ব্যবসায়ের বিভিন্ন কাজে আমার বাইকের খুব দরকার হয় আর বাইক ছাড়া ব্যবসায়ীক কাজ সম্পাদন করা একটু মুশকিল হয়ে যায়। আমি মোটরসাইকেল ব্যবহার করি অনেক বছর আগে থেকে। যখন আমার নতুন মোটরসাইকেল কেনার ইচ্ছা জাগে তখন আমি খুঁজতে থাকি সাধ্যের মধ্যে প্রিয় মোটরসাইকেলগুলো। প্রিয় মোটরসাইকেল বলতে যেটা আমাকে ব্যবসায়ীক কাজে ভালো সাহায্য করবে এবং ডিজাইন ও ইঞ্জিনের পারফরমেন্সের দিক থেকেও সন্তুষ্ট রাখবে। সব কিছু বিচার বিবেচনা করে আমি খুঁজে পাই সুজুকি হায়াতে মোটরসাইকেল যার লুক্স , ইঞ্জিন পারফরমেন্স সব দিক থেকেই আমাকে ভালো সাপোর্ট দিবে বলে ধারণা করেছি এবং বর্তমানে ব্যবহার করে সেই অভিজ্ঞতা পাচ্ছি। আজ থেকে প্রায় ৩ মাস আগে সুজুকি হায়াতে বাইকটি কিনি এবং কেনার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ কিমি রাইড করেছি। পরিষ্কার করে বলতে গেলে সুজুকি হায়াতে স্পেশাল এডিশন বাইকটি কিনেছি যার গ্রাফিক্স পূর্বের হায়াতের থেকে অনেক আপডেট এবং দেখতে সুন্দর লাগে। যেহেতু আমি বাইকটি ৩ মাস ধরে ব্যবহার করছি তাই আমার ধারণা যে বাইকটি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলে আশা করি এই বাইকটি সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন। তাই মোটরসাইকেল ভ্যালীর মাধ্যমে আপনাদের সাথে আমার সুজুকি হায়াতে নিয়ে অল্প কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
শুরুতেই বলে রাখি এই বাইকের মাইলেজ নিয়ে কারণ ১১০সিসি বাইকের প্রথম আকর্ষণ থাকে মাইলেজ। আমি শহরের মধ্যে এই বাইকটির ইঞ্জিন থেকে মাইলেজ পাচ্ছি ৬০ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে ৬৫ কিমি প্রতি লিটারে যা এভারেজ করলে হয়তো ৬৩ কিমি প্রতি লিটারে।
এই বাইকের সবচেয়ে যে বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে তা হল এর ইঞ্জিন কোয়ালিটি। ইঞ্জিনের পারফরমেন্স থেকে শুরু করে ইঞ্জিনের স্মুথ সাউন্ড আমার অনেক পছন্দ।
আমার বন্ধু সুজুকি হায়াতে বাইকটি ব্যবহার করে। বাইক কেনার আগে তার থেকে জানতে পারি যে বাইকের ইঞ্জিন পারফরমেন্স অনেক ভালো এবং এই সেগমেন্টে অনেক স্পীড এই বাইকের। তাছাড়া ডিজাইনের দিক থেকে একধাপ এগিয়ে রাখবো আমার সুজুকি হায়াতে বাইকটিকে।
এতক্ষন শেয়ার করছিলাম বাইকের ভাল দিকগুলো নিয়ে এখন কিছু নেগেটিভ দিক যা আমার মনে হয় আরও উন্নত করা দরকার। তার মধ্যে রয়েছে ব্রেকিং সিস্টেম। ব্রেকিং সিস্টেমটা আমার মনে হয় আরও উন্নত করলে ভালো হত। চেইনটা একটু দ্রুত লুজ হয়ে যায় যা একটা বড় সমস্যা। এছাড়া আর কোন সমস্যা এখন পর্যন্ত পাইনি।
আমি একদিনে প্রায় ১০০ কিমি রাইড করেছি এই বাইক নিতে এবং বাইকের পারফরমেন্স থেকে শুরু করে সবকিছু ঠিক ছিলো। আমি এই বাইকটি তাদের কেনার পরামর্শ দিবো যারা ভালো মাইলেজ চান এবং যারা শহরের মধ্যে কিংবা মার্কেটিং এর কাজের জন্য ভালো একটা আরামদায়ক বাইক চান তারা সুজুকি হায়াতে বাইকটি অবশ্যই নিতে পারেন।
এক নজরে আমার সুজুকি হায়াতে বাইকের ভালো মন্দ দিক
ভালো দিক
-ইঞ্জিনের কোয়ালিটি ও শব্দ
-গ্রাফিক্স
-সাসপেনশন
-আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতা
-মাইলেজ ভালো
-সেলফ স্টার্ট ভালো কাজ করে
মন্দ দিকের মধ্যে
--চেইনের সমস্যা যা তারাতারি লুজ হয়
-ব্রেকিং দুর্বল