ঢাকা শহরের মধ্যে পাবলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আমার কাছে একটু অস্বস্তি মনে হয় কারণ আমি সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারি না। এই যাতায়াত সুবিধা আরও উন্নত করার জন্য দুই চাকার বাহন গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই চাকার মোটরসাইকেল নিয়ে যে কোন স্থানে নিজের মত করে ইচ্ছে স্বাধীনভাবে রাইড করা যায়। সব মিলিয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিই যে একটি মোটরসাইকেল কিনবো। মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে আমি বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম স্কূটারকে কারণ স্কুটার নিয়ে শহরের মধ্যে আরামের সাথে রাইড করা যায় আবার তেল খরচও অনেক কম। আমি যে স্কূটারটি ব্যবহার করবো সেটির হতে হবে শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং ভালো ফিচারস আর দাম তো অবশ্যই বাজেটের মধ্যে থাকতে হবে। মোটরসাইকেলের বিভিন্ন দোকান ঘুরে আমি পছন্দ করি সুজুকি এক্সেস ১২৫ এই স্কুটারটি কারণ আমার কাছে ১২৫ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে সুজুকি এক্সেস স্কূটারটি বেস্ট মনে হয়েছে। সম্প্রতি এই স্কূটারটি আমি কিনি এবং ১০০ কিমি রাইড করেছি। আমার স্বল্প অভিজ্ঞতার আলোকে আজকে আমি এই স্কুটার ব্যবহারের কিছু অনুভুতি শেয়ার করবো।
স্কূটারটি ব্যবহার করে আমি অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি কারণ ১২৫ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিনের সাথে রয়েছে আরামদায়ক সিটিং পজিশন এবং ডিস্ক ব্রেক যা অন্যান্য স্কুটারের থেকে একটু আলাদা মনে হয়েছে। আমি মূলত শহরের মধ্যে ঘুরাঘুরির জন্য স্কূটারটি ব্যবহার করি তাই শহরের মধ্যে চলাচলের ক্ষেত্রেও স্কুটারটি বেশ আরামদায়ক। অন্যদিকে এই স্কূটারটির যে সমস্যাটি আমি পাচ্ছি তা হল এর ব্রেকিং সিস্টেম একটু নরম মনে হয়েছে অর্থাৎ ব্রেকিং সিস্টেম একটু বেশি চাপ প্রয়োগ করা লাগে । আশা করছি এটা ব্রেক ইন পিরিয়ডের পর দূর হয়ে যাবে। আবার স্কুটারটির সামনের লুকটাও মোটামুটি করেছে যা উন্নত করা উচিত। সামনের দিক থেকে দেখলে মনে হয় স্কুটারটি একদম পাতলা।
ব্রাণদ হিসেবে সুজুকি অবশ্যই একটি ভালো ব্র্যান্ড কিন্তু দামের দিক থেকে তাদের আরেকটু সচেতন হওয়া উচিত কারণ এই স্কূটারটির দাম আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে। যদি এই স্কূটারের দাম কমানোর সুযোগ থাকে তাহলে এর চাহিদা বাজারে আরও বৃদ্ধি পাবে।
একজন নতুন রাইডার হিসেবে এই ছিলো সুজুকি এক্সেস নিয়ে আমার স্বল্প কিছু অভিজ্ঞতা । আশা করি আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের একটু হলেও উপকারে আসবে। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।