আমি মনে করি যে তরুণদের পছন্দের বাইকের তালিকায় সুজুকি জিক্সার অন্যতম। এই বাইকের ডিজাইন , ইঞ্জিনের স্পীড সব কিছু মধ্যে তারুন্যের একটি ভাব রয়েছে যার কারণে আমি অনেক বাইক যাচাই বাছাই করে আমার জন্য সুজুকি জিক্সারকে বেছে নিয়েছি। আমি একজন ছাত্র তাই পড়াশোনার পাশাপাশি বাইক নিয়ে বন্ধুদের সাথে একটু ঘুরতে ভালোলাগে এবং আমার এই ভালো লাগা পরিপূর্ণ করেছে সুজুকি জিক্সার। আমি গত কয়েকমাস যাবত এই বাইকটি ব্যবহার করছি এবং প্রায় ৩৫০০ কিমি রাইড করেছি । এই রাইডিং অবস্থায় বাইকটি নিয়ে আমি কোন বিপাকে পড়িনি। সুজুকি জিক্সার আমাকে অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে এবং আশা করি আগামী দিনগুলোতে দিবে। এই বাইক নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা মোটরসাইকেলভ্যালীর মাধ্যমে শেয়ার করবো।
আমি এই বাইকের টপ স্পীড এখন পর্যন্ত চেস করেছি ১১৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা। স্পীড আরও উঠানো সম্ভব ছিলো কিন্তু আমি আর স্পীড উঠাতে চাইনি।
আমার কাছে এই বাইকের ডিজাইন খুব সুন্দর মনে হয়েছে। সামনে এবং পেছনে দুই দিকের মাস্কুলার একটি লুক আছে এবং এর মাইলেজ নিয়ে আমি অভিভূত। এত শক্তিশালী একটি বাইক এত স্পীড নিয়ে অনেক ভালো মাইলেজ দিতে পারে তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। এদিকে ব্রেকিং সিস্টেম ডাবল ডিস্ক হওয়াতে আমি স্পীড খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করে নিতে পারি।
খারাপ দিকের মধ্যে লক্ষ্য করেছি যে এই বাইকের সিটিং পজিশন আরেকটু কার্ভ হলে ভালো হত এবং পিলিয়ন সিটিং পজিশন আরও প্রশস্ত এবং আরামদায়ক করা উচিত। আসলে নেকেড বাইকে পিলিয়নের জন্য তেমন সুপ্রশস্থ জায়গা থাকে না তবুও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সেটা ভিন্ন।
আমি শহরের মধ্যে মাইলেজ পাচ্ছি ৩৮ থেকে ৪৪ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পাচ্ছি ৫০ কিমি এর বেশি।
আশা করছি বাইকটি যেহেতু সুজুকি ব্র্যান্ডের তাই অনেক বেশি টেকসই হবে এবং এরকম ভালোভাবে সার্ভিস দিয়ে যাবে। বাইকের দামটা আমার মনে হয় একটু কমানো উচিত কারণ আমাদের পার্শ্ববতী দেশ ভারতে এর দামটা তুলনামূলক অনেক কম। আশা করি সুজুকি এর পরিবেশক রেনকন মোটরস এই বিষয়টি আমলে নিবেন। আর এই ছিলো সুজুকি জিক্সার ডাবল ডিস্ক নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা এবং এগুলো সব আমার ব্যাক্তিগত মতামত।