আমার জীবনে আমি ১০০ টিরও বেশি বাইক ব্যবহার করেছি। বর্তমানে আমার কাছে টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর 4ভি এবং বাজাজ ডিসকোভার রয়েছে। একদিন আমি রানার শোরুমে গিয়েছিলাম এবং আমার এক ছোট ভাই আমাকে টার্বো ১২৫ দেখালোI আমার বাইকটির ডিজাইন পছন্দ হয়েছিল এবং সে আমাকে তাঁর জন্য এই বাইকটি কিনে দিতে বলে। তাই আমি এই বাইকটি কিনেছি, তবে এখনও এই বাইকটি আমার নিজের জন্যই ব্যবহার করছি। ১২৫ সিসির বাইক হিসাবে এই বাইকের ভাল ফিচার রয়েছে এবং বিগত ২০০০ কিলোমিটারের জন্য আমি সেগুলি উপভোগ করছি। যদিও, এই বাইকটি ব্রেক-ইন পিরিয়ডে রয়েছে, তবে এই অবস্থাতেও বাইকটি ভাল পারফর্ম করছে বলে আমি মনে করি। এই বাইকটি সম্পর্কে আমার কিছু নিজস্ব অভিজ্ঞতা আপনাদের বলি।
এই বাইকের ভাল দিক:
- আমার মতে বাইকের মাইলেজ সেরা।
- ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স নিখুঁত, কোনভাইব্রেশন নেই, এমনকি হাই স্পীডেও ভাইব্রেশন পাইনি।
- পিলিয়ন এবং একা উভয় ক্ষেত্রেই চলাচলের জন্য যথেষ্ট আরামদায়ক।
- শক্তিশালী হেডল্যাম্প এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রিকাল ফিচারও ভাল।
আমি মাইলেজ নিয়ে সন্তুষ্ট, কারণ আমি প্রায় ৫০ কিলোমিটার / লিটার মাইলেজ পাচ্ছি। একটি ১২৫ সিসি বাইক থেকে আমার মনে হয় এই মাইলেজ যথেষ্ট। রাইডিংসীটের কারণে আমি বেশ আরামের সাথেই পথ পাড়ি দেই। তবে, আমি যখন পিলিয়ন নিয়ে যাত্রা করি তখন রেয়ার সাসপেনশন কম কাজ করে। কোনভাইব্রেশন ছাড়াই আমি ভাল স্পীডে বাইক চালাতে পারি। এখন অবধি আমি ৮০ কিলোমিটার / লিটারস্পীডের অভিজ্ঞতা নিয়েছি। আমার মনে হয় ব্রেক-ইন পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরে আমি আরও ভাল স্পিড এবং মাইলেজ পাব।
খারাপ দিক:
এই ২০০০ কিলোমিটারের মধ্যে আমি আমার বাইকের একটি খারাপ দিক খুজে পেয়েছি, যা হচ্ছে ব্রেকিং। রেয়ার ব্রেক সবচেয়ে খারাপ। আমি যখনই ব্রেক ব্যাবহার করি তখন আমার মনে হয় আমি ভাইব্রেশন অনুভব করি, সেই কারণে আমি মাঝে মাঝে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।
সামগ্রিকভাবে আমি এই বাইক নিয়ে সন্তুষ্ট। আমার মতে এই বাইকের দাম কিছুটা বেশি, দাম কিছুটা কমলে খুব ভালহত। এছাড়া বাইকের তেমন কোন সমস্যা নেই।
ধন্যবাদ।