Yamaha Banner
Search

English Version
2016-10-14

Runner Turbo 150 user review by Mostafiz Rubel


Runner Turbo 150আমি মোসতাফিজ রুবেল। চাকুরীজীবি। আমি গত ২০-১১-২০১৫ তারিখে Runner Turbo 150 বাইকটি কিনি। এখন পর্যন্ত ৭,৬২৬ কিমি চালিয়েছি। আমার এই অভিজ্ঞতার আলোকে এইটা আমার প্রথম রিভিউ। যতটুকু সম্ভব এই বাইকের ভালো খারাপ সবকিছু তুলে ধরার চেষ্টা করব।

এবার চলুন রিভিউ শুরু করি।

প্রথেমে আসি Engine এঃ Runner Turbo 150 এর Engine Displacement হচ্ছে ১৪৮.২ সিসি, ১১.৪ বিএইচপি, পাওয়ার ৮.৫ kw @ ৭৩০০ আরপিএম, টর্ক ১১.৫ এনএম @ ৫৫০০ আরপিএম, ৫ টি গিয়ার, এয়ার কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার । Turbo 150 এর Engine এর সাইজ আর পাওয়ার দিক থেকে এটি ১২৫ সিসি বাইকের সমান।

এবার আসি Performance এঃ
আগেই বলেছি Turbo 150 সিসি বাইকের পাওয়ার ১২৫ সিসি বাইকের সমান কিন্তু Power to Weight Ratio অর্থাৎ ১৫০ সিসি বাইক হিসেবে Turbo 150 এর ওজন কিছুটা কম। Turbo 150 এর ওজন ১২৯ কেজি। আর এই কম ওজন ই Turbo 150 কে এনে দিয়েছে এক দুর্দান্ত গতি। খুব কম সময়েই দ্রুত স্পিড উঠে।

Looks, Feel and Build Quality:
Looks: Turbo 150 রানার এর সবথেকে এখন পর্যন্ত powerful ১৫০ বাইক। লুকটা আমার কাছে অসাধারণ লাগে। বাজারে অন্য ১৫০ সিসি বাইক থেকে লুক এর দিক থেকে কোন অংশে কম নয় Turbo 150। এই বাইকের DRL feature অন্য ১৫০ সিসি বাইকে নাই বললেই চলে। Headlight এর লুকটা ও অসাধারন। এক কথায় বাইকের ডিজাইন বাইকের সাথে মানানসই হয়েছে। প্রথম দেখায় এর প্রেমে পড়ে যাই।

Feel: আমি প্রায় ১১ মাস ধারে Turbo 150 চালাচ্ছি। আমি এই বাইকের আগেও অন্য ১৫০ সিসি বাইক চালিয়েছি। Turbo 150 চালানোর সময় মনে হয় হ্যাঁ আমি একটা ১৫০ সিসি বাইক চালাচ্ছি। পুরা বাইক বডির সাথে সেঁটে থেকে যার কারনে রেসিং বাইকের কিছুটা ফিল পাওয়া যায়।

Build Quality: একটা বাইক ২০,০০০ কিমি রাইড করার আগে এর Build Quality সম্পর্কে খুব বেশি বলা যায়না। আমার ৭,৬২৬ কিমি চালানোর পর মনে হয়েছে Turbo 150 এর Build quality ভাল হবে। আমার ৭,৬২৬ কিমি চলার মাঝে শুধু একবার পিছনের ব্রেকসু এবং ক্লাচ ক্যাবল একটা পরিবর্তন করেছি। Engine এর সাউন্ড অনেক স্মুথ। যেমন প্রথমে ছিল এখনো তেমন আছে।

Handling and Breaking:
আমি অন্য যত বাইক চালিয়েছি সেইসব বাইকের মতোই Turbo 150 Handling এ আমাকে নিরাশ করেনি। ঢাকা শহরে জ্যামের মধ্যে খুব ভালভাবেই চালিয়েছি। যেভাবে ইচ্ছা চালিয়েছি কখনো Out of Control হয়নি। আমি রাস্তা ফাঁকা পেলেই ৮০-৯০ কিমি স্পিডে চালাই এবং খুব সহজেই অল্প সময়ে স্পিড কমিয়ে আনতে পারি। ( আপনারা ভুলেও আমার স্পিড দেখে নিজে স্পিড বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। যতটুকু control করতে পারবেন ততটুকু স্পিড উঠাবেন)। আজ পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কোন Accident করিনি। আমার কাছে Turbo 150 এর Control খুব ভালো মনে হয়েছে।

ব্রেকিং মোটামুটি ভাল। তবে খুব ভাল মানের তা বলব না। কারন আমি অনেক বার ফেজার চালিয়েছি তাই যদি ব্রেকিং এর কথা বলি তাহলে বলব Runner এর উচিৎ হবে Turbo 150 এর ব্রেকিং system আরও ভাল করা (As a 150 CC Bike)। Normal স্পিডে রাইড করলে এই Breaking System এ বাইক Control করতে তেমন কোন সমস্যা হবে না।

Top Speed and Millage:
আমি Turbo 150 এর টপ স্পিড ১০৬ কিমি/ঘন্টা তুলতে সক্ষম হই।
আমি Dhaka Cantonment থেকে বিজয় সরণী মোড় দিয়ে আমার অফস যাই। তেমন জ্যাম থাকে না। হয়ত এই জন্য আমি ৫০ কিমি/লিটার মাইলেজ পাচ্ছি।

Value For Money:
মাত্র ১,৪০,০০০ টাকায় একটি ১৫০ সিসি বাইক। এই দামে এর থেকে ভাল বাইক আর কি হতে পারে। সব থেকে বড় কথা হলো After sales service। অনেক কম দামি বাইক বাজারে পাওয়া যায় কিন্তু সেই বাইক কিনার পর ক্রেতাকে ভোগান্তিতে পরতে হয় কারন তাদের কোন সার্ভিসিং সেন্টার নাই। তারা বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে পারে না। Runner Automobiles একটা বাংলাদেশি ব্রান্ড। এদের সার্ভিসিং সেন্টার দেশের প্রায় সব জায়গায়। আমি এইটা চিন্তা করেই এই বাইক কিনেছি। Runner এর সেবার মান সবথেকে ভাল। আসল কথা হলো এত কম টাকায় একটা ১৫০ সিসি বাইক সাথে অনেক ফিচারস , ভাল সেবা, আমার মনে হয় এগুলাই যথেষ্ট এই বাইক নেওয়ার জন্য।

Drawbacks:
আমাদের দেশে যত বাইক আছে কোন বাইক ই ১০০% নিখুঁত নয়। একটা বাইকে সবধরনের সুযোগ সুবিধা থাকে না। আমার কাছে Runner Turbo 150 বাইকের যে সমস্ত খারাপ লেগেছে তা নিচে উল্লেখ করছিঃ

১। BHP: ১৫০ সিসি বাইক হিসেবে Turbo 150 এর BHP মাত্র ১১.৪ যা ১৫০ সিসি বাইক হিসেবে মোটেই কাম্য নয়। কমপক্ষে ১২+ BHP হলে আর ও স্পিড পাওয়া যেত।
২। টর্কঃ ১৫০ সিসি বাইক হিসেবে Turbo 150 এর টর্ক ৫,৫০০ আরপিএম। টর্ক আরও বেশি হলে ভাল হত ( ৬০০০+ আরপিএম)
৩। টায়ারঃ এইটা হলো Turbo 150 এর সবথেকে খারাপ দিক। ১৫০ সিসি বাইক হিসেবে Turbo 150 টায়ার অনেক চিকন। পিছনের টায়ার এর সাইজ ১২০ এবং সামনের টায়ার এর সাইজ ১০০ দিলে Breaking system অনেক ভাল হত। হার্ড ব্রেক করলে চাকা স্কিড করে। কাঁদা পানি রাস্তায় চাকা অনেক সময় স্লিপ করে।
৪। পিছনের সাসপেন্সনঃ Turbo 150 এর পিছনের সাসপেন্সন অনেক খারাপ। অনেক ঝাঁকি লাগে। খারাপ রাস্তায় সাসপেন্সন ঠিকমত খেলে না।
৫। ব্রেকঃ ব্রেকিং সিস্টেম তেমন ভালো নয়। ১৫০ সিসি বাইক হিসেবে Turbo 150 এর ব্রেকিং সিস্টেম আরও ভাল দরকার কারন অন্য ১৫০ বাইকে টপ স্পিডে যত দ্রুত কম সময়ে থামা যায় Turbo 150 তে তার থেকে অনেক বেশি সময় লাগে।

এখানে আমি যা লিখেছি তা শুধুই আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি। অন্য কারো সাথে নাও মিলতে পারে।
সবশেষে একটা কথাই বলব সব বাইকের ই কিছু না কিছু দোষ আছে সেটা যত দামী বাইক ই হোক। আগেই বলেছি Value for money এই কথা চিন্তা করলে এই বাজেটে Turbo 150 একটা বেস্ট বাইক। আমাকে এখন পর্যন্ত কোন পেইন দেয়নি। আমি Turbo 150 নিয়ে ভাল আছি।

বাইক চালানোর আগে অবশ্যই হেলমেট পরিধান করুন, মনে রাখবেন একটা দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না
-ধন্যবাদ- সবাইকে এত কষ্ট করে আমার এই রিভিউ পরার জন্য। মানুষ মাত্র ভুল হয়। তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।

বিশেষ ধন্যবাদ: Runner Bikers Club (RBC)

Rate This Review

Is this review helpful?

Rate count: 22
Ratings:
Rate 1
Rate 2
Rate 3
Rate 4
Rate 5

More reviews on Runner Turbo 150

2016-10-14

আমি মোসতাফিজ রুবেল। চাকুরীজীবি। আমি গত ২০-১১-২০১৫ তারিখে Runner Turbo 150 বাইকটি কিনি। এখন পর্যন্ত ৭,৬২৬ কিমি চালিয়েছি। আমা...

Bangla English
2015-08-18

...

English
2015-06-01

...

English
2016-10-14
2015-08-18
2015-06-01
Filter