সুজুকি জিক্সার এসএফ এফআই এবিএস এবিএস ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা মিশু

বর্তমান সময়ে সুজুকি জিক্সার এসএফ নতুন ভার্সনের নামডাক খুব শুনতে পাওয়া যাচ্ছে এবং এটা বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে।। সুজুকি জিক্সার সিরিজ অনেক আগে থেকেই বেশ পরিচিত এবং গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছে। জি আমি সুজুকি জিক্সার এসএফ এফআই বাইকের কথা বলছি কারণ এটা বর্তমান সময়ে বাজারে গরম কেক ।

আমার কাছে ব্যাক্তিগতভাবে জিক্সার এসএফ ও জিক্সার সিরিজ অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার নিজস্ব অনেকগুলো বাইক ছিলো এবং সেগুলো সবই আমার নিজের পছন্দের। আমি সেখানে জিক্সার এসএফ কে এনেছি । অনেকদিন যাবত দেখে আসছি যে সুজুকি জিক্সার এসএফ বাইকটি তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং বাজারে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে । সেই সাথে এই বাইকের পারফরমেন্স ও অন্যান্য বিষয়গুলোও আমাকে অনেক ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের বাজারে যখন নতুন ডিজাইনের জিক্সার এসএফ আসার কথা তখন আমি টার্গেট নিয়েছিলাম যে সুজুকি জিক্সার এসএফ কিনবো। আমি এই বাইকটি কেনার আগে আমার বন্ধুর বাইক রাইড করেছি এবং রাইড করে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে । পারফরমেন্স ও অন্যান্য বিষয়গুলো আমার কাছে অনেক আধুনিক মনে হয়েছে এবং এটা সত্যই আধুনিক বাইকের অনুভুতি দেয়। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে জিক্সার এসএফ এফআই এবিএস কিনবো । বাইকটি কেনা খুব বেশিদিন হয়নি প্রায় ৬ দিন এর মত হবে এবং এই৬ দিনের মধ্যে আমি রাইড করেছি ৩০০ কিমি এর মত। আমি এই বাইক রাইড করে প্রথম কেমন অভিজ্ঞতা পেয়েছি সেগুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

- আমার কাছে প্রথমেই এই বাইকের ডিজাইন , আউটলুক ও বিশেষ করে হেডল্যাম্প অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান কমিউটার স্পোর্টস বাইকের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ডিজাইনের হেডল্যাম্প আমি এই বাইকে লক্ষ্য করেছি এবং এই বাইকের ডিজাইন অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা আমাকে দিয়েছে । এলিডি এই হেডল্যাম্পের শেপ একদম ইউনিক এবং এটা প্রিমিয়াম সেগমেন্টের বাইকের সাথে তুলনা করার মত। আমার কাচজে সুজুকি জিক্সার এসএফএফআই এবিএস বাইকের কালার কম্বিনেশন এবং সব দিকের ডিজাইন অনেক বেশি জোশ লেগেছে।

- ইঞ্জিনের মনে হয়েছে যে পুর্বের জিক্সার সিরিজের থেকে অনেক স্মুথ এবং রিফাইন করা । পুর্বের মডেলের সাথে বর্তমান মডেলের যে ইঞ্জিনের পারফরমেন্স তা বলতে গেলে অভাবনীয়। ৩০০ কিমি রাইড করেই আমি বুঝতে পেরেছি যে ইঞ্জিনের ফিডব্যাক অনেক ভালো পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে।এদিকে এফআই থাকার ফলে আমি ইঞ্জিন থেকে ভালো এক্সেলেরেশন এবং পিক আপ ফলস পাইনা। একদম স্মুথভাবে আমি আমার রাইড অনুভব করি।

-ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো কিন্তু সমস্যার কথা হল যে পেছনের ব্রেকিং সিস্টেমের পারফরমেন্স একটু দুর্বল মনে হয়েছে। সামনের দিকে এবিএস থাকার ফলে সেটা কভার হয়ে যায় কিন্তু শুধুমাত্র যদি পেছনের ব্রেকিং বেশি জোরে চাপ দিই তখন পেছনের চাকা স্কীড করে। অন্যদিকে এবিএস ব্রেকিং এর পারফরমেন্স খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে এবং আমি এই এবিএস থেকে খুব ভালো সাপোর্ট পেয়েছি। আশা করি এই এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম আমার চলার পথকে নিরাপদ করবে।

- সিটিং পজিশন অনেক আরামদায়ক মনে হয়েছে এবং পূর্বের যে সিংগেল সিটিং পজিশন ছিলো সেটা থেকে সুজুকি বের হয়ে এসে এখানে স্প্লিট সিটিং পজিশন ব্যবহার করেছে যেটা আধুনিকতার পরিচয় বহন করে। রাইডিং সিটিং পজিশনে বসে বাইকটি রাইড করে আমি খুব ভালো অনুভব করেছি কিন্তু এদিকে বাইকের ৩ পার্ট হ্যান্ডেলবার হওয়ার ফলে কব্জিতে প্রথমের দিকে একটু ব্যাথা করত কিন্তু পরে সেটা ঠিক হয়ে গেছে এবং এই থ্রী পার্ট হ্যান্ডেলবার করার ফলে প্রিমিয়াম বাইকের অনুভুতি পাওয়া যায় রাইডের ক্ষেত্রে। একদিনে আমি প্রায় ৬০ কিমি এর মত রাইড করেছি কারণ এখন বাইক ব্রেক ইন পিরিয়ডে আছে এবং এই রাইডে আমি কব্জিতে সামান্য ব্যাথা অনুভব করেছি কিন্তু পরে সেটা রাইড করতে করতে এডজাস্ট হয়ে গেছে।

-দামটা আমার কাছে এই বাইকের ফিচারস, পারফরমেন্স অনযুয়ায়ী বাংলাদেশের বর্তমান মার্কেট বিবেচনা করলে একটু বেশি মনে হয়েছে।যেহেতু এবিএস আছে, এফআই আছে এবং বাইকের কোয়ালিটি আগের থেকে উন্নত করেছে কিন্তু এর দামটা কিছুটা কমালে অনেক বেস্ট হত। আমি কোম্পানীকে পরামর্শ দিবো যে দাম যেন আরেকটু কমিয়ে আনা হয় সেক্ষত্রে বাইকের চাহিদা বর্তমানের থেকে আরও আরও অধিক হত।

-মাইলেজ এখন আপাত্ত চিন্তা না করাটাই শ্রেয় কারণ আমার বাইক এখন ব্রেক ইন পিরিয়ডে আছে তাই আমি মাইলেজ নিয়ে এখন কোনকিছু ভাবছি না । এই বাইকে যেহেতু এফআই প্রযুক্তি দেওয়া আছে তাহলে মাইলেজ অবশ্যই ভালো হবে বলে আমি আশাবাদী।
এইছিলো আমার সুজুকি জিক্সার এসএফ এফআই এবিএস নিয়ে প্রথম রাইড অভিজ্ঞতা। সবাই সাবধানে রাইড করবেন। এতক্ষন সময় দিয়ে রিভিউ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

All SUZUKI bike price in bd

Suzuki Gixxer SF Fi ABS