সেই ছোটবেলা থেকেই আমার মোটরসাইকেল অনেক ভালো লাগে এবং মোটরসাইকেল চালানোর অনেক ইচ্ছা। যখন বাসা থেকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলো তখন থেকে খুঁজা শুরু করলাম আমার জন্যে মোটরসাইকেল। আমার পছন্দের তালিকায় ছিলো ইয়ামাহা এবং সুজুকি ব্র্যান্ড কারন এ ব্রান্ডের মোটরসাইকেলগুলো দেখতে যেমন আর্কষনীয় এদের পারফর্মেন্সও তেমন ভালো। তাই দেরি না করে Runa Enterprise তাহেরপুর শোরুম চলে গেলাম বাইক কিনতে যেখানে আমার বাজেতের মধ্যে
Suzuki Gixxer Carburetor রয়েছে বাইক কেনা ২ মাস হয়েছে এর মধ্যে আমি ১৩০০ কিলোমিটার চালিয়েছি তাই আজকে বাইকের ভালো মন্দ বিষয়গুলা শেয়ার করবো ।
বাইকের ভালো দিকগুলার মধ্যে আমার কাছে যা মনে হয়েছে:
১। বাইকের লুক্স যা ১০/১০ দিতেই হবে ডিজাইন এককথায় আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে ।
২। সিটিং পজিশন নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই যা আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে ।
৩। ফার্স্ট পিকাআপ যা আমাকে কোন জামেলায় ফেলে না
৪ দীর্ঘ সময় বাইক রাইড করা অর্থাৎ হ্যান্ডেল ধরার কারনে সমস্যা হয় আমার কাছে যা মনে হয় নি এবং তেমন কোন সমস্যা খুজে পাই নি আমার কাছে ভালো লেগেছে।
বাইকের পারফর্মেন্স কেমন?
পারফর্মেন্স আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটানা আমি সারাদিন ১১০ কিলোমিটার রাইড করেছি এবং বাইকের কোন সমস্যা এবং সর্বচ্চ গতি ১১৫ কিলোমিটার তুলেছি বাইক কোন ধরনে ভাইব্রেশন করেনি স্মুথলি চলেছে সিটির মধ্যে ৪০+ এবং হাইওয়েতে ৪৩+ মাইলেজ পেয়েছি আমি বাইকের
মন্দ দিক আরও ভালো হতে পারতো যে বিষয়গুলো:
তুলনামুলক তেল একটু বেশি খায় যা রাইডার হিসেবে অশস্থির । তেল এর কথা আসলে মাইলেজ চলে আসে সে ক্ষেত্রে মাইলেজ আর একটু ভালো হতে পারতো আমার কাছে কম মনে হয়েছে । সেই ভাবে সার্ভিস করাতে যেতে হয় নি তবুও যখনি গিয়েছি তখনি কাস্টোমার সার্ভিস ভালো পায়নি এবং পার্টস এর দাম খুবই বেশি রাইডার হিসবে বায়বহুল যা কর্তিপক্ষের দিকে একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । যার জন্য যথাযথ বাবস্থা নেয়া হয় ।
সব মিলিয়ে Suzuki Gixxer Carburetor একটি ভালো বাইক যা আমি এখন পর্যন্ত খুব ভালোভাবেই রাইড করে আসছি। আপনারা যারা এই বাইক কিনতে চান তাদের কাছে পরামর্শ থাকবে কেনার জন্য।
পরিশেষে আমি বলতে চাই, এ দামে বাজারের সবথেকে ভালো বাইক বলে আমার মনে হয়েছে সুজুকি জিক্সারকে। ধন্যাবাদ।