আমি মোয়াজ্জেম ।আমার বর্তমান ঠিকানা রাজশাহী শহরের অদুরে নন্দনগাছিতে। আমার দৈনন্দিন চলাচলের জন্য একটা বাইকের খুব দরকার ছিলো। আমি রাজশাহী শহরের মাঝেমধ্যেই ব্যাক্তিগত কাজে যাতায়াত করে থাকি অন্যদিকে গ্রামের মধ্যেও আমার বিভিন্ন কাজের জন্য বাইক ব্যবহার করে থাকি। আমার যখন সুজুকি জিএসএক্স ১২৫ বাইক ছিলো না তখন আমি বুঝতাম আসলেই বাইকের একটা দরকার আছে কারণ বাইক নিয়ে যে কোন স্থানে খুব ভালোভাবে এবং নিজের ইচ্ছামত যাতায়াত করা যায়।
যখন সিদ্ধান্ত নিই যে নতুন বাইক কিনবো তখন আমার মাথায় অনেক বাইক আসে। সম্প্রতি আমি দেখলাম যে সুজুকি জিএসএক্স ১২৫ বাইকটি বাংলাদেশের আসছে এবং এটা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে নতুন এই বাইকটি কিনবো কারণ বাজারে নতুন মডেলের বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা একদমই অন্যরকম। এদিকে আমি জানি যে সুজুকি অনেক ভালো ও স্বনামধন্য একটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড এবং সুজুকি জিএসএক্স ১২৫ দেখতেও অনেক ভালো । আবার আমার কিছু বড় ভাইয়ের পরামর্শ ছিলো যে এই বাইকটা কেনার জন্য। সব মিলিয়ে সুজুকি জিএসএক্স ১২৫ বাইকটি কিনতে আর দেরি করিনি। আমি গত ৩০ জুলাই বাইকটি রাজশাহীর একতা এন্টারপ্রাইজ থেকে কিনেছি এবং কেনার পর এখন পর্যন্ত রাইড করেছি ১ হাজার কিলোমিটার। যেহেতু আমি এই বাইকটা ব্যবহার করছি এবং আমার কাছে কেমন লাগছে সেটা অবশ্যই আপনাদের জানা দরকার । মোটরসাইকেল ভ্যালীর মাধ্যমে আমি আজ সুজুকি জিএসএক্স ১২৫ ব্যবহারের কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্
রথমেই এই বাইক থেকে যে ভালো অভিজ্ঞতাগুলো পেয়েছি তা উল্লেখ করছি। -বাইকের ইঞ্জিনের শক্তি ১২৫ সিসি হিসেবে অনেক বেশি এবং ইঞ্জিনের শক্তির সাথে সাথে এর এক্সেলেরেশনটাও অনেক বেশি। আমি মুহূর্তেই খুব ভালো স্পীড পাই এই বাইক থেকে।এদিনে ইঞ্জিনের শব্দটা অনেক সুন্দর লেগেছে। বাইকের ইঞ্জিন থেকে একটা গম্ভীর শব্দ লক্ষ্য করি আমি।
-ডিজাইনটা ১২৫ সিসি হিসেবে অনেক ভালো। মাস্কূলার একটা ডিজাইন আমি লক্ষ্য করেছি এবং ইঞ্জিনের গঠন দেখলে মনে হবে যে এটা ১৫০ সিসি একটা ইঞ্জিন।
-ব্রেকিং সিস্টেম এর সাপোর্ট অনেক ভালো পেয়েছি। আমি ব্রেকিং সিস্টেম গ্রামের রাস্তায় এবং শহরের রাস্তায় টেস্ট করে দেখেছি যে ব্রেকিং আসলেই অনেক ভালো এবং এই বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম ইঞ্জিনের শক্তি হিসেবে সঠিক মনে হয়েছে।
-সিটিং পজিশন ও হ্যান্ডেলবার এর দারুণ কম্বিনেশনের ফলে আমি এই বাইক চালিয়ে অনেক আরাম অনুভব করেছি। বাইকটি আসলেই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে চালিয়ে এবং আমি গ্রামের কিংবা শহরের রাস্তায় খুব আরামের সাথে রাইড করতে পারি।
-মাইলেজ আমি এখন ভালোই পাচ্ছি ব্রেক ইন পিরিয়ডের মধ্যে। এখন শহরের মধ্যে লিটারে ৪২ কিমি এবং হাইওয়েতে ৪৫ কিমি প্রতি লিটারে মাইলেজ পাচ্ছি। আমার মতে এই মাইলেজ ব্রেক ইন পিরিয়ডের পর আরও বাড়বে।
আমি এখন পর্যন্ত এই বাইকটা রাইড করে শুধুমাত্র একটি সমস্যা অনুভব করেছি তা হলে এই বাইকের পেছনের টায়ার। আমার কাছে এর পেছনের টায়ার একটু চিকন মনে হয়েছে। এছাড়া আর কোন সমস্যা আমি লক্ষ্য করিনি।
একদিনে প্রায় ৮০ কিমি রাইড করে আমি ব্যাক পেইন বা অন্য কোন সমস্যা অনুভব করিনি। আমার কাছে ইঞ্জিনের পারফরমেন্স টানা ৮০ কিমি রাইড করে খুব ভালো লেগেছে। আমি চাই যে আমার এই বাইক আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভালো পারফরমেন্স দিবে এবং অন্যান্য যা যা সমস্যা আছে তা নিরসন হয়ে যাবে। যারা সুজুকি জিএসএক্স ১২৫ বাইকটি নিতে চান তারা অবশ্যই এই বাইকটা কিনুন । আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই বাইক এবং আশা করি আপনারাও এই বাইকটা কিনে ঠকবেন না। দাম অনুযায়ী একদম ঠিক মনে হয়েছে আমার কাছে। আশা করি আমার রিভিউ পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।