আমি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন পেশায় শিক্ষক। বর্তমানে আমি বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড সুজুকির একটু স্কুটার ব্যবহার করছি যার নাম সুজুকি এক্সেস ১২৫। এই স্কুটার কেনার কারণ হচ্ছে এই লুকস এবং বাজেটের মধ্যে সুন্দর একটা স্কূটার মনে হয়েছে আমার কাছে। আমি খুব বেশি রাইড করিনা শুধুমাত্র আমার কর্মস্থলে যাতায়াত এবং ছুটির দিনে একটু ঘুরাফেরা করার জন্য বাইকটা মূলত কেনা। বাইকটি কেনার পর আমার খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে সুজুকি এক্সেস সম্পর্কে এবং আমি এই দামের মধ্যে এত সুন্দর একটা স্কুটার পেয়ে খুব সন্তুষ্ট। এখন পর্যন্ত রাইড করেছি ২০০ কিমি । এই ২০০ কিমি এর মধ্যে কিছু ভালো মন্দ দিক আমি খুঁজে পেয়েছি যা আজ আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করতে চাই। আর ধন্যাবাদ মোটরসাইকেল ভ্যালীকে যে আমাকে এত সুন্দর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
সুজুকি একটি জাপানিজ ব্র্যান্ড এবং আমি জানি যে জাপানী প্রডাক্ট গুনে ও মানে অনেক ভালো হয়। সুজুকি এক্সেস ১২৫ চালিয়েও আমি বুঝতে পেরেছি যে মেশিনটা আসোলেই অনেক সুন্দর এবং দামটা ১২৫ সিসির স্কুটার হিসেবে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
শহরের মধ্যে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৫০ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৫৫ কিমি প্রতি লিটার। আমার মতে ১২৫ সিসির এই স্কুটারটির মাইলেজ অনেক ভালো লেগেছে এবং আমি সন্তুষ্ট এই মাইলেজ নিয়ে।
ডিস্ক ব্রেক করায় আমার কাছে ব্রেকিং অনেক শক্তিশালী মনে হয়েছে এবং ব্রেকিং খুব সুন্দরভাবে করতে পারি। বিল্ড কোয়ালিটি এবং বাইকের গঠন খুব মজবুত । আমি চালিয়ে অনেক ভালো বিল্ড অনুভব করেছি।
এইবার একনজরে আমি আমার বাইকের ভালো দিকগুলো তুলে ধরবো
-বাইকটির রেডি পিক আপ অনেক এবং চালিয়ে অনেক স্মুথ
-সিটিং পজিশন অনেক প্রশস্ত
-মাইলেজ ভালো
-মার্জিত ডিজাইনের বাইক
-গিয়ার শিফটিং ঝামেলা না থাকায় সহজেই রাইড করা যায়
মন্দ দিক আমি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। তো এই ছিলো আমার সুজুকি এক্সেস ১২৫ নিয়ে স্বল্প কিছু অভিজ্ঞতা। ধন্যাবাদ সবাইকে।