Is this review helpful?
বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে বেশ অনেকটা সময় ধরে একচেটিয়া ব্যাবসা করে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান ও জাপানি ব্র্যান্ড, তবে এগুলো ছাড়াও কয়েকটি মানসম্পন্ন স্থানীয় ও চাইনা ব্রান্ডও ভালো করছে বর্তমানে। স্পিডার সেই তালিকার মধ্যে একটি ইতিবাচক নাম এবং তারা মানসম্পন্ন পণ্য আমদানি, এসেম্বল এবং বিতরণ করছে। সম্প্রতি তারা বাংলাদেশে কিছু নেকেড স্পোর্টস এবং কমিউটার বাইক লঞ্চ করেছে এবং তার মধ্যে রয়েছে Speeder Force 110। এটি একটি মিনি-স্ক্র্যাম্বলার মোটরসাইকেল, যা একটি ক্যাফে রেসার হিসেবেও বিবেচিত। স্পিডার এই বাইকের জন্য যে ফিচারগুলো দিয়েছে তা দেখে নেওয়া যাক। .
ডিজাইন এবং আউটলুকঃ
ডিজাইনের ক্ষেত্রে Speeder Force 110 এতটা আকর্ষণীয় নয়, তবে এটি একজন ক্যাফে রেসার প্রেমিকের প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। বাইকের দাম এবং গুনগতমান বিবেচনায়, এটি নিশ্চিতভাবে এই সেগমেন্টে একটি ডিসেন্ট বাইক। বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্ক্যারে স্টিকার এবং লোগো দ্বারা সজ্জিত। হ্যান্ডেলবারটি উঁচু রাখা হয়েছে যা একটি ক্যাফে রেসার মোটরসাইকেলের জন্য বেশ আইডিয়াল। এই বাইকের একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল এর সিট। ব্রাউন রঙের সিট দুটি মানুষের জন্য যথেষ্ট বড় এবং আরামদায়ক। এক্সহস্ট সিল্ভার কালার, যার ফলে বাইকটি একটি ক্লাসিক চেহারা পেয়েছে। সবমিলিয়ে এই বাইকটির একটি ঠান্ডা লুক রয়েছে যা সাধারণ কিন্তু স্টাইলিশ বলা চলে।
ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশনঃ
আমরা একটি 110cc সেগমেন্টের বাইক নিয়ে আলোচনা করছি, তাই শহর এবং হাইওয়ে রাইডিংয়ের জন্য এটির অবশ্যই একটি ভাল ইঞ্জিন পারফরম্যান্স থাকতে হবে। Speeder Force 110বাইকে থাকছে সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, এয়ার-কুলড, ১০৯.৪ সিসি ইঞ্জিন যা 7500 rpm-এ 7.7 Hp সর্বোচ্চ শক্তি এবং 6000 rpm-এ 8 Nm টর্ক উৎপাদন করতে পারে। ভালো ট্রান্সমিশনের জন্য ইঞ্জিনটিতে ৪-স্পীড গিয়ারবক্স এবং ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ রাখা হয়েছে। কোম্পানির দাবি, এই বাইকটি 105 km/h টপ স্পীডে পৌঁছতে পারে। এই বাইকের জন্য কিক এবং ইলেকট্রিক স্টার্টিং উভয় বিকল্পই রাখা হচ্ছে ইঞ্জিন স্টার্ট দেবার জন্য।
বডি ডাইমেনশনঃ
Speeder Force 110সব ধরনের রাইডারদের জন্য একটি আদর্শ ডিজাইনের বাইক এবং এটি রাইড করতে খুবই আরামদায়ক। এই বাইকের উচ্চতা 1040 মিমি, প্রস্থ 780 মিমি, দৈর্ঘ্য 1890 মিমি, হুইলবেস 1250 মিমি এবং স্ট্যান্ডার্ড গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স 200 মিমি। এই বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্কর ভিতরে ১১ লিটার ফুয়েল বহন করতে পারে এবং সমস্ত কিছু মিলিয়ে এর ওজন ৯৮ কেজি।
সাসপেনশনঃ
Speeder Force 110বাইকে আদর্শ সাসপেনশন সেটআপ দেয়া হয়েছে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যাফে রেসারে লক্ষ্য করা যায়। ফোর্স 110-এর জন্য সামনের দিকে একটি টেলিস্কোপিক ফর্ক সাসপেনশন এবং পিছনের দিকে টুইন-শক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। টুইন-শক সাসপেনশনে ওজন বহন করতে পারে বেশ ভালভাবেই।
ব্রেক এবং টায়ারঃ
Speeder Force 110 বাইকের সামনে একটি ডিস্ক মেটেড ব্রেক এবং পিছনের চাকায় একটি ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এটির সামনের দিকে 2.75-18 সেকশন টায়ার এবং পিছনের চাকায় 3.00-17 সেকশন টায়ার রাখা হয়েছে। তবে, টায়ারগুলি আরও ভাল স্থিতিশীলতা এবং টেনশনমুক্ত রাইডিংয়ের জন্য টিউবলেস হতে পারতো।
মিটার ক্লাস্টারঃ
Speeder Force 110 বাইকে থাকছে ডিজিটাল এবং এনালগ ডিজাইন করা মিটার ক্লাস্টার এর সংমিশ্রন। ফিচারগুলো আপডেট করা হয়েছে যাতে একটি অল-ডিজিটাল মিটার এবং অ্যানালগ ট্যাকোমিটার রয়েছে৷ ট্রিপ মিটার এবং ফুয়েল গেজের সাথে স্পিডোমিটার এবং ওডোমিটার ডিজিটাল। সুতরাং, একজন রাইডার অবশ্যই রাইডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ অ্যালার্ম পেয়ে যাবেন।
শেষকথাঃ
Speeder Force 110শুধুমাত্র একটি কালারে পাওয়া যাচ্ছে যা সাদা-কালো শেডের সাথে মিলিত এবং সিটের কালার রাকাহ হয়েছে ডার্ক ব্রাউন। সমস্ত ফিচারগুলো দেখে আমরা বলতে পারি এই বাইকটিতে বিশেষ কিছু নেই, তবে এটি যে সেগমেন্টে এসেছে তা ব্যবহারকারীদের জন্য কিছুটা হলেও আনকমন। আমাদের লোকাল বাজারে মাত্র কয়েকটি ক্যাফে রেসার বিদ্যমান, তাই এই বাইকটির প্রাইস অনু্যায় বাইকটি অনেকের জন্য আদর্শ হতে পারে।
Is this review helpful?
বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে বেশ অনেকটা সময় ধরে একচেটিয়া ব্যাবসা করে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান ও জাপানি ব্র্যান্ড, তবে ...
Bangla English