2016-07-18
TVS Apache RTR 150 motorcycle ownership review by Meem
চারচাকার গাড়ীতে সব সময়ে সব জায়গায় চলাচল না করা গেলেও বাইকে করে প্রায় যেখানে খুশি সেখানে যাওয়া যায়, আর তাই খুব ছোটবেলা থেকেই আমার মোটরসাইকেল পছন্দ। আমি মীম আল মাহমুদ। আমি একজন নিয়মিত মোটরবাইক রাইডার। আমি মোটরসাইকেল চালানো শিখি ২০০৮ সালে। এবং এরপর থেকেই আমি আমার বাবার এবং বড় ভাই এর মোটরসাইকেল ব্যবহার করে আসছি। আমার সব সময়ের স্বপ্ন ছিলো আমার একটি নিজের বাইক হবে। কয়েক বছর পরে আমি সিদ্ধান্ত আমার নিজের বাইক কেনার। এব্যাপারে পরিবারের সাথে আলাপ করি, তারা আমাকে অনুমতি দেন। আমি আমার পছন্দে টিভিএস আরটিআর মডেলের বাইকটি শোরুম থেকে কিনি। অনেকগুলো কারন ছিলো এই মডেলটি কেনার। এবং এতোদিন বাইকটি ব্যবহার করে আমার মনে হয়েছে আমার নেয়া সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিলো। এখন আমি আমার বাইক ব্যবহারের কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
টিভিএস আরটিআর কেনার কারন:
যখন আমি বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিই তখন টিভিএস এপাচি মডেলের পূরাতনটি মার্কেটে ছিলো। একদিন ইন্টারনেটে কাজ করার মুহুর্তে টিভিএস এর নতুন এপাচি আরটিআর মডেলটি চোখে পড়লো। আমি এর অসাধারন ডিজাইন এবং স্পেসিফিকেশন পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম এবং নতুন মডেলটি আসার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। আমি এই মডেলটি যেকারনে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেছিলাম সেটি হলো এই বাইকটি আমার ব্যক্তিত্ব এবং উচ্চতার সাথে চমতকার মানিয়ে যায়। দীর্ঘ ৩মাস অপেক্ষার পরে বাইকটি মার্কেটে আসে। আমি আর একমূহুর্ত দেরি না করে কাছের শোরুম থেকে বাইকটি কিনে ফেলি।
ব্যবহারের অভিজ্ঞতা
আরটিআর ব্যবহার অভিজ্ঞতা এক কথায় বলেত গেলে অসাধারন। বাইকটি কেনার পর থেকে প্রায় ১৬০০০কিমি এরও বেশি চালিয়েছি এবং এখনও নতুনের মতোই মনে হয়। বাইকটি দিয়ে আমি কাছের এবং দূরের টূর দিয়েছি এবং আমি পূর্ন মাত্রায় সন্তুষ্ট। পিকআপ, সিটিং পজিশন, বাইক ডাইমেনশ সবকিছুই টিভিএস বানিয়েছে চমতকার করেছে। এই বাইকটি গতির দিক দিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো ১৫০সিসির বাইককে অনায়াসে হারিয়ে দিতে পারে। খারাপ রাস্তায় এর সাসপেনসন এবং ব্রেক খুবই কাজের। আমি আমার বাইক নিয়ে বেশ কয়েকটি বড় টূর দিয়েছি, যাত্রা আরামদায়ক ছিলো কিন্তু ইনজিন বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায়। তখন কিছুক্ষন রেস্ট দিতে হয়।
ইনজিন:
প্রায় ৩বছর ব্যবহারের পরেও ইনজিনটি এখন প্রায় নতুনের মতো। ইনজিনটি নতুনের মতোই আমাকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলেছে তাদের ইনজিনে কাজ করতে হয়েছে, সেই তুলনাতে আমি ভাগ্যবান যে আমাকে সে অবস্থায় পড়ে হয় নাই। ৩বছর পরেও ইনজিনের সাউন্ড প্রথম দিনের মতোই সুন্দর।
স্পীড ও মাইলেজ:
স্পীড এ মাইলেজে আমি সন্তুষ্ট। বাইকটি স্পোর্টস ক্যাটেগরীর হওয়া সত্বেও লিটারে প্রায় ৪০কিমি পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। পিলিয়ন সহ আমি ১২০কিমি/ঘন্টা গতি পেয়েছি। ১০০-১১০কিমি/ঘন্টা খুব সহজেই পাওয়া যায়। যদিও আমি আর কখনও ১২০কিমি/ঘন্টা তুলি নাই, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি ১২০কিমি/ঘন্টা অতিক্রম করা যাবে খুব সহজেই।
ভালো দিক:
- দৃষ্টি নন্দন ডিজাইন।
- সহজলভ্য পার্টস
- মনমুগ্ধকর স্পীড ও মাইলেজ
- সুপার ফাস্ট পিকআপ
- ভালো কন্ট্রোল
খারাপ দিক:
- টায়ারটি আরো ভালো হলে ভালো হতো
- দূরের রাস্তায় ইনজিন গরম হয়ে যায়
পরামর্শ:
আমি ২০১২ সাল থেকে ইনডিয়ান বাইক ব্যবহার করে আসছি। আমি মেকানিক্যাল এবং পারফরমেন্সে সকল দিক দিয়েই সন্তুষ্ট। যারা এই বাইকটি কিনতে চান তারা চোখ বন্ধ করে কিনে ফেলতে পারেন। আমি আমা করি বাইকটি আপনাদের হতাশ করবে না।
শেষের কথা:
আমার দৃষ্টিতে টিভিএস এপাচি আরটিআর বাইকটি মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী। সবশেষে আমি বলতে চাই উপরের মতামত গুলো একান্তই আমার। আশা করি এবিষয়ে দ্বিমত থাকলে কেউ ভুল বুঝবেন না।
নিরাপদে বাইক চালান।
টিভিএস আরটিআর কেনার কারন:
যখন আমি বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিই তখন টিভিএস এপাচি মডেলের পূরাতনটি মার্কেটে ছিলো। একদিন ইন্টারনেটে কাজ করার মুহুর্তে টিভিএস এর নতুন এপাচি আরটিআর মডেলটি চোখে পড়লো। আমি এর অসাধারন ডিজাইন এবং স্পেসিফিকেশন পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম এবং নতুন মডেলটি আসার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। আমি এই মডেলটি যেকারনে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেছিলাম সেটি হলো এই বাইকটি আমার ব্যক্তিত্ব এবং উচ্চতার সাথে চমতকার মানিয়ে যায়। দীর্ঘ ৩মাস অপেক্ষার পরে বাইকটি মার্কেটে আসে। আমি আর একমূহুর্ত দেরি না করে কাছের শোরুম থেকে বাইকটি কিনে ফেলি।
ব্যবহারের অভিজ্ঞতা
আরটিআর ব্যবহার অভিজ্ঞতা এক কথায় বলেত গেলে অসাধারন। বাইকটি কেনার পর থেকে প্রায় ১৬০০০কিমি এরও বেশি চালিয়েছি এবং এখনও নতুনের মতোই মনে হয়। বাইকটি দিয়ে আমি কাছের এবং দূরের টূর দিয়েছি এবং আমি পূর্ন মাত্রায় সন্তুষ্ট। পিকআপ, সিটিং পজিশন, বাইক ডাইমেনশ সবকিছুই টিভিএস বানিয়েছে চমতকার করেছে। এই বাইকটি গতির দিক দিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো ১৫০সিসির বাইককে অনায়াসে হারিয়ে দিতে পারে। খারাপ রাস্তায় এর সাসপেনসন এবং ব্রেক খুবই কাজের। আমি আমার বাইক নিয়ে বেশ কয়েকটি বড় টূর দিয়েছি, যাত্রা আরামদায়ক ছিলো কিন্তু ইনজিন বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায়। তখন কিছুক্ষন রেস্ট দিতে হয়।
ইনজিন:
প্রায় ৩বছর ব্যবহারের পরেও ইনজিনটি এখন প্রায় নতুনের মতো। ইনজিনটি নতুনের মতোই আমাকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলেছে তাদের ইনজিনে কাজ করতে হয়েছে, সেই তুলনাতে আমি ভাগ্যবান যে আমাকে সে অবস্থায় পড়ে হয় নাই। ৩বছর পরেও ইনজিনের সাউন্ড প্রথম দিনের মতোই সুন্দর।
স্পীড ও মাইলেজ:
স্পীড এ মাইলেজে আমি সন্তুষ্ট। বাইকটি স্পোর্টস ক্যাটেগরীর হওয়া সত্বেও লিটারে প্রায় ৪০কিমি পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। পিলিয়ন সহ আমি ১২০কিমি/ঘন্টা গতি পেয়েছি। ১০০-১১০কিমি/ঘন্টা খুব সহজেই পাওয়া যায়। যদিও আমি আর কখনও ১২০কিমি/ঘন্টা তুলি নাই, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি ১২০কিমি/ঘন্টা অতিক্রম করা যাবে খুব সহজেই।
ভালো দিক:
- দৃষ্টি নন্দন ডিজাইন।
- সহজলভ্য পার্টস
- মনমুগ্ধকর স্পীড ও মাইলেজ
- সুপার ফাস্ট পিকআপ
- ভালো কন্ট্রোল
খারাপ দিক:
- টায়ারটি আরো ভালো হলে ভালো হতো
- দূরের রাস্তায় ইনজিন গরম হয়ে যায়
পরামর্শ:
আমি ২০১২ সাল থেকে ইনডিয়ান বাইক ব্যবহার করে আসছি। আমি মেকানিক্যাল এবং পারফরমেন্সে সকল দিক দিয়েই সন্তুষ্ট। যারা এই বাইকটি কিনতে চান তারা চোখ বন্ধ করে কিনে ফেলতে পারেন। আমি আমা করি বাইকটি আপনাদের হতাশ করবে না।
শেষের কথা:
আমার দৃষ্টিতে টিভিএস এপাচি আরটিআর বাইকটি মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী। সবশেষে আমি বলতে চাই উপরের মতামত গুলো একান্তই আমার। আশা করি এবিষয়ে দ্বিমত থাকলে কেউ ভুল বুঝবেন না।
নিরাপদে বাইক চালান।