বাংলাদেশে উদীয়মান মোটরসাইকেল ব্রান্ডগুলোর মধ্য সম্প্রতি সময়ে স্পীডার তাদের যাত্রা শুরুই করেছে ১৬৫সিসির ফুয়েল ইনজেকশন সমৃদ্ধ ইনজিনের ক্যাফে রেসার দিয়ে। তাদের আরেকটি শক্তিশালী বাইক স্পীডার বিগ মনস্টার ১৬৫এফআই। ব্যতিক্রমী ডিজাইন, শক্তিশালী ইনজিন এবং আধুনিক ফীচার দিয়ে মোড়ানো স্পীডার বিগ মনস্টার ১৬৫এফআই। চলুন পরিচিত হই বাইকটির গুরুত্বপূর্ণ ফীচারগুলোর সাথে।
ইনজিন
ইনজিনের কথা বলতে গেলে বলতেই হয় বাইকটি একটি শক্তিশালী ইনজিন দ্বারা পরিচালিত। ১৬৩.৭সিসির এফআই ইনজিন যেটি ম্যাক্স পাওয়ার তৈরী করতে পারে ১৫.৩ বিএইচপি। মোটরসাইকেলটির টপস্পীড ১৩৫কিমি প্রতি ঘন্টা। অয়েল কুলড সমৃদ্ধ ইনজিনটি নি:সন্দেহে সম সাময়িক সময়ে বাংলাদেশের থাকা বাইক গুলোর মধ্যে অন্যতম।
ডিজাইন ও গঠন
নেকেড স্পোর্টস লুকের ডিজাইনে সজ্জিত স্পীডার বিগ মনস্টার ১৬৫এফআই বাইকটি ডিজাইন করেছে প্রসিদ্ধ মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ডুকাটি। রিমুভেবল রেয়ার সিট কাউলটি বাইকটির ডিজাইনে ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে।বাইকটির ওজন ১৩৫ কেজি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৮০মিমি।
ব্রেকিং
বাইকটির সামনে এবং পেছনে উভয় চাকায় শক্তিশালী ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। দূর্দান্ত গতির সাথে গতিকে চমৎকার ভাবে নিয়ন্ত্রনের জন্য সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
মিটার
আধুনিক সকল সুবিধাসহ ডিজিটাল স্পীডোমিটার ব্যবহার করা হয়েছে। কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে উজ্জল সাদা আলো দিনে এবং রাতে উভয় সময়েই স্পষ্ট রিডিং দিবে।
সাসপেনশন
আরামদায়ক রাইডের জন্য সামনের চাকায় টেলিস্কোপিক আপসাইড ডাউন সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। পেছনে রয়েছে মনোশক সাসপেনশন। আরামদায়ক রাইড এবং দুর্দান্ত ব্রেকিং এর জন্য উভয় সাসপেনশন সমান কার্যকর।
টায়ার
সামনের চাকায় ১১০মিমি এবং পেছনের চাকায় ১৩০মিমি টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। উভয় টায়ার টিউবলেস। ব্রেকিং এবং কর্নারিং এর জন্য টায়ারগুলো খুবই কার্যকর।
হেডল্যাম্প
রাতের রাইডগুলোকে আরো আরামদায়ক করার জন্য বাইকটিতে আধুনিক ডিজাইনের শক্তিশালী এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির ১২ভোল্টের শক্তিশালী ব্যটারী দীর্ঘসময় আলোর নিশ্চয়তা দিবে।
পরিশেষে
নেকেড স্পোর্টস ডিজাইনের সাথে এফআই প্রযুক্তির ১৬৫সিসি শক্তিশালী ইনজিন বাইকারদের সহজেই মন ভরিয়ে দিবে। ভালো ব্রেকিং এবং কন্ট্রোলিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপকরন বিদ্যমান। আশা করা যায় বাইকটি স্পীড লাভারদের হতাশ করবে না।