বাইকের নেশা প্রত্যেকটি ছেলের মধ্যে কম অথবা বেশি থাকেই সেই দিক থেকে বাইকের প্রতি আমার নেশা তীব্র ছিল সব সময় । তবে এই বাইক আমকে যে কারনে আমার বাইক কেনার নেশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তা হল বাইকের Naked লুক্স এবং বাইকের সামনের হেড লাইট অনেক স্লিম যা দেখতে অনেক টা আক্রমণাত্মক লুক দেই যা আমকে আরও বেশি আকর্ষণ করে। বন্ধুরা সেই সময় suzuki gixxer monotone ব্যাবহার করত তখনি এই বাইক বাজারে আসে তাই আর দেরি না করে চলে যাই একতা শোরুম এ এবং যেইদিনই আসে সেই দিন আমি ক্রয় করি Suzuki Gixxer Carburetor সুজুকির বাইক বলে কথা তাই আজ আমি এই বাইক সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ৪ বছরে এখন পর্যন্ত ৩৮০০০ কিলোমিটার রাইড করেছি ।
বাইকের ভালো দিকঃ
* বাইকের কন্ট্রোল আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ।
*সাস্পেন্সন যা আমার কাছে অস্থির লেগেছে এক কথায় অসাধারন লেগেছে এবং বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় আমাকে বেগ পেতে হয় নাই ।
*অন্যান্য বাইকের তুলনায় এই বাইক নিয়ে স্ট্যান্ট করা তুলনামুলক সহজ ।
*পিলিওনের সিটিং পজিশন অনেক ভালো ৩ জন বসা যায় আরামে কোন ধরনের সমস্যা হয় না।
*হেড লাইট দেখতে যেমন ভালো তেমনি আলো অন্য বাইকের থেকে বেশি ।
বাইকের ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিক আছে আর যে বিষয় গুলা ভালো হওয়া দরকার ছিল বলে আমি মনে করি।
*কারবোরেটার হওায়র কারনে অনেক তাড়াতারি জ্যাম হয়ে যায় বাংলাদেশের ফিউল এর কারনে।
*কারবোরেটার জ্যাম হওয়ার কারনে অনেক বার অভারফ্লও করছে তেল যার জন্য অনেক ঝামেলাই ফেলছে যা আমার কাছে একটু বিরক্তিকর।
*বাইকের বডি অর্থাৎ বিভিন্ন কিট প্লাস্টিক এর যার কারনে একটু ভয়ে থাকতে হয় যে দুর্ঘটনা ঘটলে খুব সহজে ভেঙ্গে যায় ।
*বৃষ্টির দিনে ইঞ্জিন একটু বেশি হিট হয় যা একটু হতাশা জনক মনে হয়েছে।
বাইকের পারফরমেন্স কেমন ?
পারফরমেন্স বললে চলে আসে মাইলেজ শহরের মধ্যে মাইলেজ ৩০/৩২ এবং হাইওয়েতে ৩৫+ মাইলেজ দেই যা রাইডার হিসেবে আর একটু বেশি হলে হতে পারতো। সর্বচ্চ গতি ১২৩ কিলোমিটার তুলতে পেরেছি একটানা দীর্ঘক্ষণ রাইড করেছি ৪৫০+ কিলোমিটারের ও বেশি বাবহার করেও আমার কাছে তুলনামুলক ক্লান্তি মনে হয় নায় ।
এই ছিল আমার Suzuki Gixxer Carburetor ব্যাবহারের অভিজ্ঞতা। আপনি যদি সাধ্যর মধ্যে ভাল আউট লুক এবং পারফরমেন্স এর বাইক নিতে চান তবে অবশ্যই Suzuki Gixxer Carburetor এর কথা ভাবতে পারেন। এখন পর্যন্ত ব্যবহার করে আমি সন্তুষ্ট। ধন্যবাদ সবাইকে।