সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল রিভিউ - শানিম ইয়াসার

আমার নাম শানিম ইয়াসার। আমি পড়া-লেখার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করি। আমার বাসা রাজশাহী ভদ্রার মোড়। আমার বাইক চালানোর নেশা অনেক ছোট থেকেই ছিল। অনেক ভালো লাগতো যখন আমার সামনে কেও বাইক চালাতো। বড় হওয়ার পর আমি প্রথম আমার বাবার Bajaj Pulsar 150 সিসি বাইকে চালানো শিখি। তাছাড়া Yamaha, Honda ইত্যাদি দিয়ে আমার বাইক চালানো শেখা। ভাবলাম নিজের বাইক কেনা দরকার। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম একটা বাইক কিনে ফেলবো। বাবাকে বললাম বাবা রাজি হয়ে গেলো। অনেক দেখে শুনে আমার কেন জানি Suzuki Gixxer দেখার পর অন্য রকম ভালো লাগা সৃষ্টি হল। আর Suzuki Gixxer এর সম্পর্কে অনেক ভাল রিভিউ পেয়েছিলাম। আর আমার অনেক বন্ধুর Suzuki Gixxer বাইক আছে তাদের কাছ থেকেও ভালো রিভিউ পেয়েছি। তাই কিনে ফেললাম Suzuki Gixxer । বাইকটি আমি রাজশাহী একতা শোরুম থেকে নিয়েছি। বাইকটি তেমন কোন কাজে ব্যবহার করার জন্য অথবা প্রয়োজনে কিনেনি। আমার শখ ছিল তাই কেনা। আমার বাইকটি কেনা মোটামুটি ৭ মাস হয়ে গেছে। এই ৭ মাসে প্রায় আমি ৪,৫০০ কিমি চালিয়েছি।

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ইনজিন যেটা আমাদের সকল রাইডার এর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আর Suzuki Gixxer এর ইনজিন অনেক ভালো । আমার এ পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। ইনজিন খুব কম গরম হয়। এতদিন হল চালানো কিন্তু এ পর্যন্ত ইনজিনে কোন প্রকার বাজে শব্দ হয়নি। সঠিক গতি তুলতে কোন রকম সমস্যা হয়নি। আমি ফাকা রাস্তায় এ পর্যন্ত সর্বচ্চো ১০০ গতি তুলতে পেরেছি। কোন প্রকার কোন সমস্যা হয়নি আমার।

বাইকটির লুক এবং ডিজাইন দেখে আমার প্রথম ভালো লাগা। বডির প্লাস্টিক বা পার্টস অনেক মজবুত মনে হয়েছে। কখনোই মনে হয়নি যে সহজে ভেংগে বা ফেটে যাবে।

আমি আমার বাইক নিয়ে রাজশাহী-চিটাগাং গেছি কিন্তু আমার কোন প্রকার কোন সমস্যা হয়নি। রাইডিং সীট অনেক আরামদায়ক। সীটে বসে মাটিতে পা ফেলতে কোন রকম সমস্যা হয়নি আমার। আমি মনে করি সকল আকারের মানুষ বাইকটি চালাতে পারবে। আমি এ পর্যন্ত সর্বচ্চো ১২৭ গতিতে চালিয়েছি কিন্তু আমার হাত ঝিন ঝিন করেনি। অনেক ক্ষণ চালয়রছি সমস্যা হয়নি। দীর্ঘক্ষণ চালালে হাতে পিঠে, কাধে কোন রকম ব্যথা করেনি। আমার বাইকের সুইচ গুলো অনেক ভালো মনে হয়েছে অনেক নরম ও ব্যবহার করে অনেক আরাম। রাতের বেলা আমাকে প্রায় অনেক যায়গায় যাওয়া লাগে আর তখন গুরুত্বপূর্ণ হল বাইকের হেডল্যাম্পের আলো। আমার কাছে অনেক ভালো মনে হয়েছে। অনেক ভালো আলো আমি পেয়েছি। একদিনে সর্বচ্চো ৩২০ কি মি রাজশাহী-ঢাকা বাইক চালিয়েছি। বাইক এর ব্রেকিং অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। বাইক এর ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো তাই আমার মনে হয় ব্রেকিং উন্নত করার কোন দরকার নাই। টায়ারের গ্রিপ অনেক ভালো ব্রেক করলে পিছলায় না। বাইকটির সাসপেনশন অনেক ভালো। মাঝে মধ্যে খারাপ রাস্তার মধ্যে দিয়ে আমাকে যাতায়াত করতে হয় কিন্তু আমি তেমন কোন ঝাঁকুনি বুঝেনি

আমি রাজশাহী একতা শো-রুম থেকে বাইকটি কিনেছিলাম। কিনার সময় তারা বলেছিল লিটারে ৪৫-৫০ কিমি যাবে বলেছিল। কিন্তু আমার ৪০-৪৫ কিমি যায় তাতে আমার কোন সমস্যা নায়। আমি এতে অনেক সন্তুষ্ট। মাইলেজ মোটামুটি ভালোই যায়।

আমার এ পর্যন্ত সার্ভিস সেন্টারে যাওয়া লাগেনি। কিন্তু যখন আমি বাইক কিনতে যায় তখন তাদের ব্যবহার আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাদের পরিবেশ অনেক ভালো। আমার যতটুকু মনে হয়েছে তাদের বাইক ঠিক করার জন্য যথেষ্ট যন্ত্রপাতি আছে। তাদের কাজের মান ও আমার কাছে অনেক ভালো হয়ছে।

বাইকটি আমাকে যে পরিমান সার্ভিস দিচ্ছে যে তুলনায় আমার কাছে বাইক এর দাম ঠিক মনে হয়েছে।

বাইকের আমার সবকিছুই ভালো লেগেছে কিন্তু আমার মনে হয়েছে বসার সীট একটু ছোট । আর বাইকের হ্যান্ডেল আমার কাছে আরাম দায়ক মনে হয়নি। কারণ Suzuki Gixxer এর হ্যান্ডেলটা একটু নিচু। চালাতে একটু সমস্যা হয়।

কোম্পানির কাছে আমার পরামর্শ হল বাইকের লুক ডিজাইন আরেকটু সুন্দর করলে ভালো হবে। Pulsar এর যে হ্যান্ডেলটা আছে সেটা যদি Suzuki Gixxer এ দেওয়া যায় তাহলে আমার কাছে ভালো লাগতো চালিয়ে। ধন্যবাদ সবাইকে।

All SUZUKI bike price in bd

Suzuki Gixxer Dual Tone