সুজুকি জিক্সার বাইকটি কিনেছি শখের বসে। আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল বড় বাইক কিনার। এই ইচ্ছেটি পূরণ হয় আমার ১ বছর আগে। আমি পারিবারিক যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই বাইকটি ব্যবহার করে ভাল পারফরমেন্স পাচ্ছি। বাইকটি ১ বছর যাবত ব্যবহার করে ৮০০০ কিমি পথ চালিয়েছি। এটি আমার জীবনের ১ম বাইক। মোটরসাইকেলটি ডিজাইন আমার খুব পছন্দের। এটি আমার বডির সাথে মানানসই। এর তেলের ট্যাংকারটা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। রাতে বাইকটির হেড লাইট থেকে পর্যাপ্ত আলো পাই। এর হ্যান্ডেলবারে যুক্ত সুইচ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। এর সেল্ফটি ভাল কাজ করে। মোটরসাইকেলটি বিল্ড কোয়ালিটি বেশ মজবুত। এর বডির প্লাস্টিক গুলো অল্প আঘাতে কিছুই হবার নয়। আমি একদিন সর্বোচ্চ ১০০ কিমি পথ চালিয়েছি এবং হাই স্পীডে সর্বোচ্চ ১০৫ গতিতে তুলেছি। হাই স্পীডে এবং দীর্ঘ যাতায়াতে মোটরসাইকেলটি থেকে কোন সমস্যা পাইনি। এর সাসপেনশন গুলো আমাকে আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করে। মোটরসাইকেলটি চালিয়ে আমি অনেক ভাল অনুভূতি পাই।
ভাল দিকঃ ১/ গ্রাফিক্স ডিজাইন সুন্দর, ২/ ইঞ্জিন শক্তিশালী, ৩/ সুইচ গুলো দেখতে সুন্দর, ৪/ সিটিং পজিশনের সাথে হ্যান্ডেলবারের কম্বিনেশন ভাল, ৫/ সাসপেনশন গুলো ভাল, ৬/ ব্রেকিং সিস্টেম ভাল, ৭/ সেল্ফ স্টার্ট সমস্যা দেয় না। ৮/ হেড লাইটে আলো প্রচুর।
মন্দ দিকঃ ১/ দাম বেশি। ২/ চেন খুব দ্রুত লুজ হয়ে যায়।
মোটরসাইকেলটি পছন্দের কারণ?
এই মোটরসাইকেলটি পছন্দের কারণ হলো, এর আউটলুক অনেক সুন্দর। এর গ্রাফিক্স ডিজাইন গুলো আমার খুব পছন্দের। বাইকটি চালানোর সময় অনেকেই আমার দিকে এক ভাবে চেয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি একটি নজরকাড়া বাইক।
মাইলেজ সিটিঃ ৪০ কিমি।
মাইলেজ হাইওয়েঃ ৪৫ কিমি।
বাইকটির ইঞ্জিন ও কন্ট্রোল সম্পর্কে যা বলবো, এই মোটরসাইকেলটি ইঞ্জিন পারফরমেন্স চমৎকার। সিটে ২ জন খুব আরামের সাথেই বসা যায়। সিটের সাথে হ্যান্ডেলবারের কম্বিনেশন অনেক ভাল হওয়ায় দীর্ঘ যাতায়াতে তেমন ক্লান্তি আসে না। এই মোটরসাইকেলটির সামনের এবং পিছনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। এই ব্রেক দুটি থাকায় আমি যে কোন পরিস্থিতিতে অনেক ভাল কন্ট্রোল করতে পারি। এর ট্যায়ার গুলো মোটা হওয়াতে আমি কড়া ব্রেক করলেও স্লিপ করে না। পরিশেষে বলবো, সুজুকি জিক্সার ১৫০ সিসি একটি আরামদায়ক বাইক। দীর্ঘ যাতায়াতের জন্য এই বাইকটি পারফেক্ট। সবাইকে ধন্যবাদ।