আসসালামু অলায়কুম আমি মোঃ জাহিদ হাসান (জয়)। পেশায় আমি একজন ছাত্র। আমার বাসা রাজপাড়া, রাজশাহী। ছোট থেকেই আমার বাইকের উপর অন্যরকম নেশা ছিল। যখন আমার সামনে কেও বাইক চালাতো তাদের দেখতে খুব ভালো লাগতো। আমারো ইচ্ছা করতো চালাতে। ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে আমি বাইক রাইডার হব। আমার জীবনে প্রথম ডায়াং ৪০ সিসি এর বাইকে চালানো শিখেছি। তা ছাড়া অন্যান্য বাইক চালিয়েছি। ভালো মতো যখন চালানো শিখে গেলাম তখন সিধান্ত নিয়ে ফেললাম একটি বাইক কিনে ফেলবো এবং হিরো হোন্ডার সি বি জেট এক্সরিম কেনেছিলাম। কিছুদিন চালানোর পর ভালো লাগেনি এবং বিক্রয় করে দিয়েছিলাম। বাসায় বাবা-মা কে বললাম আমার আরেকটা বাইক লাগবে।প্রথমে রাজি হচ্ছিলনা কিন্তু পরে
রাজি হয়ে গেলো। অনেক দেখেশুনা এবং বন্ধুদের পরামর্শে জিক্সার এস এফ কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম। বলতে গেলে বাইকটির ডিজাইন এবং লুক আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে । তাই কিনে ফেললাম জিক্সার এস এফ এবং কে আর বাইক সেন্টার থেকে বাইক কেনার সিধান্ত নিলাম এবং কেনে ফেললাম। বাইকটি কেনা আমার মোটামুটি ৩ মাস হয়ে গেছে। আমার তেমন কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বাইকটি কেনা হয়নি। আসলে শক এবং ভালো লাগা থেকে কেনা। এই ৩ মাসে আমি মোটামুটি ৫১০০ কি মি পর্যন্ত চালিয়েছি।
বাইকের ইঞ্জিন আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে কিন্তু ভালো মানের তেল ব্যবহার করলে গরম কম হয় এবং খারাপ মানের তেল ব্যবহার করলে ইঞ্জিন তাতারি গরম হয়।মাঝে মধ্যে ফাকা রাস্তা পেলে জোরে চালাই। বেশিক্ষণ জোরে চালালে ত্রুটিপূর্ণ শব্দ হয় যেটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। বাইকটি সঠিক গতি তুলতে কোন সমস্যা হয়নি। আমি সর্বচ্চো ১১৮ স্পীডে বাইক চালিয়েছি।
আমার বাইকটির সবথেকে পছন্দের জিনিস হল ডিজাইন । ডিজাইন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে কিন্তু বডির প্লাস্টিক ও পার্টস গুলো তেমন ভালো মনে হয়নি। ইন্ডিকেটর আমার কাছে অনেক নরলাম কুয়ালিটির মনে হয়েছে মনে হয়েছে সহজে ভেঙ্গে যাবে। বাইকের কিটটা দেখতে ভালো কিন্তু অনেক নরমাল এবং পাতলা মনে হয়েছে। যদি কোন সময় কোন দুর্ঘটনা হয় তাহলে সহজে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
বাইকের রাইডিং সীট অনেক ভালো এবং আরামদায়ক। সীটে বসে মাটিতে পা ফেলতে কোন সমস্যা হয়না। আমি ১১৮ স্পীডে গাড়ি চালিয়েছি কিন্তু হাত ঝিন-ঝিন করেনি। অনেকক্ষণ টানা চালিয়েছি কিন্তু কোন সমস্যা হয়নি বা কষ্ট হয়নি। হাতে, পিঠে, কাধে কোন বাথ্যা করেনি। বাইকটির সুইচ গুলো অনেক ভালো। ব্যবহার করে অনেক আরাম এবং অনেক নরম। হেডল্যোম্পের আলো অনেক কম আমার কাছে অনেক খারাপ মনে হয়েছে। রাতে গাড়ি চালাতে অনেক সমস্যা হয় ঠিক মতো রাইড করতে পারিনা। রাতে ভালো মতো দেখতে পারিনা। আমি একদিনে রাজশাহীর মধ্যে প্রায় ২০০ কিমি চালিয়েছি। বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো মনে হয়েছে। টায়ারের গ্রিপ আমার কাছে অনেক ভালো মনে হয়েছে। অনেক সময় হুট-হট ব্রেক করতে হয় কিন্তু চাকা পিছলায়নি। আমার মতে ব্রেকিং সিস্টেম পরিবর্তন করার কোন দরকার নাই। সাসপেনশন অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। অনেক সময় আমাকে খারাপ রাস্তায় ও ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় । কিন্তু সাসপেনশন আমাকে অনেক ব্যাকাপ দিয়েছে। কোন রকম ঝাঁকুনি বুঝতে পারেনি।
বাইকটি আমি কে আর বাইক সেন্টার থেকে নিয়েছি। কেনার সময় তারা বলেছিল ৪৫-৫০ মাইলেজ যাবে। কিন্তু আমার ৩৫-৪০ মাইলেজ যাচ্ছে। জ্বালানি খরচ আমার কাছে ঠিক মনে হয়েছে ১৫০ সিসি এর বাইক হিসাবে। আমি এতে সন্তুষ্ট।
আমার তেমন বড় ধরনের সমস্যা হয়নি কিন্তু টুক-টাক সমস্যার জন্য আমি কে আর বাইক সেন্টারে সার্ভেসিং করিয়েছি। তাদের ব্যবহার, পরিবেশ, কাজের মান, যন্ত্রপাতি সব মিলিয়ে মোটামুটি মনে হয়েছে।
সবকিছুর বিবেচনায় বাইকটির দাম আমার কাছে একদম পারফেক্ট মনে হয়েছে। দামের দিক থেকে আমি অনেক অনেক সন্তুষ্ট।
আমার কাছে বাইকটির মোটামুটি সব কিছুই ভালো লেগেছে কিন্তু বডি প্লাস্টিক বা পার্টস গুলা অনেক নরমাল মনে হয়েছে , ইন্ডেকেটর আমার কাছে ভালো লাগেনি অনেক নরমাল মনে হয়েছে। বাংকারটা অনেক নরমাল লেগেছে। সহজে ভেঙ্গে বা ফেটে যাবে মনে হয়েছে।
কোম্পানির কাছে আমার পরামর্শ তারা যেন বাইকের কিট আরো ভালো করে। নরমাল কিট না দিয়ে ভালো কুয়ালিটির কিট দেয়। বাইকের পিছনের বাংকারটা যেন আরো ভালো মানের দেওয়া হয়। ধন্যবাদ সবাইকে।