Is this review helpful?
Rate count: 2Ratings:
বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্বে সুজুকি একটি জনপ্রিয় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানী। আমাদের দেশের বাজারে যদি সেরা তিনটি জাপানিজ কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয় তাহলে সুজুকির অবস্থান সেরা তিনের মধ্যেই থাকবে। মোটো জিপি রেস ট্র্যাক থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রয়েছে সুজুকি বাইক। আমাদের দেশে সিসি লিমিট ১৬৫ সিসি হওয়ার কারণে অনেক উচ্চ সিসির বাইক কিংবা এর থেকে বেশি সিসির বাইক আসতে পারে না। এদিকে ১০০ থেকে ১২৫ সিসি সেগমেন্ট এর বাইক গুলো চাহিদা আমাদের দেশে বেশি পরিলক্ষিত হয়। বেশি মাইলেজ, সহনীয় দাম, ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারণে ১০০ থেকে ১২৫ সিসি বাইকে চাহিদা বেশি দেখা যায়।
সুজুকি বাংলাদেশের মার্কেট এবং গ্রাহকদের চাহিদা পর্যালোচনা করে ১০০ থেকে ১৫৫ সিসি পর্যন্ত বাইক নিয়ে এসেছে। তার মধ্যে ১১০ সিসির প্রিমিয়াম ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের বাইক হলো এই Suzuki Hayate EP । সুজুকি সর্বপ্রথম তাদের Suzuki Hayate বাজারে নিয়ে আসে এবং ব্যাপক সাড়া অর্জন করে তারপরে সুজুকি গ্রাহকদের নতুন কিছু দিতে নিয়ে আসে Suzuki Hayate EP। এই EP এর পুর্নরুপ হল ইকো পারফরমেন্স ( Eco Performance) আজকে আমরা জানবো যে এই Suzuki Hayate EP বাইকে কি কি ফিচার রয়েছে ও সুবিধা রয়েছে।
ডিজাইন
Suzuki Hayate EP বাইকের রয়েছে ১১০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে সুন্দর ডিজাইন। এটি কমিউটার বাইক হলেও গ্রাফিক্স ও গঠনে কিছুটা স্পোর্টি ভাব রয়েছে। সামনের হেডল্যাম্প দেখতে খুবই এগ্রেসিভ সেই সাথে সাইড গ্রাফিক্স , টেল ল্যাম্প এবং বাইকের গঠন সুন্দর একটি লুকস এনে দিয়েছে। রাইডার এবং পিলিয়ন উভয়ের জন্য আরামদায়ক প্রশস্ত সিটিং পজিশন রয়েছে। বাইকের প্রসারিত সিঙ্গেল সীট বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রাইডের চলার পথকে আরামদায়ক করে তুলবে। কম্বাইন্ড কালার, এবং গ্রাফিক্স এই বাইকের আউটলুককে বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
ডাইমেনশন
Suzuki Hayate EP মার্জিত আকারের একটি কমিউটার বাইক যা এর ডাইমেনশনের দিকে খেয়াল করলে বুঝা যায়। সীটের উচ্চতা রয়েছে ৭৯৫ মিমি যা আমাদের দেশের জন্য আদর্শ। সীটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই বাইকটিতে ১৬৫মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে। Suzuki Hayate EP নিয়ে যেন বেশি রাইড করতে ঝামেলা না হয় সেজন্য সুজুকি এখানে ব্যবহার করেছে ১০ লিটারের ফুয়েল ট্যাঙ্কার। Suzuki Hayate EP এর উচ্চতা, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং ওজন যথাক্রমে ১০৬০ মিমি, ৭৪০ মিমি, ২০২৫মিমি এবং ১০৭ কেজি ওজন। বাইকটি ১২৫ সিসির অন্যান্য বাইকের চেয়ে হালকা, তবে ১১০ সিসি অনুযায়ী বাইকের ওজন কিছুটা ভারী। এই বাইকটিতে হুইলবেস রাখা হয়েছে ১৩০৫ মিমি যার ফলে রাইডার খুব স্বাচ্ছন্দ্যে রাইড করতে পারবে।
ইঞ্জিন
সুজুকি তাদের ইঞ্জিনের কোয়ালিটি নিয়ে কখনই আপোষ করে না। Suzuki Hayate EP এর জন্য সুজুকি অত্যাধুনিক সিঙ্গেল সিলিন্ডার, 4-স্ট্রোক, এয়ার কুলড, ১১৩ সিসি ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে। এটা বলতে গেলে বাংলাদেশের বাজারে শুধুমাত্র Suzuki Hayate EP বাইকেই ১১৩ সিসির ইঞ্জিন খুঁজে পাওয়া যায় যার ফলে রাইডার ভালো পাওয়ার আউটপূটের সাথে ভালো পারফরমেন্স পেয়ে পাবেন।শক্তি উৎপাদনের জন্য এই ইঞ্জিনটিতে রয়েছে ম্যাক্স পাওয়ার 8.7 Ps @ 7500 rpm এবং ম্যাক্স টর্ক 9.3 Nm @ 5000 rpm। সুজুকি দাবি করেছে যে বাইকটি থেকে মাইলেজ প্রায় ৭০ কিলোমিটার প্রতি লিটার পাওয়া যাবে এবং টপ স্পীড ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টায় পাওয়া যাবে।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বাইকের ইঞ্জিন অন্যান্য ১১০ সিসি বাইকের থেকে অনেকটাই শক্তিশালী বলে ধারণা করা হয়। অন্যদিকে বাইকের ইঞ্জিনের সাথে রয়েছে ইকো পারফরমেন্স (Eco Performance) যা পরিবেশের দূষণ রোধ করে বাইকের পারফরমেন্স বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে। Suzuki Hayate EP এর ইঞ্জিনের জন্য রাখা হয়েছে ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ সিস্টেম এবং 4-স্পিড গিয়ার বক্স ট্রান্সমিশন।
ব্রেক
রাইডিংকে নিরাপদ ও আরামপ্রদ করতে ভালো মানের ব্রেকিং, টায়ার ও হুইলের বিকল্প নেই। সুজুকি তাদের Suzuki Hayate EP এর ব্রেকিংয়ে উভয় পাশের ড্রাম ব্রেকিং ব্যবহার করেছে, এটি আধুনিক বাইক হিসেবে একটু মেনে নেওয়া জটিল কিন্তু সুজুকি দাবি করেছে যে তাদের এই ড্রাম ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো ব্রেকিং সরবরাহ করতে সক্ষম। এই ১১০ সিসি সেগমেন্টে অন্যান্য বাইকের ডিস্ক ব্রেকিং রয়েছে ।
সাসপেনশন,টায়ার ও হুইল
সাসপেনশনগুলির দিকে নজর দিলে এই বাইক অন্যান্য ১১০ সিসির বাইক থেকে কিছুটা এগিয়ে। কারন সুজুকি তাদের এই Suzuki Hayate EP বাইকে যে সাসপেনশন ব্যবহার করেছে তা সচারাচর অন্যান্য ১১০ সিসি কমিউটার বাইকের দেখা যায় না। । ৫ স্টেপ( ধাপ) বিশিষ্ট এডজাস্টেবল টুইন শক রেয়ার সাসপেনশন বাউন্সি বা ভাঙ্গা রাস্তাগুলিতে রাইডার ও পিলিয়নকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যও আরাম দিবে এবং সামনের টেলিস্কোপিক ফর্ক সামনের দিক ভাল ব্যালান্স দিতে সক্ষম।এদিকে Suzuki Hayate EP এ রয়েছে এলোয় হুইল এবং তার সাথে সামনের চাকার সাইজ ৭০-১০০/১৭ এবং পেছনের চাকার সাইজ ৮০-১০০/১৭।
ইলেক্ট্রিক্যাল ও মিটার কনসোল
ইলেক্ট্রিক্যাল ও মিটার কনসোল এর দিক থেকে Suzuki Hayate EP এর জন্য তেমন উন্নত ফিচারস ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। মিটার প্যানেলটি সম্পূর্ণরূপে অ্যানালগ, যাতে রিয়েছে স্পিডো মিটার, ফুয়েল গেজ সহ রাইডারের কয়েকটি প্রয়োজনীয় ফিচারস ।ইলেক্ট্রিকালের ক্ষেত্রে Suzuki Hayate EP রয়েছে সব ধরনের প্রয়োজনীয় লাইট এবং ইলেকট্রিক স্টার্টের জন্য এই বাইকে রয়েছে 12V 3Ah মেইনটেনেন্স ফ্রি ব্যাটারি।
পরিশেষে
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে Suzuki Hayate EP বাইকটি ১১০ সিসির কমিউটার বাইক হিসেবে ভালো অবস্থান ধরে রাখবে বলে আশা করা যায়। এই বাইকটি ফিচারস এর দিক থেকে তেমন উন্নত না হলেও একজন রাইডার এর জন্য যে সকল বিষয় প্রয়োজন তার সব কিছুই এই বাইকের সাথে দেওয়া আছে। বর্তমানে এই বাইকের ৩ টি ভিন্ন রং রয়েছে সেগুলো হল - Glass Sparkle Black, Pearl Mira Red, Metallic Oork Grey।
আশা করা যায় এই Suzuki Hayate EP বাংলাদেশের রাস্তায় সকল রাইডারদের অনেকবেশি সাপোর্ট দিতে সক্ষম হবে এবং কমিউটার প্রেমিরা বেশি পছন্দ করবে।
Is this review helpful?
Rate count: 2বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্বে সুজুকি একটি জনপ্রিয় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানী। আমাদের দেশের বাজারে যদি সেরা তি...
Bangla Englishআমার মতে, খুব ভোরে যাদের অফিস ধরার তাড়া আছে, মোটরসাইকেল তাদের জন্য অন্যতম সেরা বাহন। আমি সেই তালিকায় তালিকাভুক্...
Bangla Englishআমার ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে মোটরসাইকেল ব্যতীত অন্যকোন যান খুজে পাচ্ছিলাম না সময় মত সকল কর্ম সম্পাদনে...
Bangla Englishআমার পরিবার অনেক বড় এবং পেশাগতভাবে কমবেশি সবাই ব্যবসায়ী আর ব্যবসার কাজ সময়ের মধ্যে না শেষ করলে অনেক জটিলতায় পড়তে...
Bangla English