মোটরসাইকেল মানুষের জীবন যাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এখন অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাতায়াত করে । স্বাধীন ও বাধাহীন ভাবে রাইড এবং সময় বাচাতে অনেকেই মোটরসাইকেলের দিকে বেশি ফোকাস দিচ্ছে এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের রোড কন্ডিশনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কোম্পানী বেশ কম দামে গ্রাহকদের হাতে ভাল মানের মোটরসাইকেল তুলে দিচ্ছে। এখন দেশেই বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের নিজস্ব মোটরসাইকেল প্রস্তুতে নেমেছে। বিদেশি ব্রান্ডের পাশাপাশি স্বদেশি কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে যার মধ্যে রানার অটোমোবাইল উল্লেখযোগ্য। রানার অটোমোবাইল কম দামে অনেক ভালো ভালো মোটরসাইকেল গ্রাহকদের হাতে তুলে দিচ্ছে। রানার গ্রাহকদের সাধ ও সাধ্যের কথা চিন্তা করে বাজারে নিয়ে এসেছে এক্সিকিউটিভ বাইক যার নাম রানার রয়েল প্লাস। ১১০ সিসির এই বাইকটিতে বেশ ভালো ডিজাইন ও আধুনিক কিছু ফিচারস রয়েছে। এককথায় বলতে গেলে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য সব কিছু আছে এই বাইকটিতে। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাদের এই বাইকটিতে আর কি কি রয়েছে।
ডিজাইন ও ডাইমেনশন
১১০ সিসির এই বাইকটি অনেক সুন্দর ডিজাইন লক্ষ্য করা যায় পাশাপাশি কিছু আকর্ষণীয় গ্রাফিক্স রয়েছে যেটা দেখলে গ্রাহকদের খুব সহজেই নজরকাড়বে। বাইটির সুন্দর ডিজাইনের পাশাপাশি এর বডি ডাইমেনশনটা বেশ ভালো রয়েছে। এলয় রিম,আধুনিক ফিচারস, সামনে ডিস্ক ব্রেক এসব কিছু বাইকটিকে দেখতে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বাইকটির বডি ডাইমেনশনে রয়েছে লম্বায় ২০২৫মিমি, চওড়ায় ৭৮৫মিমি এবং উচ্চতায় রয়েছে ১২৩৫মিমি । অপরদিকে হুইলবেজ রয়েছে ১২৯০মিমি, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ১৬৮ মিমি এবং সব মিলিয়ে ওজন রয়েছে প্রায় ১১৪ কেজি। বাইকটিতে আরও রয়েছে ১০ লিটার তেল ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ফুয়েল ট্যংকার। সব মিলিয়ে আশা করা যায় বাংলাদেশের গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ি এবং রোড কন্ডিশন অনুযায়ী বাইকটির ডিজাইন ও ডাইমেনশন বেশ ভালোই রয়েছে।
ইঞ্জিন
রয়েল প্লাসে রয়েছে ১০৯.১ সিসির সিংগেল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন যেটা ৬ কিলোওয়াট @৭৫০০ আরপিএম ম্যাক্স পাওয়ার এবং ৭.৮ এনএম @ ৬০০০ আরপিএম ম্যাক্স টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। ইঞ্জিনের সাথে রয়েছে ৪ টি স্মুথ ট্রান্সমিশন গিয়ার বক্স। ১১০ সিসির বাইক হিসেবে আশা করা যায় ইঞ্জিনটা গ্রাহকদের খুব একটা বিড়ম্বনায় ফেলেবে না এবং বেশ ভাল পারফরমেন্স দিবে।
মিটার এবং ইলেকট্রিক্যাল
রয়েল প্লাস বাইকটিতে বেশ আধুনিক ফিচারস রয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল দিকে রয়েছে ১২ ভোল্ট ৬.৫ এম্পায়ারের ব্যাটারি 12V 35W/35W 3W এর হেডল্যাম্প, 12V 21W/5W টেল ল্যাম্প এবং 12V 10W এর টার্ন ল্যাম্প। এছাড়াও হ্যান্ডেলবারে রয়েছে ইঞ্জিন কিল সুইচ, সাইড ইন্ডিকেটর সুইচ এবং গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সকল সুইচ এখানে রয়েছে। অন্যদিকে বাইকটির মিটার কনসোল ডিজিটাল। মিটার কনসোলে প্রয়োজনীয় সব কিছু ডিজিটাল রয়েছে তবে আরপিএম মিটারটি ডিজিটাল নয়।
টায়ার
বাইকটির সামনে এবং পেছনে ১১০ সিসি অন্যান্য বাইকের তুলানয় বেশ মোটা টায়ার লক্ষ্য করা যায়। সামনের টায়ারের সাইজ 2.75-18 এবং পেছনের টায়ারের সাইজ 3.00-18।
সাসপেনশন
সামনের দিকে রয়েছে টেলিস্কোপ সাসপেনশন এবং পেছনের দিকে রয়েছে কয়েল স্প্রিং হাইড্রুলিক টুইন শক সাসপেনশন যা বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে আরামদায়ক রাইডিং এনে দিবে।
ব্রেকিং
বাইকটিতে সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।দুটো ব্রেকিং বেশ ভালো কাজ করে এবং ১১০ সিসি অন্যান্য ব্র্যান্ডের বাইকগুলো ডিস্ক ব্রেক খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়।
শেষ কথা
বাইকটির সকল ফিচারস বিবেচনা করে আমরা বলতে পারি যে, বাংলাদেশের গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ি এবং রাস্তায় চলাচলের উপযোগি করে বাইকটি তৈরি করা হয়েছে এবং দাম কমের মধ্যে আধুনিক সকল ফিচারস রয়েছে তাই আশা করা যায় বাইকটি গ্রাহকদের খুব বেশি অসন্তুষ্ট করবে না। রানার চেষ্টা করেছে তাদের এই বাইকটি গ্রাহকদের জন্য ভালো ভাবে ব্যবহার উপযোগি করে তৈরি করতে।