেখলাম এই কোম্পানির একটি বাইক কেনায় যায়।একারনে আমি রানার শোরুমে গিয়ে শেষ পর্যন্ত রানার রয়েল + কিনেছি। আমার আগের কোন পছন্দ ছিল না এবং এটি ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রথম বাইক। মিটারে এখন প্রায় ১২০০ কিলোমিটার এবং তা চলেছে ৪ মাস ধরে। আমার খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই তবে আমি নিজের কিছু মতামত আপনাদের সাথে তুলে ধরব।
বিল্ড কোয়ালিটি বাদে আমি এই বাইকের কোনও খারাপ দিক খুঁজে পাইনি। প্রথম নজরে এই বাইকটি দেখতে ভাল লাগছে, তবে আমি মনে করি না এই বাইকটির বডি পার্টসটেকসই। তা ছাড়া আমি এই বাইকের বেশিরভাগ দিকই পছন্দ করি। আমি আপনাদের কিছু নির্দিষ্ট বিষয় বলি।
- এই বাইকের ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স ভাল। মাইলেজ এবং স্পীড আমার কাছে ভাল লেগেছে। আমি মাইলেজ কখনই সেই ভাবে দেখিনি,তবে আমার ব্যবহার অনুযায়ী আমার জ্বালানী খরচ অনেকটা কম।
- আমার কাছে সবথেকে বেশি ভাল লেগেছে গিয়ার শিফটিং সিস্টেম। আমি একজন পুরানো বাইক ব্যবহারকারী, সুতরাং সামনে গিয়ার আমার জন্য উপযুক্ত। এই বাইকের এই সিস্টেম রয়েছে, তাই আমি সত্যিই আমার রাইড উপভোগ করি।
- ব্রেকগুলো বেশ কার্যকর এবং এর কারণে কন্ট্রোলিং ভাল। আমি যেখানেই চাই সহজেই এই বাইকটি থামাতে পারি। বডি ওয়েট হালকা, যার কারণে ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ।
- বেশিরভাগ সময় আমাকে পরিবার বা পিলিয়ন নিয়ে ভ্রমণ করতে হয়। সব সময়ই আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পিলিয়ন হিসেবে পিছনে বসেও কোনও অভিযোগ নেই।
- রাতের যাতায়াতগুলি খুব স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত কারণ হেডল্যাম্প রাস্তা পরিষ্কার দেখাতে সক্ষম, তার কারন তা যথেষ্ট শক্তিশালী।
আমি এই বাইকটি হাইওয়েতে চালিয়ে দেখিনি এখনও, তবে একদিনে আমি প্রায় ৯০কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছি এই বাইকে, তখন আমি খুব আরাম অনুভব করেছি এবং এই বাইকের কোনও ফিচার সম্পর্কে কোন অভিযোগ নেই।