2016-09-27
Owned for 1year+ [] Ridden for 10000km+
Owned for 1year+ [] Ridden for 10000km+
টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ মোটরসাইকেল রিভিউ - সালাউদ্দিন আহমেদ সানি
আমার ব্যবহৃত TVS Apache RTR Double Disc মোটরসাইকেলটি বন্ধুর থেকে সেকেন্ডহ্যান্ড কিনি এবং বিগত ১বছর ধরে ব্যবহার করছি। বাইকটি ছিলো আমার বন্ধুর, তাই কেনার পর থেকে আমিও প্রায়ই বাইকটি চালাতাম। আমি গাজীপুর থেকে মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদ সানি। আপনাদের সাথে আমার বাইক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
প্রথমেই আসে লুক এর বিষয়-
অসাধারন এবং চমৎকার একটা লুক আছে এই এপাচির। যা সবারই নজর কাড়বে।স্টাইলিশ বডি কিট, হর্ণ, হেডলাইট কিট, হ্যান্ডেল বার, পিছনের সাইট। সব মিলিয়ে চমৎকার।
আমার বাইক এই পর্যন্ত মোট ১৩,৬৬৪ কিমি পথ চলছে। আমি যখন বাইকটা বন্ধুর কাছ থেকে ক্রয় করি তখন ৬০০০ কিমি চালানো ছিলো। বলতে গেলে একদম শোরুম কন্ডিশন ছিলো। ওর কাছে থাকা অবস্থায় একবার ৬০ কিমি/ঘন্টা স্পিডে সরাসরি অটোর সাথে এক্সিডেন্ট করে আমার আরেক বন্ধু। তখন বাইকের কিছু ক্ষতি হয় যেমন সামনের চাকা ফুটা হয়, সাসপেনশন বাঁকা হয়, হ্যান্ডেল বাঁকা হয়ে যায় এবং ঘাড়ের বাকেট ভেঙ্গে যায়। রিপেয়ার করি এবং ভাঙ্গা অংশ নতুন করে ইন্সটল করি। টায়ার এখনো চেন্জ করিনি। পরে অবশ্য কিছুদিন চালাতে কিছুটা কষ্ট হতো। হ্যান্ডেল বাঁকা হয়ে যাওয়াতে হাত ব্যাথা হতো। পরে কয়েকটা মেকারকে দিয়ে ধীরে ধীরে অনেকটা সোজা করি। এখন অবশ্য ঐ প্রবলেম নাই। তবে সামনের চাঁকায় বেশী হাওয়া দিতে পারিনা তবে যতটুকু দেয়া যায় তাতে কোন প্রবলেম হয়না। আমি আমার বাইকের টিউবলেস চাকাকে টিউব করে নিয়েছি কারন প্রায়ই সকালে দেখতাম চাকার হাওয়া থাকেনা। জেল দিলে প্রবলেমটা থাকেনা কিন্তু আমার আশেপাশে অভিজ্ঞ লোক না থাকাতে আমি টায়ারে টিউব ব্যবহার করি।
এখন আসি আমার এপাচির পারফর্মেন্স এর কথায়-
এই পর্যন্ত ইন্জিনের কোন কাজ করাইনি। প্রয়োজন পড়ে নাই। ৮০০০ কিমি চলার পর আমি ২টা ব্রেক প্যাড চেন্জ করি। প্রতি ৩০০০ কিমি চালানোর পর মবিল ফিল্টার চেন্জ করি। ৮০০ -১০০০ কিমিতে মবিল চেন্জ করি। আমি সবসময় হ্যাভোলিন ২০w৪০ গ্রেড এর মবিল ব্যবহার করি। পারফরমেন্স মাশাআল্লাহ ভাল। সাউন্ড অসাধারন।
১১,০০০ কিমি চালানোর পর আমি বাইকে চেইন স্পোর্কেট পুরো সেট চেন্জ করি। এয়ার ফিল্টার এখনো চেন্জ করিনি। প্রয়োজন পরে নি। আমার বাইক আমি নিয়মিত সার্ভিসিং করি। বড় ধরনের কোন কাজ আমি জমতে দিইনা। একটু এক্সট্রা শব্দ হলেও আমি তা রিপেয়ার করি। প্লাগ চেন্জ করেছি একবার তবে স্টকটা এখনো ওকে আছে।
আরো কিছু মোডিফিকেশন করেছি যেমন এলইডি হেড লাইট লাগিয়েছি, কিছু স্টিকার কেটে ফেলে নতুন লুক করেছি, কিছু লাইট মোডিফিকেশন করেছি এবং ইন্ডিকেটর সাউন্ড স্পিকার ইন্সটল করেছি।
এখানে একটা বিষয়, এপাচির চেইন কভার পুরোটা না থাকাতে চেইনে ময়লা হয় বেশী তাই স্পোর্কেট দ্রুত নষ্ট হয়। আর আমার বাইক ডাবল ডিস্ক হওয়াতে পিছনের চাকা দ্রুত ক্ষয় হয়েছে। অবশ্য পরে টায়ার কাঁটিয়ে নিয়েছি ১০০ টাকা দিয়ে। অনেকটা ভাল গ্রিপ পাওয়া যাচ্ছে।
এখন আসি মাইলেজ নিয়ে। আমি বাইক প্রায় বেশীর ভাগ সময় অক্টেন ব্যবহার করি। মাইলেজ গাজীপুর সিটিতে ৩৬-৩৮ এবং হাইওয়েতে বিশেষ করে ময়মানসিংহ, কুমিল্লা, চিটাগাং, টাঙ্গাইল রোডে ৪৭-৫৫ কিমি/লিটার। তবে একটা বিষয় বিভিন্ন পাম্পের তেলের উপর নির্ভর করে মাইলেজ। একটা বিষয় ট্রাই করেছিলাম কিছুদিন। সেটা হলো পেট্রোল এবং অক্টেন মিক্স করে ব্যবহার করলে মাইলেজ বেশী পাওয়া যায় তবে সেক্ষেত্রে ইন্জিনের সাউন্ড নষ্ট হয়ে যায়। স্মুথনেস ভাবটা থাকে না তাই এখন শুধু অক্টেন ব্যবহার করি।
এখন আসি কন্ট্রোল এর ব্যাপারে-
আমার যেহেতু ডাবল ডিস্ক সেহেতু আমি আমার বাইকের কন্ট্রোল ভাল পাই, সহজেই স্পিড কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি। তবে বাইকের কন্ট্রোল ৫০% নির্ভর করে চালকের উপর। কন্টোলের ব্যাপারে আমার বাইক আমাকে এখনো নিরাশ করেনি তবে হ্যা আমার বাইকের স্টক রিয়ার যখন ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল তখন প্রায়ই স্কিড করতো। এপাচির ফ্রন্ট এভজরবার কিছুটা কম খেলে এবং পিছনেরটা মোটামুটি। হার্ড ব্রেকে মাঝে মাঝে প্রবলেম করে। তবে ২ টা ব্রেক একসাথে ধরলে প্রোবলেম হয় না।
কম্ফোর্ট এর বিষয়ে কথা হলো বাইকটা সিটি রাইডের জন্য বেশ ভাল তবে লং রাইডে ক্ষেত্রে কিছুটা কষ্টকর। এর সিটিং পজিশন আমার কাছে মোটামুটি ভাল লেগেছে। একটানা ৬০-৭০ কিমি চালালে কোমরের নিচের মাংশ পেশি ব্যাথা হয়। তবে ভাল আরামদায়ক সিটকভার হলে প্রোবলেম নাই। বিশেষ করে আমি যখন বান্দরবান টু রাঙ্গামাটি টু চিটাগাং টু গাজিপুর মোট ৪০০ কিমি রাস্তা ১ দিনে রাইড করি আমার হালকা বেক পেইন হয়েছিলো। বাকি সব ওকে।পিছনের টায়ার ১১০/৮০-১৭ এর জায়গায় ১২০/৮০-১৭ লাগিয়ে নিলে কম্ফোর্ট বেশী পাওয়া যাবে তবে মাইলেজ কিছুটা কমে যাবে।
এখন আসি স্পিড এবং এক্সিলারেশনের কথায়। চমৎকার ইন্সট্যান্ট রেডি পিকআপ এবং অনেক শক্তি বাইকটিতে। এর প্রমান পাই যখন গাজীপুর টু বান্দরবান টু রাঙ্গামাটি ভ্রমন করি এবং নীলগিরি, চিম্বুক যাই তখন। অসাধারন লেগেছে। আমি সাধারনত বাইকের টপ স্পিড নিয়ে চিন্তা করিনি। আমি আমার বাইকের সর্বোচ্চ স্পিড তুলেছিলাম ১১৬ কিমি/ঘন্টা। সেটা কুমিল্লা চিটাগাং রোডে। সাথে পিলিয়ন ছিলো একজন মেয়ে মানে আমার গিন্নি। ওজন মাশাআল্লাহ আমার ৭৮, গিন্নির ৭০ সাথে বাইকের ১৩৭ কেজি। এই ওজন নিয়ে আমি চিম্বুক, নিলগিরিও রাইড করেছি অনায়াসে। তবে একটা বিষয় ২ ভাল্বের ইন্জিনের লং রাইডের প্রবলেম হলো ৯০-১০০ কিমি একটানা চালালে পাওয়ার অনেকটা কমে আসে। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাইক টাকে কিছুটা সময় বিশ্রাম দিতে হবে সাথে নিজেকে।
এখন আসি ভাইব্রেশন এর বিষয়ে-
হা হা হা এপাচি মানে ভাইব্রেট মেশিন।। হ্যা এটা আসলেই মেশিন। অনেক শক্তিশালি মেশিন।আমার বাইক আমি সাধারনত গ্রামের রাস্তায়, সিটিতে বেশী রাইড করি ৫০-৬০-৭০-৮০ স্পীডে। তো সবাই বলে এই স্পিডে এপাচি ভাইব্রেট করে প্রচুর। তাদের কে বলবো আমার বাইকটা একটু চালিয়ে দেখতে। আপনাদের ধারনা পাল্টে যাবে তবে হ্যা আমি দেখেছি আমার বাইক যখন ১০৫-১১০ স্পিড থাকে তখন ভাইব্রেট করে তবে সামান্য বুঝা যায়না কারন ১১০ স্পীডে আপনার মনোযোগ থাকে সামনের দিকে এবং কন্ট্রোলেরর দিকে। ভাইব্রেশনের দিকে তখন খেয়াল থাকবে না।
এই হচ্ছে আমার এপাচি বাইক অভিজ্ঞতা। এটা সম্পূর্ণটাই আমার নিজস্ব মত। বাইকটি আমি চালিয়ে অনেক মজা পাই। আমি বাইক এবং বাইকারদের যত্ন ও সম্মান করি। সব সময় হেলমেট পড়ি। ট্রাফিক আইন মেনে বাইক চালাই। ধন্যবাদ সবাইকে।
প্রথমেই আসে লুক এর বিষয়-
অসাধারন এবং চমৎকার একটা লুক আছে এই এপাচির। যা সবারই নজর কাড়বে।স্টাইলিশ বডি কিট, হর্ণ, হেডলাইট কিট, হ্যান্ডেল বার, পিছনের সাইট। সব মিলিয়ে চমৎকার।
আমার বাইক এই পর্যন্ত মোট ১৩,৬৬৪ কিমি পথ চলছে। আমি যখন বাইকটা বন্ধুর কাছ থেকে ক্রয় করি তখন ৬০০০ কিমি চালানো ছিলো। বলতে গেলে একদম শোরুম কন্ডিশন ছিলো। ওর কাছে থাকা অবস্থায় একবার ৬০ কিমি/ঘন্টা স্পিডে সরাসরি অটোর সাথে এক্সিডেন্ট করে আমার আরেক বন্ধু। তখন বাইকের কিছু ক্ষতি হয় যেমন সামনের চাকা ফুটা হয়, সাসপেনশন বাঁকা হয়, হ্যান্ডেল বাঁকা হয়ে যায় এবং ঘাড়ের বাকেট ভেঙ্গে যায়। রিপেয়ার করি এবং ভাঙ্গা অংশ নতুন করে ইন্সটল করি। টায়ার এখনো চেন্জ করিনি। পরে অবশ্য কিছুদিন চালাতে কিছুটা কষ্ট হতো। হ্যান্ডেল বাঁকা হয়ে যাওয়াতে হাত ব্যাথা হতো। পরে কয়েকটা মেকারকে দিয়ে ধীরে ধীরে অনেকটা সোজা করি। এখন অবশ্য ঐ প্রবলেম নাই। তবে সামনের চাঁকায় বেশী হাওয়া দিতে পারিনা তবে যতটুকু দেয়া যায় তাতে কোন প্রবলেম হয়না। আমি আমার বাইকের টিউবলেস চাকাকে টিউব করে নিয়েছি কারন প্রায়ই সকালে দেখতাম চাকার হাওয়া থাকেনা। জেল দিলে প্রবলেমটা থাকেনা কিন্তু আমার আশেপাশে অভিজ্ঞ লোক না থাকাতে আমি টায়ারে টিউব ব্যবহার করি।
এখন আসি আমার এপাচির পারফর্মেন্স এর কথায়-
এই পর্যন্ত ইন্জিনের কোন কাজ করাইনি। প্রয়োজন পড়ে নাই। ৮০০০ কিমি চলার পর আমি ২টা ব্রেক প্যাড চেন্জ করি। প্রতি ৩০০০ কিমি চালানোর পর মবিল ফিল্টার চেন্জ করি। ৮০০ -১০০০ কিমিতে মবিল চেন্জ করি। আমি সবসময় হ্যাভোলিন ২০w৪০ গ্রেড এর মবিল ব্যবহার করি। পারফরমেন্স মাশাআল্লাহ ভাল। সাউন্ড অসাধারন।
১১,০০০ কিমি চালানোর পর আমি বাইকে চেইন স্পোর্কেট পুরো সেট চেন্জ করি। এয়ার ফিল্টার এখনো চেন্জ করিনি। প্রয়োজন পরে নি। আমার বাইক আমি নিয়মিত সার্ভিসিং করি। বড় ধরনের কোন কাজ আমি জমতে দিইনা। একটু এক্সট্রা শব্দ হলেও আমি তা রিপেয়ার করি। প্লাগ চেন্জ করেছি একবার তবে স্টকটা এখনো ওকে আছে।
আরো কিছু মোডিফিকেশন করেছি যেমন এলইডি হেড লাইট লাগিয়েছি, কিছু স্টিকার কেটে ফেলে নতুন লুক করেছি, কিছু লাইট মোডিফিকেশন করেছি এবং ইন্ডিকেটর সাউন্ড স্পিকার ইন্সটল করেছি।
এখানে একটা বিষয়, এপাচির চেইন কভার পুরোটা না থাকাতে চেইনে ময়লা হয় বেশী তাই স্পোর্কেট দ্রুত নষ্ট হয়। আর আমার বাইক ডাবল ডিস্ক হওয়াতে পিছনের চাকা দ্রুত ক্ষয় হয়েছে। অবশ্য পরে টায়ার কাঁটিয়ে নিয়েছি ১০০ টাকা দিয়ে। অনেকটা ভাল গ্রিপ পাওয়া যাচ্ছে।
এখন আসি মাইলেজ নিয়ে। আমি বাইক প্রায় বেশীর ভাগ সময় অক্টেন ব্যবহার করি। মাইলেজ গাজীপুর সিটিতে ৩৬-৩৮ এবং হাইওয়েতে বিশেষ করে ময়মানসিংহ, কুমিল্লা, চিটাগাং, টাঙ্গাইল রোডে ৪৭-৫৫ কিমি/লিটার। তবে একটা বিষয় বিভিন্ন পাম্পের তেলের উপর নির্ভর করে মাইলেজ। একটা বিষয় ট্রাই করেছিলাম কিছুদিন। সেটা হলো পেট্রোল এবং অক্টেন মিক্স করে ব্যবহার করলে মাইলেজ বেশী পাওয়া যায় তবে সেক্ষেত্রে ইন্জিনের সাউন্ড নষ্ট হয়ে যায়। স্মুথনেস ভাবটা থাকে না তাই এখন শুধু অক্টেন ব্যবহার করি।
এখন আসি কন্ট্রোল এর ব্যাপারে-
আমার যেহেতু ডাবল ডিস্ক সেহেতু আমি আমার বাইকের কন্ট্রোল ভাল পাই, সহজেই স্পিড কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি। তবে বাইকের কন্ট্রোল ৫০% নির্ভর করে চালকের উপর। কন্টোলের ব্যাপারে আমার বাইক আমাকে এখনো নিরাশ করেনি তবে হ্যা আমার বাইকের স্টক রিয়ার যখন ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল তখন প্রায়ই স্কিড করতো। এপাচির ফ্রন্ট এভজরবার কিছুটা কম খেলে এবং পিছনেরটা মোটামুটি। হার্ড ব্রেকে মাঝে মাঝে প্রবলেম করে। তবে ২ টা ব্রেক একসাথে ধরলে প্রোবলেম হয় না।
কম্ফোর্ট এর বিষয়ে কথা হলো বাইকটা সিটি রাইডের জন্য বেশ ভাল তবে লং রাইডে ক্ষেত্রে কিছুটা কষ্টকর। এর সিটিং পজিশন আমার কাছে মোটামুটি ভাল লেগেছে। একটানা ৬০-৭০ কিমি চালালে কোমরের নিচের মাংশ পেশি ব্যাথা হয়। তবে ভাল আরামদায়ক সিটকভার হলে প্রোবলেম নাই। বিশেষ করে আমি যখন বান্দরবান টু রাঙ্গামাটি টু চিটাগাং টু গাজিপুর মোট ৪০০ কিমি রাস্তা ১ দিনে রাইড করি আমার হালকা বেক পেইন হয়েছিলো। বাকি সব ওকে।পিছনের টায়ার ১১০/৮০-১৭ এর জায়গায় ১২০/৮০-১৭ লাগিয়ে নিলে কম্ফোর্ট বেশী পাওয়া যাবে তবে মাইলেজ কিছুটা কমে যাবে।
এখন আসি স্পিড এবং এক্সিলারেশনের কথায়। চমৎকার ইন্সট্যান্ট রেডি পিকআপ এবং অনেক শক্তি বাইকটিতে। এর প্রমান পাই যখন গাজীপুর টু বান্দরবান টু রাঙ্গামাটি ভ্রমন করি এবং নীলগিরি, চিম্বুক যাই তখন। অসাধারন লেগেছে। আমি সাধারনত বাইকের টপ স্পিড নিয়ে চিন্তা করিনি। আমি আমার বাইকের সর্বোচ্চ স্পিড তুলেছিলাম ১১৬ কিমি/ঘন্টা। সেটা কুমিল্লা চিটাগাং রোডে। সাথে পিলিয়ন ছিলো একজন মেয়ে মানে আমার গিন্নি। ওজন মাশাআল্লাহ আমার ৭৮, গিন্নির ৭০ সাথে বাইকের ১৩৭ কেজি। এই ওজন নিয়ে আমি চিম্বুক, নিলগিরিও রাইড করেছি অনায়াসে। তবে একটা বিষয় ২ ভাল্বের ইন্জিনের লং রাইডের প্রবলেম হলো ৯০-১০০ কিমি একটানা চালালে পাওয়ার অনেকটা কমে আসে। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাইক টাকে কিছুটা সময় বিশ্রাম দিতে হবে সাথে নিজেকে।
এখন আসি ভাইব্রেশন এর বিষয়ে-
হা হা হা এপাচি মানে ভাইব্রেট মেশিন।। হ্যা এটা আসলেই মেশিন। অনেক শক্তিশালি মেশিন।আমার বাইক আমি সাধারনত গ্রামের রাস্তায়, সিটিতে বেশী রাইড করি ৫০-৬০-৭০-৮০ স্পীডে। তো সবাই বলে এই স্পিডে এপাচি ভাইব্রেট করে প্রচুর। তাদের কে বলবো আমার বাইকটা একটু চালিয়ে দেখতে। আপনাদের ধারনা পাল্টে যাবে তবে হ্যা আমি দেখেছি আমার বাইক যখন ১০৫-১১০ স্পিড থাকে তখন ভাইব্রেট করে তবে সামান্য বুঝা যায়না কারন ১১০ স্পীডে আপনার মনোযোগ থাকে সামনের দিকে এবং কন্ট্রোলেরর দিকে। ভাইব্রেশনের দিকে তখন খেয়াল থাকবে না।
এই হচ্ছে আমার এপাচি বাইক অভিজ্ঞতা। এটা সম্পূর্ণটাই আমার নিজস্ব মত। বাইকটি আমি চালিয়ে অনেক মজা পাই। আমি বাইক এবং বাইকারদের যত্ন ও সম্মান করি। সব সময় হেলমেট পড়ি। ট্রাফিক আইন মেনে বাইক চালাই। ধন্যবাদ সবাইকে।