বর্তমান সময়ে বাজারে একটি বাইকের নাম খুব শুনতে পাওয়া যাচ্ছে । সেই বাইকটি আগে থেকেই অনেক পরিচিত এবং গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছি। জি আমার রিভিউ এর শিরোনাম দেখে হয়তো বুঝে ফেলেছেন আমি কোন বাইকের কথা বলছি।
আমার কাছে ব্যাক্তিগতভাবে জিক্সার সিরিজ অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার নিজস্ব ৪টা বাইক আছে এবং সেগুলো সবই আমার নিজের পছন্দের। আমি সেখানে জিক্সার কে সংযুক্ত করেছি। অনেকদিন যাবত দেখে আসছি যে সুজুকি জিক্সার এসএফ বাইকটি তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় সেই সাথে এই বাইকের পারফরমেন্স ও অন্যান্য বিষয়গুলোও আমাকে অনেক ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের বাজারে যখন নতুন ডিজাইনের জিক্সার এসএফ আসার কথা তখন আমি টার্গেট নিয়েছিলাম যে সুজুকি জিক্সার এসএফ কিনবো। বাইকটি বাংলাদেশের বাজারে আসার পর আমি শো রুমে খুঁজতে থাকি এফআই ভার্সন কিন্তু বাজারে এতই চাহিদা যে সেটা আমার আশেপাশের কোন শো রুমেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। অবশেষে খোজ পেলাম যে নাটোরের শো রুমে একটা সুজুকি জিক্সার এসএফ কার্ব ভার্সন রয়েছে এবং আমি এই বাইকটি কেনার আগে আমার বন্ধুর বাইক রাইড করে অনেক ভালো পারফরমেন্স ও অভিজ্ঞতা পেয়েছি তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে জিক্সার এসএফ কার্ব ভার্সনটাই কিনবো । বাইকটি কেনা খুব বেশিদিন হয়নি প্রায় ১ সপ্তাহ এর মত হবে এবং এই ১ সপ্তাহের মধ্যে আমি রাইড করেছি ৫০০ কিমি এর মত। আমি
৫০০ কিমি রাইড করে যে অভিজ্ঞতা পেয়েছি সেগুলো আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো।-আমার কাছে প্রথমেই এই বাইকের হেডল্যাম্প বিশেষভাবে আকর্ষন করেছে। বাংলাদেশের বাজারের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ডিজাইনের হেডল্যাম্প আমি এই বাইকে লক্ষ্য করেছি। এলিডি এই হেডল্যাম্পের ডিজাইন ও সব দিকের ডিজাইন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
-ইঞ্জিনের মনে হয়েছে যে অনেক স্মুথ পুর্বের মডেলের থেকে আর ইঞ্জিনের পারফরমেন্স বলতে গেলে অভাবনীয়। ৫০০ কিমি রাইড করেই আমি বুঝতে পেরেছি যে ইঞ্জিনের ফিডব্যাক অনেক ভালো পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে।
-ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো কিন্তু সমস্যার কথা হল যে পেছনের ব্রেকিং সিস্টেমের পারফরমেন্স একটু খারাপ সামনের তুলনায়। আমি পেছনের ব্রেকিং সিস্টেম থেকে কম ফিডব্যাক পেয়েছি তাছাড়া সামনের ব্রেকিং সিস্টেম আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
-সিটিং পজিশন অনেক আরামদায়ক মনে হয়েছে। রাইডিং সিটিং পজিশনে বসে বাইকটি রাইড করার মজাই অন্যরকম কিন্তু সমস্যার বিষয় হল যে ৩ পার্ট হ্যান্ডেলবার হওয়ার ফলে কব্জিতে প্রথমের দিকে একটু ব্যাথা করত কিন্তু পড়ে সেটা ঠিক হয়ে গেছে। একদিনে প্রায় ১২০ কিমি রাইড করে আমি কব্জিতে একটু ব্যাথা অনুভব করেছি কিন্তু পড়ে সেটা ঠিক হয়ে গেছে।
-দামটা আমার কাছে বাংলাদেশের বর্তমান মার্কেট বিবেচনা করলে একটু বেশি মনে হয়েছে। আমি কোম্পানীকে পরামর্শ দিবো যে দাম যেন আরেকটু কমিয়ে আনা হয় সেক্ষত্রে বাইকের চাহিদা আরও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
-মাইলেজ নিয়ে ১৫০ সিসি বাইকে না ভাবায় ভালো কারণ ১৫০ সিসি ইঞ্জিনের পারফরমেন্স অনুযায়ী মাইলেজ একটু কম হয় অন্যান্য কম সিসির থেকে। আমি শহরের মধ্যে মাইলেজ পেয়েছি ৪০ কিমি প্রতি লিটারে এবং হাইওয়েতে পেয়েছি ৪২ কিমি প্রতি লিটারে। এটা সঠিকভাবে বলতে পারছি না মাইলেজ তবে অনুমান করে বললাম।
আমার কাছে এই বাইকটি কেনার আগে যেমন ভালো লেগেছে তার থেকেও বেশি ব্যবহার করে অনেক ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের বাজারে এত সুন্দর একটি বাইক নিয়ে আসার জন্য সুজুকি কর্তপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ । যারা এই বাইকটি ব্যাক্তিগতভাবে পছন্দ করে বা পছন্দ করে রেখেছেন তাদের আমি বলবো যে বাইকটা ব্যবহার করুন। আমার কাছে অসাধারণ একটি বাইক মনে হয়েছে এবং আমি মনে করি এটা রাইড করলে আপনি একটা নতুন বাইকের অভিজ্ঞতা পাবেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি আমার রিভিউ এখানেই শেষ করছি।