ইয়ামাহার প্রিমিয়াম সিরিজের বাইকেরগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে কারণ প্রিমিয়াম সেগমেন্টের বাইকের মধ্যে অনেক অনেক ফিচারস থাকে এবং সেজন্য রাইড করে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি । আমি বর্তমানে ব্যবহার করছি
Yamaha R15M যেটা বাংলাদেশের বাজারে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের মধ্যে অত্যান্ত জনপ্রিয় একটি বাইক। এই R15M বাইকটা কেনার আগে আমি ব্যবহার করতাম Yamaha R15 V3 Indonesian , বলতে গেলে আমি ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের অনেক বড় একজন ভক্ত। বিগত অনেকদিন যাবত আমি এই Yamaha R15M বাইকটি ব্যবহার করছি এবং প্রায় ৪,০০০ কিমি রাইড করেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার R15M এর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরবো।
Yamaha R15M ব্যবহার করে আমি যে সকল ভালো দিক পেয়েছি
• আমার কাছে এর Y Connect Apps টা অনেক ভালো লেগেছে। এর মধ্যে যে ফিচারসগুলো রয়েছে সেগুলো আমার রাইডে অনেক উপকারে আসে।
• কুইক শিফটার ফিচারসের জন্য গিয়ার শিফটিং অনেক স্মুথভাবে করতে পারি এবং এটা অনেক সেফটি একটি ফিচারস গিয়ার শিফটিং এর ক্ষেত্রে।
• ট্রাকশন কন্ট্রল সিস্টেমটার জন্য আমি খুব ভালোভাবে রাইড করতে পারি এবং যে কোন কর্নারিং হাই স্পীডে খুব আত্মবিশ্বাসের করতে পারি।
• সাইড স্টান্ড কাট অফ ফিচারসের জন্য অনেক সেফটি নিশ্চিত হয়েছে কারণ আমরা অনেক সময় বাইকের সাইড স্টান্ড না তুলে রাইড শুরু করি এক্ষেত্রে এক্সিডেন্ট এর সম্ভাবনা থাকে কিন্তু সাইড স্টান্ড কাট অফ থাকার ফলে এই সমস্যটা আমার হয় না ।
• স্প্লিপার ক্লাচ ফিচারসের ফলে আমি খুব নিশ্চিন্তে গিয়ার ডাউন করতে পারি ।
• সিটিং পজিশন ও হ্যান্ডেলবারের কম্বিনেশন ভালো হওয়ার কারনে আমি আরামের সাথে রাইড করতে পারি।
• এফআই ও ব্লু কোর প্রযুক্তির কারনে মাইলেজ অনেক বেশি পাচ্ছি । বর্তমানে শহরের মধ্যে ৪৪ এবং হাইওয়েতে ৪৮ কিমি মাইলেজ পাচ্ছি।
এবিএস ব্রেকিং এর ফিডব্যাক অনেক ভালো লেগেছে।
Yamaha R15M বাইকের মন্দ দিক
• আমার কাছে মন্দ দিকের মধ্যে মনে হয়েছে যে পিলিয়নের সিটের নিচের অংশে যেখানে প্লাস্টিক রয়েছে সেটা ফেটে যায়। আর পিলিয়ন নিয়ে রাইড করলে স্পীড অনেক কম পাওয়া যায়।
সব মিলিয়ে আমার কাছে Yamaha R15M বাইকটা ব্যবহার করে অনেক ভালো লেগেছে। যারা প্রিমিয়াম বাইক কিনতে চান তাদেরকে আমি বলবো যে একবার হলেও Yamaha R15M বাইকটা রাইড করে দেখুন। এই বাজেটের মধ্যে আমার কাছে বাইকটা বেশি ভালো লেগেছে উন্নতমানের সব ফিচারসের জন্য।